মহানবী (সঃ) বাণী-যদি চরিত্রের এই কতিপয় খারাপ দিক ও দোষ গুলো ছেরে দেন তাহলে আপনি জান্নতে যেতে পারবেনঃ-
১। দ্রুত রাগ করা ছেরে দেন।
২। অতিরিক্ত বকাঝকা করা ও বারবার ছোট-খাটো দোষ ধরা যাবে না।
৩। অহংকার করা যাবে না।
৪। ব্যবহারে কঠোরতা ও রূঢ়তা প্রকাশ করা যাবে না।
৫। মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা যাবে না।
৬। গীবত তথা কারো অসাক্ষাতে তার সমালোচনা করা ছেরে দিন।
৭। মানুষের দোষ খুঁজে বেড়ানো বা কারো পেছনে লেগে থাকা ছেরে দিন।
৮। গোপনীয়তা প্রকাশ করে দেয়া খারাপ কাজ। এহা ছেরে দিন।
৯। মানুষের হঠাৎ ঘটে যাওয়া ভুল ক্ষমা না করে মনে রেখে দেওয়া।
১০। হিংসা-বিদ্বেষ করা।
১১। কৃপণতা ভালো না। এহা ছেরে দিন।
১২। স্ত্রীর সাথে অশালীন আচরণ করা ত্যাগ করুন।
১৩। কাজের লোক বা কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ করা ত্যাগ করুন।
১৪। প্রতিবেশীর সাথে খারাপ আচরণ করা ত্যাগ করুন।
১৫। যে উপকার করল তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করা।
১৬। লজ্জাহীনতা খুব খারাপ অভ্যাস, এহা ঈমান নষ্ট করে দেয়।
১৭। কুরুচিপূর্ণ ও নোংরা ভাষা ব্যবহার করা ত্যাগ করু।
১৮। উপকার করে খোঁটা দেয়া ত্যাগ করুন।
১৯। নির্দোষ মানুষকে অপমান করা ছেরে দিন।
২০। মানুষের ওজর গ্রহণ না করা।
২১। অযথা ঝগড়া, চিৎকার ও চেঁচামেচি করা খুবই বাজে কাজ , এহা ত্যাগ করুন।
২২। মানুষের সুন্দর নাম বাদ দিয়ে খারাপ নামে ডাকা ভালো না, এহা ত্যাগ করুন।
আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেরকে উল্লেখিত ও তৎসংশ্লিষ্ট চারিত্রিক খারাপ দিকগুলো থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখার তাওফীক দান করেন,আমিন ৷
জিহ্বার মাধ্যমে ১৫টিরও বেশী মারাত্মক দোষ (গুনাহ) আছে যেগুলো জিহ্বা ব্যতীত সংগঠিত হতে পারে না, সেগুলো হচ্ছে-
১. মিথ্যা কথা বলা;
২. খারাপ ভাবে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা;
৩. সব সময় অশ্লীল ও খারাপ কথা বলা;
৪. কথায় কথায় গালি দেয়া;
৫.সব সময় মানুষের নিন্দা করা;
৬. কাওকে অপবাদ দেয়া;
৭. চোগলখুরী করা;
৮. বিনা প্রয়োজনে কারো গোপনীয়তা ফাঁস করে দেয়া;
৯. মোনাফিকী করা ও দুই মুখে কথা বলা;
১০. বেহুদা ও অতিরিক্ত কথা বলা।
১১. বাতিল ও হারাম জিনিস নিয়ে আলোচনা করে আনন্দ লাভ করা;
১২. গীবত করা;
১৩. খারাপ উপনামে ডাকা;
১৪. কথায় কথায় অভিশাপ দেয়া;
১৫. সামনা-সামনি প্রশংসা করা; যদিও এই কাজটিই আমরা সব সময় করে থাকি। কিন্ত ইহা ভালো না।
১৬. মিথ্যা স্বপ্ন বলা।
অবশেষে বলব, আমরা যেন নিম্নোক্ত হাদিসের উপর আমাল করতে উদ্যোগী হই-
সাহাল ইবনে সায়াদ রা: হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী অঙ্গ (জিহ্বা) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী অঙ্গ (গুপ্তাঙ্গ) সম্বন্ধে জামিন হবে, আমি তার জন্য জান্নাতের জামিন হব।
বুখারী ৬৪৭৪, ৬৮০৭, তিরমিযী ২৪০৮আ
অরও পড়তে এইখানে ক্লিক করুন; মাত্র ১ মিনিটেই ১ কোটি নেকি লাভের আমল ও বিপদের সময় পাঠ করার দোয়া
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন