ফজরের নামাজের উপকারিত

 

ফজরের নামাজের উপকারিত

ফজরের নামাজের উপকারিত 

ইসলামের অন্যতম  ফরয হলো নামাজ। ঈমানের পরে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হ'ল পাঁচটি ফরয নামাজ। এই পাঁচটি নামাজের মধ্যে সর্বাগ্রে ফজরের নামাজ। কুরআনে আল্লাহ ফজর নামক একটি সূরা অবতীর্ণ করেছেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, আমি ফজরের শপথ করছি। সূরা ফজর, আয়াত -১ 

হাদীসে ফজরের নামাজের প্রতি বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ফজরের সালাত আদায় করে সে আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্তর্ভুক্ত।’ মুসলিম। অন্য একটি হাদিসে যিনি ফজরের সালাত আদায় করেন তাকে জান্নাতের মানুষ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। বলা হয় এটি জাহান্নাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুটি শীতকালে প্রার্থনা করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ বুখারী, মুসলি

ফজরের নামাজ কিয়ামতের কঠিন সময়ে হালকা হিসাবে উপস্থিত হবে। এমনকি সংগ্রাহকরা মহা বিপর্যয়ের দিনে পথ দেখিয়ে দেবেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন অন্ধকারে (ফজর) মসজিদের দিকে যারা চলে তাদের পুরো আলোর সুসংবাদ দাও।’ আবু দাউদ।

যে ফজরের নামাজ আদায় করবে তাকে মধ্যরাতের ইবাদতের সওয়াব দেওয়া হবে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জামাতের সাথে এশার নামাজ আদায় করবে, সে যেন মধ্যরাত অবধি (নাফিল) নামায পড়ে। আর যে ব্যক্তি মজলিসের সাথে ফজরের নামাজ আদায় করে, সে যেন সারা রাত ধরে নামাজ পড়ে। '

ফজরের নামাজ পড়া ব্যক্তির নাম ভন্ডদের তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ফজর ও এশার নামাজের চেয়ে ভারী যে মুনাফিকদের জন্য কোন প্রার্থনা নেই। তবে যদি তারা এই দুটি নামাজের ফজিলত জানত তবে তারা হামাগুড়ি দিত এমনকি নামাজে অংশ নিতে পারত। 'বুখারী। ফজরের নামাজ পৃথিবীর সমস্ত কিছুর চেয়ে উত্তম। হাদীস অনুসারে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ফজরের নামাজের দুই রাকাত সালাত দুনিয়া ও এর সমস্ত কিছুর চেয়ে উত্তম।’ মুসলিম। ফেরেশতারা আল্লাহর কাছে ফজরের নামাজ পড়া ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন। তাদের প্রার্থনা সম্পাদনের সাক্ষ্য দেয়। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ফেরেশতারা আপনার কাছে দিনরাত পালা করে আসে। তারা আসর ও ফজরের সময় জড়ো হয়। যাঁরা নাইট ডিউটিতে ছিলেন তাঁরা উপরের সিঁড়ি বেয়ে যান। আল্লাহ্‌র সবকিছু জানেন, তবুও ফেরেশতারা জিজ্ঞাসা করেন, আপনি আমার বান্দাদের ছেড়ে চলে গেলেন কি করে? ফেরেশতারা বলে, আমরা তাদের প্রার্থনা ছেড়ে দিয়েছি। আমি যখন গেলাম, তখনও তারা প্রার্থনা করছিল। 'বুখারী।

আপনি যদি ফজরের নামাজের মাধ্যমে দিনটি শুরু করেন তবে পুরো দিনের ক্রিয়াকলাপ ধন্য হয়। সবই আল্লাহ্‌র দেওয়া উত্তম। হাদীস অনুসারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্য সকালে তাকে দোয়া করুন। 'তিরমিযী।

আরও পরুনঃ যে গোপন পাপ: অবক্ষয় ও ধ্বংসের পথ হয়ে দারায়। 

0 Comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন