তওবাঃ যেই ব্যক্তি এই দোয়া পড়বে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলাতক আসামী হয়....
أَسْتَغْفِرُ اللهَ العَظِيْمَ الَّذِىْ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
আসতাগফিরুল্লা-হাল আ’যীমাল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হা’ইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।
আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ছাড়া ইবাদতের আর কোন যোগ্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী। আমি তাঁর কাছে তাওবা করছি।
(১) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ
“যেই ব্যক্তি এই দোয়া পড়বে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলাতক আসামী হয়”। (অর্থাৎ, সে যদি বড় রকমের গুনাহগার হয়, তবুও আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন।)
সূত্রঃ তিরমিযী ৪/৬৯, আবুদাঊদ ২/৮৫, মিশকাত হা/২৩৫৩, হাদীসটি সহীহঃ সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭২৭।
(২) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে উঠে এই দুয়া পড়বে সে ইসমাইল বংশের একজন দাস মুক্ত করার সমান সওয়াব পাবে। তার আমল নামায় ১০টা পুণ্য লেখা হবে, তার ১০টা গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে এবং শয়তান থেকে নিরাপদ থাকবে।”
সূত্রঃ মিশকাতঃ ২২৪৪, সনদ সহীহ।
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ القَيّوُمُ وَأَتُوبُ إِلَيهِ
উচ্চারণঃ আসতাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হা’ইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।
অর্থঃ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ছাড়া ইবাদতের আর কোন যোগ্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী। আমি তাঁর কাছে তোওবা করছি।
(৩) রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ
“যেই ব্যক্তি এই দোয়া পড়বে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলাতক আসামী হয়”। (অর্থাত, সে যদি বড় রকমের গুনাহগার হয়, তবুও আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।)
সূত্রঃ (১) হিসনুল মুসলিম পৃষ্ঠা ২৮৬।
(২) তিরমিযী ৪/৬৯, আবুদাঊদ ২/৮৫, মিশকাত হা/২৩৫৩, হাদীসটি সহীহঃ সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭২৭।
*** উল্লেখ্য অন্য হাদীসে “আসতাগফিরুল্লা-হাল্লাযী...” এর পরিবর্তে “আসতাগফিরুল্লা-হাল আ’যীমাল্লাযী...” এইভাবে আছে। দুইটা হাদীসই সহীহ, যেকোনো একভাবে পড়লেই হলো। যার যেটা মুখস্থ আছে।
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الْعَظيمَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ القَيّوُمُ وَأَتُوبُ إِلَيهِ
উচ্চারণঃ আসতাগফিরুল্লা-হাল আ’যীমাল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হা’ইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।
(৪) প্রশ্নঃ
কীভাবে তওবা করবেন, মৌলভীর কি তওবা করা দরকার বা তওবা নিজেই সঠিক হবে। অনুশোচনা করার জন্য সমস্ত নিয়ম এক কি?
[উত্তর:]
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরূদ ও সালাম।পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
তওবা করার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে, তখন আল্লাহ তাওবা কবুল করবেন।
১. পাপ কাজ বন্ধ করতে হবে। এখন আমি কেবল মুখে মুখে অনুশোচনা করছি, আমি পাপী কাজটি কিছু দিন পরে ছেড়ে দেব - যদি এটি হয় তবে অনুতাপ হবে না।
২. আমাদের অবশ্যই আমাদের অতীতের সমস্ত পাপ ও ভুল স্বীকার করে তওবা করতে হবে এবং তাঁকে লজ্জিত হতে হবে।
৩. আপনার মনের জিনিসগুলিকে ঘৃণা করতে হবে এবং তাদের কাছে ফিরে না যাওয়ার জন্য মানত করতে হবে।
৪. লজ্জা ও অনুশোচনা হওয়ার কারণে একজনকে তার সকল পাপের জন্য আল্লাহর কাছে "ক্ষমা চাইতে" এবং "অনুশোচনা" করতে হবে (পাপ বন্ধ করা এবং আল্লাহর কাছে ফিরে আসা)।
৫. যদি কেউ তার অধিকার লঙ্ঘন করে থাকে তবে তার উচিত তার অধিকারগুলি ফিরিয়ে দেওয়া, বা যে কোনও ক্ষেত্রে যদি সে তা সামর্থ্য না করে তবে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। মনে রাখবেন যে কেউ যদি তাওবা করে, আল্লাহ সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেন, এমনকি যদি তার পাপ আকাশে পৌঁছায় তবেও আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। তবে কোন বান্দা যদি কোন অধিকার হারায় তবে সে যদি ক্ষমা না করে তবে সে তা ক্ষমা করবে না।
৬. কারও মনে মনে আশা করা উচিত যে আমি পাপী তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময় - পরম ক্ষমাশীল ও করুণাময়। সুতরাং তিনি আমার অনুশোচনা গ্রহণ করবেন।
৭. তওবা করার পরে, পাপপূর্ণ কাজ থেকে দূরে থাকার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত এবং যথাসাধ্য ভাল কাজ করার চেষ্টা করা উচিত।
৮. পাপ কাজ থেকে তওবা (সমস্ত পাপ কাজ থেকে অনুতাপ করা বাধ্যতামূলক), যদি কেউ ভুলে যাওয়া বা মন্দ প্রবৃত্তির কারণে পাপ করে তবে সে তত্ক্ষণাত তওবা করবে। সুতরাং, যখনই কোনও পাপ আছে, অবশ্যই ততক্ষণে মৃত্যু অবধি তওবা করতে হবে।
৯. কারও অনুশোচনা গ্রহণ করা হয়েছে তা আপনি কীভাবে জানবেন? অনেক আলেম বলেছেন যে তওবা করার পরে কারও জীবন যদি পূর্বের জীবনের চেয়ে ভাল হয়, অর্থাৎ কারো পাপ কাজ হ্রাস হয় এবং কারও সৎকর্ম বৃদ্ধি পায় তবে কেউ আশা করতে পারে যে তার অনুতাপ আল্লাহর দরবারে গৃহীত হয়েছে। তবে যদি এটি না হয়, অর্থাৎ তওবা করার আগে ও পরে জীবনের মধ্যে কোনও পার্থক্য না থাকে, তবে বুঝতে হবে যে তার তওবাতে কোনও ত্রুটি রয়েছে। তার হতাশ হওয়া উচিত নয় - তার আন্তরিকভাবে অনুতাপ করা উচিত এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা উচিত।
আল্লাহ আমাদের সকলকে আন্তরিক তওবার অনুগ্রহ দান করুন। আমেন।
(৫) যেই দোয়া পড়ে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাওবা করতেন ও আমাদেরকে পড়তে বলছেনঃ
أَسْتَغْفِرُ اللهَ العَظِيْمَ الَّذِىْ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণঃ আসতাগফিরুল্লা-হাল আ’যীমাল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হা’ইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।
অর্থঃ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ছাড়া ইবাদতের আর কোন যোগ্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী। আমি তাঁর কাছে তাওবা করছি।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন