অবৈধ বিয়ের মামলায় খালাস ইমরান খান, তবে কারামুক্তি নিয়ে ধোঁয়াশা

ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অবৈধ বিয়ের মামলায় খালাস পেয়েছেন। তবে, তাঁর কারামুক্তি নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা বিরাজ করছে। ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী বুশরা বিবির সঙ্গে অবৈধভাবে বিবাহ করেছেন। আদালত আজ এই মামলায় তাঁকে খালাস দিয়েছে। ইমরান খানের আইনজীবীরা আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে, বুশরা বিবির সঙ্গে তাঁর বিবাহ বৈধ এবং ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক সম্পন্ন হয়েছে। তবে, এই রায়ের পরেও ইমরান খানের কারামুক্তি নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি অন্য মামলাগুলোতেও তিনি খালাস না পান, তবে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা কম। ইমরান খানের সমর্থকরা আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে তাঁর মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন। অন্যদিকে, বিরোধী পক্ষের নেতা-নেত্রীরা ইমরান খানের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন। দেশটির রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইমরান খানের মুক্তি বা কারাবাস নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, তা পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।

ছেলেমেয়েদেরকে লেখার প্রতি উত্সাহিত করার ১০ টি সহজ উপায় ।

ছেলে মেয়ে দেরকে লেখার প্রতি উত্সাহিত করার 10 টি সহজ উপায় ।

ছেলে মেয়ে দেরকে লেখার প্রতি উত্সাহিত করার ১০ টি সহজ উপায় ।


ছেলে মেয়ে দেরকে লেখার প্রতি উত্সাহিত করার ১০ টি সহজ উপায় ।লেখাগুলি পড়ার মতোই বাচ্চাদের মাস্টার এবং ব্যবহার করার জন্য একটি অমূল্য সরঞ্জাম। প্রথমদিকে তারা শব্দ এবং বাক্য লেখা শুরু করে যে তারা জীবনের যাত্রায় আরও আত্মবিশ্বাসী হবে। অনেক বাবা-মা তাদের ছোট বাচ্চাদের এমনকি কিন্ডারগার্টেনে প্রবেশের আগে কীভাবে পড়তে হয় তা শেখায়। তবে কেন তাদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষার প্রথম বছরের আগে এবং লেখার জন্য তাদের লেখার জন্য উত্সাহিত করবেন না? প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আমার তেত্রিশ বছরের শিক্ষাদানের উপর ভিত্তি করে, আমি এখানে যা প্রস্তাব করব তা এখানে।

If you want to read the updated English News, click here:

১.শিশুরা উদাহরণ দিয়ে শিখবে। আরও ভাল পাঠক বা লেখক হওয়ার জন্য বাচ্চাদের তাদের পিতামাতাকে ঘন ঘন পড়া এবং লেখা দেখতে হবে। ঘরের পরিবেশ যদি বই এবং সক্রিয় পাঠক এবং লেখকদের দ্বারা ভরা থাকে তবে অল্প বয়সী বাচ্চারা বই এবং লেখার অন্বেষণ করতে চায়। বাচ্চারা নিজের বাড়ির এবং স্কুলের পরিবেশে যা দেখেছে ও শোনেন তার মাধ্যমে বই এবং লেখায় আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে।

If you want to read the Bangla latest  News, click here:

২. বাচ্চারা যখন স্কুলে প্রবেশ করে তখন তাদের স্কুল স্কুল গ্রন্থাগার এবং ক্লাসের লাইব্রেরি ব্যবহার করতে উত্সাহ দেওয়া হবে। শ্রেণীকক্ষের শিক্ষকের ঘরে কোনও গ্রন্থাগার না থাকলে সম্ভবত আপনি একটি তৈরি করতে স্বেচ্ছাসেবক করতে পারেন। পাবলিক লাইব্রেরির বন্ধুদের সাধারণত ব্যবহৃত বইগুলিতে দুর্দান্ত বিক্রয় হয়। আমি এক ডলারের জন্য পুরো ব্যাগ বই কিনেছি। অনেক শিক্ষক যুক্তিসঙ্গত মূল্যে পেপারব্যাক বই সহ একটি মাসিক বুক ক্লাব অর্ডার অফার করেন।

If you want to read the Islamic related news, click here:

৩. বাচ্চারা রঙ করতে পছন্দ করে। আপনার শিশুকে রঙিন এবং লেখার জন্য উত্সাহিত করুন। বাড়ির কোনও ব্যক্তির উপহার হিসাবে বা ফ্রিজে প্রদর্শিত ছবি হিসাবে তারা প্রতিটি পৃষ্ঠায় তাদের রঙ লিখে তাদের শুরু করে  চৌম্বকীয় চিঠিগুলি পরিবার এবং বন্ধুদের নামও বানান করতে পারে।

If you want to read the Relationship advice News, click here:

৪. আপনার ফ্রিজ এবং রান্নাঘরের ক্যাবিনেটে যা ঘটে তার জন্য আপনার সন্তানের তালিকা প্রস্তুতকারক হতে দিন। তিনি সাপ্তাহিক মুদি তালিকাতে সহায়তা করতে পারেন। আমাদের স্থানীয় মুদিতে বাচ্চাদের মা বাবার সাথে শপিং করার সময় একটি কুকির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

If you want to read the writing advice related news, click here:

৫. লেখার জন্য আপনার বাচ্চাদের পুরস্কৃত করুন। শিশুরা ট্রিটগুলি পছন্দ করে - চকোলেট চিপ কুকিজ বা লাইফসেভারস আপনি তাদের নাম বা দুটি বাক্য লেখার জন্য তাদের পুরস্কৃত করতে পারেন। ক্যান্ডির শক্তিটিকে হ্রাস করবেন না। আমি এমন এক বিকল্প শিক্ষককে চিনি যে তার ছাত্রদের সাথে আচরণ করে। তিনি যখন ক্লাসরুমে পদার্পণ করেন, তারা তাকে দেখে খুশি হন। ছোট ছোট বিষয়।

If you want to read the self Improvement news, click here:

৬. বিষয় পড়া এবং লেখার বিষয় আপনার বাচ্চারা যখন ছোট হয়, তখন তাদের শিথিল করার জন্য আপনি তাদের শোবার সময় গল্পটি পড়তে পারেন এবং আপনি। তারা কখনই তাদের সাথে এটি করতে ভুলে যাবে না - কেবলমাত্র একটি ছোট শয়নকালীন গল্প পড়া। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তারা গল্পের প্লট যুক্ত করতে বা পরিবর্তন করতে পারে। তারা গল্পটির সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনাও লিখতে পারে।

৭. গত ২৪ ঘন্টা পর্যালোচনা মজা হতে পারে। হ্যাঁ, আমরা এটি একটি ডায়েরি বা জার্নালে করতে পারি। লেখার কাজটি তরুণ এবং বৃদ্ধদের জন্য এবং কোথাও কোথাও কোথাও ইতিবাচক শক্তির সাথে ছড়িয়ে পড়ে। আমার ভাই, টনি তার ত্রয়োদশ জন্মদিনের জন্য একটি ফাঁকা জার্নাল পেয়েছিলেন এবং সে বছরের প্রতিটি দিনই তা পূরণ করেছিলেন। এটি এখন তার এক অমূল্য সম্পদ। অনেক অবসরপ্রাপ্ত লোকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জার্নাল থাকে যা তারা প্রতি রাতে যুক্ত করে।

৮. আপনার শিশুকে কৃতজ্ঞ হতে সাহায্য করুন। ডিনার টেবিলটি প্রার্থনা বলার এবং কৃতজ্ঞ হওয়ার জন্য একটি ভাল সময়। এটি লেখার সাথে কী করতে পারে? সব। আপনার বাচ্চাদের সংবেদনশীলভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার একটি উপায় হ'ল অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া সহজ করা। বিচারযোগ্য না হওয়া এবং "আপনি সেই ছেলের মতো ভাবতে পারবেন না" বলে কিছু বলা চ্যালেঞ্জ হবে! অনুভূতি আসে এবং যায়। আপনার বাচ্চাদের তারা যা ভাবেন সেগুলি ভাগ করতে দিন এবং তাদের সেই অনুভূতিগুলি সম্পর্কে লিখতে উত্সাহ দিন। আপনি আপনার বাচ্চাকে আরও ভাল জানবেন এবং তারা মৌখিকভাবে বা আরও ঘন ঘন লিখিতভাবে জানিয়ে দেবেন।

৯. যে কোনও বয়সে ভাল সময় এবং খারাপ সময়ে লেখার একটি ভাল অভ্যাস হতে পারে। ভাল সময়ে আপনার সুখী চিন্তাগুলি আবার দেখার জন্য জীবন আরও উন্নত করে। দুঃখের সময়ে তা দু: খিত হয়ে যায়। অল্প বয়সে আপনার বাচ্চাদের লেখার জন্য উত্সাহ দিন। তারা সর্বদা এটি করার জন্য আপনার প্রশংসা করবে।

১০. বেশি লেখার জন্য বাচ্চাদের প্রাপ্তি জটিল নয়। যদি এগুলি সম্পর্কে আকর্ষণীয় বিষয়গুলি লিখতে হয় তবে তা মোটামুটি সহজ। একজন শিক্ষক হিসাবে আমি আমার শিক্ষার্থীদের সাথে জোর দিয়েছিলাম যে তারা যা কিছু মাথায় ঘুরছে তা লিখতে পারে, কেবল প্রথম খসড়ার জন্য এটি লিখিতভাবে লিখে রাখুন  আপনি এটি পরে আরও ভাল করতে পারেন। আপনার সন্তানের লেখার যাত্রার শুরুতে আপনি ছোট গল্প লেখার জন্য সচিব হতে পারেন। আপনি কেবল তিনি বা সে যা বলেছেন তা রেকর্ড করুন। অবশ্যই, গল্পগুলিতে কাটিয়ে উঠতে কোনও সমস্যা অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়ার মতো সুপারিশ আপনি করতে পারেন। এটি আপনার এবং আপনার সন্তানের জন্য মজাদার হবে। সুতরাং, লিখুন!

সুরা এখলাছ এর গুরত্ত ও তাৎপর্যয়। যে সুরায় আল্লাহ্‌র একত্তবাদ প্রকাশ পায় ।

 
সুরা এখলাছ এর গুরত্ত ও তাৎপর্যয়। যে সুরায় আল্লাহ্‌র একত্তবাদ প্রকাশ পায় ।

সুরা এখলাছ এর গুরত্ত ও তাৎপর্যয়। যে সুরায় আল্লাহ্‌র একত্তবাদ প্রকাশ পায় ।

قُلۡ ہُوَ  اللّٰہُ  اَحَدٌ  ۚ﴿۱﴾
বল, তিনি আল্লাহ, এক অদ্বিতীয়, মুসনাদে আহমদে হযরত উবাই ইবনে কা'ব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, মুশরিকরা নবী করীম (সঃ) কে বললোঃ “হে মুহাম্মদ (সঃ)! আমাদের সামনে তোমার প্রতিপালকের গুণাবলী বর্ণনা কর।" তখন আল্লাহ তা'আলা (আরবি) এ সূরাটি শেষ পর্যন্ত অবতীর্ণ করেন। (আরবি) শব্দের অর্থ হলো যিনি সৃষ্ট হননি। এবং যার সন্তান সন্ততি নেই। কেননা, যে সৃষ্ট হয়েছে সে এক সময় মৃত্যুবরণ করবে এবং অন্যেরা তার উত্তরাধিকারী হবে। আর আল্লাহ তা'আলা মৃত্যুবরণও করবেন না এবং তাঁর কোন উত্তরাধিকারীও হবে না।

 তিনি কারো সন্তান নন এবং তার সমতুল্য কেউই নেই। (ইমাম তিরমিযী (রঃ), ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) ইমাম ইবনে আবী হাতিমও (রঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম তিরমিযী (রঃ) এটাকে সহীহ বলেছেন) হযরত জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একজন বেদুইন নবী করিমের (সঃ) নিকট এসে বলেঃ “আমার সামনে আপনার প্রতিপালকের গুণাবলী বর্ণনা করুন!” তখন আল্লাহ তাআলা (আরবি) সূরাটি অবতীর্ণ করেন। [এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন হাফিয আবু ইয়ালা মুসিলী (রঃ)] অন্য এক রিওয়াইয়াতে আছে যে, কুরায়েশদের প্রশ্নের জবাবে আল্লাহ তা'আলা এ সূরাটি নাযিল করেন।

 হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “প্রত্যেক জিনিষেরই নিসবত বা সম্বন্ধ রয়েছে, আল্লাহর নিসবত হলো(আরবি) এবং তাকেই বলা হয় যিনি অন্তসারশূণ্য নন।” (এ হাদীসটি ইমাম তিবরানী (রঃ) বর্ণনা করেছেন) সহীহ বুখারীর কিতাবুত তাওহীদে নবী করীম (সঃ)-এর সহধর্মিনী হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, আল্লাহর নবী (সঃ) একটি লোকের নেতৃত্বে একদল সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন। তারা ফিরে এসে নবী করীম (সঃ) কে বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! যাকে আপনি আমাদের নেতা মনোনীত করেছেন তিনি প্রত্যেক নামাযে কিরআতের শেষে।(আরবি) সূরাটি পাঠ করতেন।

” নবী করীম (সঃ) তাদেরকে বললেনঃ “সে কেন এরূপ করতো তা তোমরা তাকে জিজ্ঞেস কর তো?” তাকে জিজ্ঞেস করা হলে উত্তরে তিনি বলেনঃ “এ সূরায় আল্লাহর রাহমানুর রাহীমের গুণাবলী বর্ণনা করা হয়েছে, এ কারণে এ সূরা পড়তে আমি খুব ভালবাসি।" এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “তাকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহও তাকে ভালবাসেন।” সহীহ বুখারীর কিতাবুস সলাতে হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একজন আনসারী মসজিদে কুবার ইমাম ছিলেন। তাঁর অভ্যাস ছিল যে, তিনি সূরা ফাতিহা পাঠ করার পরই সূরা ইখলাস পাঠ করতেন। তারপর কুরআনের অন্য অংশ পছন্দমত পড়তেন।
If you want to read the Latest English News, click here:

 একদিন মুক্তাদী তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ “আপনি সূরা ইখলাস পাঠ করেন, তারপর অন্য সূরাও এর সাথে মিলিয়ে দেন, কি ব্যাপার? হয় শুধু সূরা ইখলাস পড়ুন অথবা এটা ছেড়ে দিয়ে অন্য সূরা পড়ুন।” আনসারী জবাব দিলেনঃ “আমি যেমন করছি তেমনি করবো, তোমাদের ইচ্ছা হলে আমাকে ইমাম হিসেবে রাখখা, না হলে বলো, আমি তোমাদের ইমামতি ছেড়ে দিচ্ছি।” মুসল্লীরা দেখলেন যে, এটা মুশকিল ব্যাপার! কারণ উপস্থিত সকলের মধ্যে তিনিই ছিলেন ইমামতির সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। তাই তার বিদ্যমানতায় তারা অন্য কারো ইমামতি মেনে নিতে পারলেন না (সুতরাং তিনিই ইমাম থেকে গেলেন)। 

একদিন রাসুলুল্লাহ (সঃ) সেখানে গমন করলে মুসল্লীরা তাঁর কাছে এ ঘটনা ব্যক্ত করলেন। তিনি তখন ঐ ইমামকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেনঃ “তুমি মুসল্লীদের কথা মানো না কেন? প্রত্যেক রাকআতে সূরা ইখলাস পড় কেন?” ইমাম সাহেব উত্তরে বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! এ সূরার প্রতি আমার বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে।” তার একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁকে বললেনঃ “এ সূরার প্রতি তোমার আসক্তি ও ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে পৌছিয়ে দিয়েছে।

” মুসনাদে আহমদে ও জামে তিরমিযীতে হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একটি লোক এসে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমি (আরবি) এই সূরাটিকে ভালবাসি।” তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁকে বললেনঃ “ তোমার এ ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবিষ্ট করবে।” সহীহ বুখারীতে হযরত আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একটি লোক অন্য একটি লোককে রাত্রিকালে বারবার (আরবি) এ সূরাটি পড়তে শুনে সকালে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট এসে এ ঘটনাটি বর্ণনা করেন। লোকটি সম্ভবতঃ ঐ লোকটির এ সূরা পাঠকে হালকা সওয়াবের কাজ মনে করেছিলেন। 
If you want to read the Home Based Business News, clickhere:

রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁকে বলেনঃ “যে সত্ত্বার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে তাঁর শপথ! এ সূরা কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য।” সহীহ বুখারীতে হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) সাহাবীদেরকে বললেনঃ “ তোমরা প্রত্যেকেই কি কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করতে পারবে না?” সাহাবীদের কাছে এটা খুবই কষ্ট সাধ্য মনে হলো। তাই, তাঁরা বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমাদের মধ্যে কার এ ক্ষমতা আছে?” তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাদেরকে বললেনঃ “জেনে রেখো যে, (আরবি) এ সূরাটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য।" মুসনাদে আহমদে হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত কাতাদা ইবনে নু’মান (রাঃ) সারা রাত ধরে সুরা ইখলাস পড়তে থাকলেন। রাসুলুল্লাহ (সঃ) কে এটা জানানো হলে তিনি বললেন, “এ সুরা অর্ধেক কুরআন অথবা এক তৃতীয়াংশ কুরআনের সমতুল্য।

” মুসনাদে আহমদে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ) এক মজলিসে ছিলেন। তিনি জনগণকে বলেন! “ তোমাদের মধ্যে কারো প্রত্যেক রাত্রে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পাঠের ক্ষমতা আছে কি?” তারা উত্তরে বললেনঃ “আমাদের মধ্যে কার এ ক্ষমতা থাকতে পারে?” তখন তিনি বললেনঃ “জেনে রেখো যে, (আরবি) সূরাটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের (এর সমতূল্য)।" এমন সময় নবী করীম (সঃ) সেখানে এসে পড়লেন এবং হযরত আবু আইয়ুব (রাঃ) কে এ কথা বলতে শুনলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ “আবু আইয়ুব (রাঃ) সত্য কথাই বলেছে।

” জামে তিরমিযীতে হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) সাহাবীদেরকে বললেনঃ তোমরা সমবেত হও, আজ আমি তোমাদেরকে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ শোনাবো।” সাহাবীগণ সমবেত হলেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) ঘর থেকে বের হয়ে এসে(আরবি) সূরাটি পাঠ করলেন। তারপর আবার ঘরে চলে গেলেন। সাহাবীরা তখন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে লাগলেনঃ “রাসূলুল্লাহ (সঃ) তো আমাদেরকে কথা দিয়েছিলেন যে, আমাদেরকে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ শোনাবেন, সম্ভবত আকাশ থেকে কোন অহী এসেছে।” এমন সময় রাসূলুল্লাহ (সঃ) বের হয়ে এসে বললেনঃ “আমি তোমাদেরকে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ শোনানোর জন্যে কথা দিয়েছিলাম। 

জেনে রেখো যে, এই সূরাটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য।” হযরত আবুদ দারদার (রাঃ) বর্ণনায় রয়েছে যে, নবী করীম (সঃ) সাহাবীদের উদ্দেশ্যে বললেনঃ “তোমরা কি প্রতিদিন কুরআনের এক তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করতে অপারগ?” সাহাবীগণ আরয করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! এ ব্যাপারে আমরা খুবই দুর্বল এবং অক্ষম।” রাসূলুল্লাহ (সঃ) তখন বললেনঃ জেনে রেখো যে, আল্লাহ তাআলা কুরআনকে তিনভাগে বিভক্ত করেছেন। (আরবি) সূরাটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশ। (এ হাদীসটি ইমাম মুসলিম (রঃ) ও ইমাম নাসায়ী (রঃ) বর্ণনা করেছেন। এ ধরনের রিওয়াইয়াত সাহাবীদের একটি বড় জামাআত হতে বর্ণিত রয়েছে) হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একবার রাসূলুল্লাহ (সঃ) কোথাও হতে তাশরীফ আনলেন, তাঁর সাথে হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) ছিলেন। 

রাসূলুল্লাহ (সঃ) একটি লোককে এ সূরাটি পাঠ করতে শুনে বললেনঃ “ওয়াজিব হয়ে গেছে।" হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! কি ওয়াজিব হয়ে গেছে?” তিনি উত্তরে বললেনঃ “জান্নাত (ওয়াজিব হয়ে গেছে)।” (এ হাদীসটি ইমাম তিরমিযী (রঃ) ও ইমাম নাসায়ী (রঃ) বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী (রঃ) এটাকে হাসান, সহীহ, গারীব বলেছেন) হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ “ তোমাদের মধ্যে কেউ কি রাত্রিকালে (আরবি) সূরাটি তিনবার পড়ার ক্ষমতা রাখে না? এ সূরা কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতূল্য। (এ হাদীসটি হাসিম আবু ইয়ালা মুসিলী (রঃ) বর্ণনা করেছেন। 

এর সনদ দুর্বল) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হাবীব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (তার পিতা) বলেনঃ “আমরা পিপাসার্ত ছিলাম, চারদিকে রাতের গভীর অন্ধকার, রাসূলুল্লাহ (সঃ) কখন অসিবেন এবং নামায। পড়াবেন আমরা তারই অপেক্ষা করছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সঃ) এক সময় এলেন এবং আমার হাত ধরে বললেনঃ “পড়।” আমি নীরব থাকলাম। রাসূলুল্লাহ (সঃ) আবার বললেনঃ “পড়।” আমি বললামঃ কি পড়বো? তিনি বললেনঃ “প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় তিনবার সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়বে। প্রতিদিন তোমার জন্যে দুই বারই যথেষ্ট।” (এ হাদীস আবদুল্লাহ ইবনে ইমাম আহমদ (রঃ), ইমাম আবু দাউদ (রঃ) ও ইমাম নাসায়ী (রঃ) বর্ণনা করেছেন) সুনানে নাসাঈর একটি রিওয়াইয়াতে রয়েছেঃ “এ তিনটি সূরা পাঠ করলে এগুলো তোমাকে প্রত্যেক জিনিষ হতে রক্ষা করবে।

” মুসনাদে আহমদে হযরত তামীম দারী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি নিম্নলিখিত কালেমা দশবার পাঠ করবে সে চল্লিশ লাখ পূণ্য লাভ করবে। (আরবি) অর্থাৎ “আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই, তিনি এক একক, অভাবমুক্ত, তিনি স্ত্রীও গ্রহণ করেননি, সন্তানও না (অর্থাৎ তাঁর স্ত্রীও নেই, সন্তানও নেই) এবং তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।” (হাদীসের একজন বর্ণনাকারী খলীল ইবনে মুররাহ রয়েছেন। ইমাম বুখারী (রঃ) এবং অন্যান্য ইমাম তাঁকে খুবই দুর্বল বলে উল্লেখ করেছেন) মুসনাদে আহমদে হযরত আনাস জুহনী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি শেষ পর্যন্ত পাঠ করবে আল্লাহ তা'আলা তার জন্যে জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরি করবেন।

” এ কথা শুনে হযরত উমার (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! কেউ যদি আরো বেশী বার পাঠ করে?" উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সঃ)! বললেন:“আল্লাহ এর চেয়েও অধিক ও উত্তম প্রদানকারী (অর্থাৎ আল্লাহ পাক বেশীও দিতে পারবেন, তার কোনই অভাব নেই।)” হ্যরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়াব (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম (সঃ) বলেছেনঃ “যে(আরবি) সুরাটি দশবার পাঠ করবে আল্লাহ্ তার জন্যে জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরি করবেন, যে বিশ বার করবে তার জন্যে তৈরি করবেন জান্নাতে দু'টি প্রাসাদ এবং যে ব্যক্তি ত্রিশবার পাঠ করবে তার জন্যে আল্লাহ্ তা'আলা জান্নাতে তিনটি প্রাসাদ তৈরি করবেন।

If you want to read the Fish Advice News, click here:


” তখন হযরত উমার (রাঃ) বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! যদি আমরা এর চেয়েও বেশী বার পড়ি?” উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “আল্লাহ এর চেয়েও অধিকদাতা।” (এ হাদীসটি মুরসাল এবং উত্তম। দারিমী (রঃ) এটা বর্ণনা করেছেন) হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “যে পঞ্চাশবার, (আরবি) পাঠ করে আল্লাহ তা'আলা তার পঞ্চাশ বছরের গুনাহ মাফ করে দেন।" (এ হাদীসটি হাফিয আবু ইয়া’লা সৃসিলী (রঃ) বর্ণনা করেছেন। এর সনদ দুর্বল) হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “যে(আরবি) দিনে দুইশত বার পাঠ করে তার জন্যে আল্লাহ্ তা'আলা এক হাজার পাঁচশত পুণ্য লিখে থাকেন যদি তার উপর কোন ঋণ না থাকে।

 এটাও বর্ণনা করেছেন হাফিয আবু ইয়ালা সৃসিলী (রঃ)। এর সনদও দুর্বল। জামে তিরমিযীর একটি হাদীসে রয়েছে যে, যে ব্যক্তি প্রত্যহ দুইশত বার পাঠ করে তার পঞ্চাশ বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়, যদি সে ঋণগ্রস্ত না হয়।” জামে তিরমিযীর একটি গারীব বা দুর্বল হাদীসে রয়েছে যে, নবী করীম (সঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি ঘুমোবার জন্যে বিছানায় যায়, তারপর ডান পাশ ফিরে শয়ন করতঃ একশতবার(আরবি) পাঠ করে তাকে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা'আলা বলবেনঃ “হে আমার বান্দা! তোমার ডান দিক দিয়ে জান্নাতে চলে যাও।” হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দুইশত বার। 

পাঠ করে তার দুইশত বছরের পাপ মিটিয়ে দেয়া হয়।” (এ হাদীসটি আবু বকর বার (রঃ) বর্ণনা করেছেন) সুনানে নাসায়ীতে এই সূরার তাফসীরে হযরত বারীদাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)-এর সাথে মসজিদে প্রবেশ কালে দেখেন যে, একটি লোক নামায পড়ছে এবং নিম্নলিখিত দুআ করছেঃ (আরবি) অর্থাৎ “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এ সাক্ষ্যসহ আবেদন করছি যে, আপনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, আপনি এক ও অদ্বিতীয়, আপনি কারো মুখাপেক্ষী নন, আপনি এমন সত্ত্বা যার কোন সন্তান নেই এবং তিনিও কারো সন্তান নন এবং যার সমতুল্য কেউ নেই।” তখন রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) বললেনঃ “যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে সেই সত্তার শপথ! এ ব্যক্তি ইসমে আযমের সাথে দু'আ করেছে। আল্লাহর এই মহান নামের সাথে তার কাছে কিছু যাঞ্চা করলে তিনি তা দান করেন এবং এই নামের সাথে দু’আ করলে তিনি তা কবুল করে থাকেন।

If you want to read the Relationship advice News, click here:


” (এ হাদীসটি ইমাম নাসায়ী (রঃ) ছাড়াও অন্যান্য আসহাবে সুনানও বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম তিরমিযী (রঃ) এটাকে হাসান গারীব বলেছেন) হযরত জাবির ইবনে আবদিল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “তিনটি কাজ এমন রয়েছে যে, যে ব্যক্তি এগুলো সম্পাদন করে সে জান্নাতের দরজাগুলোর যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে এবং জান্নাতের যে কোন হ্যারের সাথে ইচ্ছা বিবাহিত হতে পারবে। (এক) যে ব্যক্তি তার হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেয়, (দুই) নিজের গোপনীয় ঋণ পরিশোধ করে এবং (তিন) প্রত্যেক ফরয নামাযের পরে দশবার (আরবি) সূরাটি পাঠ করে।” তখন হযরত আবু বকর (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসুল (সঃ)! এ তিনটি কাজের যে কোন একটি যদি কেউ করে?” উত্তরে রাসুলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “একটি করলেও একই রকম সম্মান সে লাভ করবে।” (এ হাদীসটি হাফিয আবু ইয়ালা মুসিলী (রঃ) বর্ণনা করেছেন) হযরত জারীর ইবনে আবদিল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি তার ঘরে প্রবেশের সময়।

(আরবি) পাঠ করবে আল্লাহ। তা'আলা তার ঘরের বাসিন্দাদেরকে এবং প্রতিবেশীদেরকে অভাবমুক্ত করে:দিবেন।” (হাফিয আবুল কাসিম তিবরানী (রঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটি যঈফ বা দুর্রল) মুসনাদে আবী ইয়ালায় হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ “আমরা তাবুকের যুদ্ধ ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সাথে ছিলাম। সূর্য এমন স্বচ্ছ, উজ্জ্বল ও পরিষ্কারভাবে উদিত হলো যে, ইতিপূর্বে কখনো এমনভাবে সূর্য উদিত হতে দেখা যায়নি। রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কাছে হযরত জিবরাঈল (আঃ) এলে তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেনঃ “আজ এ রকম উজ্জ্বল দীপ্তির সাথে সূর্যোদয়ের কারণ কি?” হযরত জিবরাঈল (আঃ) উত্তরে বললেনঃ “আজ মদীনায় মুআবিয়া ইবনে মুআবিয়ার (রাঃ) ইন্তেকাল হয়েছে। তার জানাযার নামাযে অংশগ্রহণের জন্যে আল্লাহ রাব্বল আলামীন সত্তর হাজার ফেরেশতা আসমান থেকে পাঠিয়েছেন।” 

রাসূলুল্লাহ (সঃ) প্রশ্ন করলেনঃ “তার কোন্ আমলের কারণে এরূপ হয়েছে?” জবাবে হযরত জিবরাঈল (আঃ) বললেনঃ “তিনি দিন রাত সব সময় চলাফেরায় উঠা বসায় সূরা ইখলাস পাঠ করতেন। আপনি যদি তার জানাযার নামাযে হাজির হতে চান তবে চলুন, আমি জমীন সংকীর্ণ করে দিচ্ছি।” রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “হ্যা, তাই ভাল।অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সঃ) ইবনে মুআবিয়া (রাঃ)-এর জানাযার নামায আদায় করলেন। (এ হাদীসটি হাফিয আবু বকর বায়হাকীও (রঃ) তার ‘দালাইলুন নবুওয়াত’ নামক গ্রন্থে ইয়াযীদ ইবনে হারুণের (রঃ) রিওয়াইয়াতে বর্ণনা করেছেন ইয়াযীদ (রঃ) আ’লা ইবনে মুহাম্মদ (রঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। এই আ’লা মাওযূ হাদীস বর্ণনা করে থাকেন বলে তার নামে অভিযোগ রয়েছে। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই ভাল জানেন) মুসনাদে আবী ইয়ালায় এ হাদীসের অন্য একটি সনদও রয়েছে। তাতে বর্ণনাকারী ভিন্ন ব্যক্তি।

 তাতে রয়েছে যে, হযরত জিবরাঈল (আঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট এসে বললেনঃ “মুআবিয়া ইবনে মুআবিয়া (রাঃ) ইন্তেকাল করেছেন। আপনি কি তার জানাযার নামায পড়তে চান?” রাসূলুল্লাহ (সঃ) উত্তরে বললেনঃ “হ্যা" হযরত জিবরাঈল (আঃ) তাঁর পালক দ্বারা জমীনে আঘাত করলেন। এর ফলে সমস্ত গাছ পালা, টিলা ইত্যাদি নিচু হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (সঃ) মৃতের জানাযা দেখতে গেলেন। তিনি নামায শুরু করলেন। তাঁর পিছনে ফেরেশতাদের দুটি কাতার বা সারি ছিল। প্রত্যেক সারিতে সত্তর হাজার ফেরেশতা ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) হযরত জিবরাঈল (আঃ) কে জিজ্ঞেস করলেনঃ “মুআবিয়ার (রাঃ)-এরূপ মর্যাদার কারণ কি?" জবাবে হযরত জিবরাঈল (আঃ) বললেনঃ (আরবি) সূরাটির প্রতি তাঁর বিশেষ ভালবাসা এবং উঠতে বসতে, চলতে ফিরতে ও আসতে যেতে এ সূরাটি পাঠ করাই তার এ মর্যাদার কারণ।” (এ হাদীসটি ইমাম বায়হাকীও (রঃ) বর্ণনা করেছেন। তার এ হাদীসের সনদে মাহবুব ইবনে হিলাল রয়েছেন। আবু হাতিম রাযী (রঃ) বলেন যে, ইনি বর্ণনাকারী হিসেবে মাশহুর নন।

 মুসনাদে আবী ইয়ালায় বর্ণিত এ হাদীসের বর্ণনাকারী ইনি নন, সেখানে এর স্থলে আবু আবদিল্লাহ ইবনে মাসউদ রয়েছেন। কিন্তু মাহবুব ইবনে হিলালের বর্ণনাই যথার্থ বলে মনে হয়। কারণ আবু আবদিল্লাহ ইবনে মাহবুব রিওয়াইয়াতের আরো বহু সনদ রয়েছে এবং সব সনদই যঈফ বা দুর্বল) মুসনাদে আহমদে হযরত উকবা ইবনে আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ “একদা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হলো। আমি সঙ্গে সঙ্গে তার সাথে মুসাফাহা (করমর্দন) করে বললামঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! মুমিনের মুক্তি কোন আমলে রয়েছে?” তিনি উত্তরে বললেনঃ “হে উকবা’ (রাঃ) জিহবা সংযত রেখো, নিজের ঘরেই বসে থাকো এবং নিজের পাপের কথা স্মরণ করে কান্নাকাটি করো।” পরে দ্বিতীয়বার রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হলে তিনি নিজেই আমার সাথে করমর্দন করে বললেনঃ হে উকবা (রাঃ) আমি কি তোমাকে তাওরাত, ইঞ্জীল, যবূর এবং কুরআনে অবতীর্ণ সমস্ত সূরার মধ্যে উৎকৃষ্ট সূরার কথা বলবো?” আমি উত্তর দিলামঃ “হ্যা হে আল্লাহ রাসূল (সঃ)! অবশ্যই বলুন, আপনার প্রতি আল্লাহর আমাকে উৎসর্গিত করুন! তিনি তখন আমাকে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, এবং সূরা নাস পাঠ করালেন, তারপর বললেনঃ “হে উকবা (রাঃ)“ এ সুরাগুলো ভুলো না। প্রতিদিন রাত্রে এগুলো পাঠ করো।

” হযরত উকবা (রাঃ) বলেনঃ এরপর থেকে আমি এ সূরাগুলোর কথা ভুলিনি এবং এগুলো পাঠ করা ছাড়া আমি কোন রাত্রি কাটাইনি। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহর (সঃ) সাথে সাক্ষাৎ করলাম এবং ত্বরিৎ তার হাত আমার হাতের মধ্যে নিয়ে আরয করলামঃ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমাকে উত্তম আমলের কথা বলে দিন। তখন তিনি বললেনঃ “শোননা, যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে তুমি তার সাথে সম্পর্ক মিলিত রাখবে, যে তোমাকে বঞ্চিত করবে তুমি তাকে দান করবে। তোমার প্রতি যে যুলুম করবে তুমি তাকে ক্ষমা করবে।” (এ হাদীসের কিছু অংশ ইমাম তিরমিযী (রঃ) তাঁর জামে তিরমিযীতে যুহদ’ শীর্ষক অধ্যায়ে সংযোজন করেছেন এবং বলেছেন যে, এ হাদীসটি হাসান। মুসনাদে আহমদেও এ হাদীসের আরেকটি সনদ রয়েছে) সহীহ বুখারীতে হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) রাত্রিকালে যখন বিছানায় যেতেন তখন এ তিনটি সূরা পাঠ করে উভয় হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে সারা দেহের যত দূর পর্যন্ত হাত পৌঁছানো যায় ততদূর পর্যন্ত হাতের ছোঁয়া দিতেন। প্রথমে মাথায়, তারপর মুখে, এবং এরপর দেহের সামনের অংশে তিনবার এভাবে হাতের ছোঁয়া দিতেন। 

(এ হাদীসটি সুনানে আবী দাউদে বর্ণিত হয়েছে) ১-৪ নং আয়াতের তাফসীর এ সূরাটি অবতীর্ণ হওয়ার কারণ (শানে নুযূল) পূর্বেই বর্ণিত হয়েছে। হযরত ইকরামা (রঃ) বলেন যে, ইয়াহুদিরা বলতঃ আমরা আল্লাহর পুত্র (নাউযুবিল্লাহ) উযায়ের (আঃ)-এর উপাসনা করি।” আর খৃস্টানরা বলতোঃ “আমরা আল্লাহর পুত্র (নাউযুবিল্লাহ) ঈসার (আঃ) পূজা করি।” মাজুসীরা বলতোঃ “আমরা চন্দ্র সূর্যের উপাসনা করি।” আবার মুশরিকরা বলতোঃ আমরা মূর্তি পুজা করি।” আল্লাহ তা'আলা তখন এই সুরা অবতীর্ণ করেন। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি বলোঃ আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর মত আর কেউই নেই। তার কোন উপদেষ্টা অথবা উযীর নেই। তিনি একমাত্র ইলাহ্ বা মাবুদ হওয়ার যোগ্য। নিজের গুণ বিশিষ্ট ও হিকমত সমৃদ্ধ কাজের মধ্যে তিনি একক ও বে-নযীর। তিনি সামাদ অর্থাৎ অমুখাপেক্ষী। সমস্ত মাখলুক, সমগ্র বিশ্বজাহান তার মুখাপেক্ষী। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, সামাদ তাকেই বলে যিনি নিজের নেতৃত্বে, নিজের মর্যাদায়, বৈশিষ্ট্যে, নিজের বুযর্গীতে, শ্রেষ্ঠত্বে জ্ঞান-বিজ্ঞানের, হিকমতে, বুদ্ধিমত্তায় সবারই চেয়ে অগ্রগণ্য। এই সব গুণ, শুধুমাত্র আল্লাহ জাল্লা শানুহুর মধ্যেই লক্ষ্য করা যায়। তাঁর সমতুল্য ও সমকক্ষ আর কেউ নেই। তিনি পূত পবিত্র মহান সত্তা। তিনি এক ও অদ্বিতীয়।

 তিনি সবারই উপর বিজয়ী, তিনি বেনিয়ায। সামাদ এর একটা অর্থ এও করা হয়েছে যে, ‘সামাদ’ হলেন তিনি যিনি সমস্ত মাখলুক ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরও অবশিষ্ট থাকেন। যিনি চিরন্তন ও চিরবিদ্যমান। যার লয় ও ক্ষয় নেই এবং যিনি সব কিছু হিফাযতকারী। যার সত্তা অবিনশ্বর এবং অক্ষয়। হযরত ইকরামা (রঃ) বলেন যে, (আরবি) সেই সত্তা যিনি কোন কিছু আহারও করেন না। এবং যার মধ্য হতে কোন কিছু বেরও হয় না। আর যিনি কাউকেও বের করেন না। অর্থাৎ তিনি কাউকেও জন্ম দেন না। তাঁর কোন সন্তান সন্ততি নেই এবং তিনিও কারো সন্তান নন। তাঁর পিতা মাতা নেই। এ তাফসীর খুবই উত্তম ও উৎকৃষ্ট। ইমাম ইবনে জারীর (রঃ)-এর রিওয়াইয়াতে হযরত উবাই ইবনে কা'ব (রাঃ) থেকে উপরোক্ত বর্ণনা উল্লিখিত রয়েছে। বহু সংখ্যক সাহাবী ও তাবেয়ী' থেকে বর্ণিত আছে যে, সামাদ এমন জিনিষকে বলা হয় যা অন্তঃসার শূন্য নয়, যার পেট নেই। শাবী (রঃ) বলেন যে, সামাদ' এর অর্থ হলো যিনি পানাহার করেন না। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে বুরাইদাহ্ (রঃ) বলেন যে, “সামাদ’ এমন নুরকে বলা হয় যা উজ্জ্বল, রওশন ও দ্বীপ্তিময়। একটি মারফু হাদীসেও রয়েছে যে, সামাদ’ এমন এক সত্তা যার পেট নেই। অথাৎ যিনি আহারের প্রয়োজনীয়তা থেকে মুক্ত। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ হাদীসটি মার’ নয়, বরং মাওকুফ। হাফিয আবুল কাসিম তিবরানী (রঃ) তাঁর আস সুন্নাহ গ্রন্থে সামাদ এর উপরোক্ত সব তাফসীর উল্লেখ করে লিখেছেন যে, আসলে এ সব কথাই সত্য ও সঠিক। 

উল্লিখিত সমস্ত গুণ এবং বৈশিষ্ট্য আমাদের মহান প্রতিপালকের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। সবাই তার মুখাপেক্ষী, তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে বড়। তাঁর আহারের প্রয়োজন নেই। সবই ধবংস হয়ে যাবে, কিন্তু তিনি চিরন্তন। তার লয় নেই, ক্ষয় নেই। তিনি অবিনশ্বর। এরপর ইরশাদ হচ্ছেঃ আল্লাহর সন্তান সন্ততি নেই, পিতা মাতা নেই, স্ত্রী নেই। যেমন কুরআন কারীমের অন্যত্র রয়েছেঃ (আরবি) অর্থাৎ “তিনি আসমান ও জমীনের সৃষ্টিকর্তা, কি করে তাঁর সন্তান হতে পারে? তার তো স্ত্রী নেই, সকল জিনিষ তো তিনিই সৃষ্টি করেছেন!” (৬:১০১) অর্থাৎ তিনি সব কিছুর স্রষ্টা ও মালিক, এমতাবস্থায় তাঁর সৃষ্টি ও মালিকানায় সমকক্ষতার দাবীদার কে হবে? অর্থাৎ তিনি উপরোক্ত সমস্ত আয়েব থেকে মুক্ত ও পবিত্র। যেমন কুরআনের অন্যত্র রয়েছেঃ (আরবি) অর্থাৎ “তারা বলেঃ দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন। তোমরা তো এক বীভৎস কথার অবতারণা করেছে; এতে যেন আকাশমণ্ডলী বিদীর্ণ হয়ে যাবে, পৃথিবী খণ্ড-বিখণ্ড হবে ও পর্বতমণ্ডলী চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে।

 যেহেতু তারা দয়াময়ের প্রতি সন্তান আরোপ করে। অথচ সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের জন্যে শোভনীয় নয়। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে এমন কেউ নেই, যে দয়াময়ের নিকট উপস্থিত হবে না বান্দারূপে। তিনি তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রেখেছেন এবং তিনি তাদেরকে বিশেষভাবে গণনা করেছেন। আর কিয়ামতের দিন তাদের সকলেই তাঁর নিকট আসবে একাকী অবস্থায়।” (১৯:৮৮-৯৫) আল্লাহ তা'আলা আরো বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “তারা বলে যে, দয়াময়, সন্তান গ্রহণ করেছেন, অথচ আল্লাহ তা থেকে পবিত্র, বরং তারা তাঁর সম্মানিত বান্দী। কথার দিক থেকেও এই বান্দাসমূহ আল্লাহকে অতিক্রম করে না, বরং তারা আল্লাহর ফরমান যথারীতি পালন করে।" (২১:২৬-২৭) আল্লাহ পাক আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “তারা আল্লাহ ও জ্বিনদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে রেখেছে। অথচ জ্বিনেরা জানে তাদেরকে ও শাস্তির জন্যে উপস্থিত করা হবে।

 আল্লাহ তা'আলা তাদের বর্ণিত দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত ও পবিত্র।” (৩৭:১৫৮-১৫৯) সহীহ বুখারীতে রয়েছে যে, কষ্টদায়ক কথা শুনে এতো বেশী ধৈর্য ধারণকারী আল্লাহ ছাড়া আর কেউ নেই। মানুষ বলে যে, আল্লাহর সন্তান রয়েছে, তবুও তিনি তাকে অন্ন দান করছেন, স্বাস্থ্য ও সুস্থতা দান করছেন। সহীহ বুখারীতে হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “আদম সন্তান আমাকে অবিশ্বাস করে, অথচ এটা তার জন্যে সমীচীন নয়। সে আমাকে গালি দেয়, অথচ এটাও তার জন্যে সমীচীন ও সঙ্গত নয়। তারা আমাকে অবিশ্বাস করে বলে যে, আমি নাকি প্রথমে তাকে যেভাবে সৃষ্টি করেছি পরে আবার সেভাবে পুনরুজ্জীবিত করতে পারবো না। অথচ দ্বিতীয়বারের সৃষ্টির চেয়ে প্রথমবারের সৃষ্টি তো সহজ ছিল না। যদি আমি প্রথমবারের সৃষ্টিতে সক্ষম হয়ে থাকি তবে দ্বিতীয়বারের সৃষ্টিতে সক্ষম হবো না কেন?” আর সে আমাকে গালি দিয়ে বলে যে, আমার নাকি সন্তান রয়েছে, অথচ আমি একাকী, আমি অদ্বিতীয়, আমি অভাবমুক্ত ও অমুখাপেক্ষী। আমার কোন সন্তান সন্ততি নেই। আমার পিতা মাতা নেই, এবং আমার সমতুল্য কেউ নেই।”

সুরা ফালাখ এর তাৎপর্য ও গুরত্ত ।

সুরা ফালাখ এর তাৎপর্য ও গুরত্ত ।

 সুরা ফালাখ এর তাৎপর্য ও গুরত্ত ।

 قُلۡ اَعُوۡذُ  بِرَبِّ الۡفَلَقِ ۙ﴿۱﴾

বল, ‘আমি আশ্রয় চাচ্ছি সকাল বেলার রব-এর, ১-৫ নং আয়াতের তাফসীর মুসনাদে ইবনে আবী হাতিমে হযরত জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, (আরবি) সকাল বেলাকে বলা হয়। আওফী (রঃ) হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতেও এটাই বর্ণনা করেছেন। কুরআন কারীমেরই অন্য জায়গায় (আরবি) রয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে এটাও বর্ণিত আছে যে, (আরবি) এর অর্থ হলো মাখলুক। হযরত কা'ব আহবার (রাঃ) বলেন যে, (আরবি) হলো জাহান্নামের একটি জায়গা।

 ঐ জায়গার দরজা খোলা হলে তথাকার আগুনের উত্তাপ এবং ভয়াবহতায় জাহান্নামের সমস্ত অধিবাসী চীৎকার করতে শুরু করে। একটি মারফু হাদীসেও উপরোক্ত হাদীসেরই প্রায় অনুরূপ উক্তি রয়েছে। কিন্তু ওটাকে মুনকার হাদীস বলা হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন যে, (আরবি) জাহান্নামের নাম। ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) বলেন যে, প্রথমটিই সবচেয়ে বেশী নির্ভরযোগ্য উক্তি। অর্থাৎ (আরবি) এর অর্থ হলো সকাল বেলা। ইমাম বুখারীও (রঃ) একথাই বলেছেন এবং এটাই নির্ভুল। 

সমস্ত সৃষ্ট বস্তুর অপকারিতার মধ্যে জাহান্নাম, ইবলীস ও ইবলীসের সন্তান সন্ততিও রয়েছে। (আরবি) এর অর্থ হলো রাত। (আরবি) এর অর্থ হলো সূর্যাস্ত। অর্থাৎ যখন অন্ধকার রাত উপস্থিত হয়। ইবনে যায়েদ (রঃ) বলেন যে, আরবের লোকেরা সুরাইয়া নক্ষত্রের অস্তমিত হওয়াকে বলে। অসুখ এবং বিপদ আপদ সুরাইয়া নক্ষত্র উদিত হওয়ার পর বৃদ্ধি পায় এবং ঐ নক্ষত্র অস্তমিত হওয়ার পর অসুখ বিপদ আপদ কেটে যায়। একটি মারফু হাদীসে রয়েছে যে, (আরবি) হলো নক্ষত্রের নাম। কিন্তু এ হাদীসের মারফু হওয়ার কথা সত্য নয়। 

কোন কোন তাফসীরকার বলেন যে, (আরবি) এর অর্থ হলো চাঁদ। তাফসীরকারদের দলীল হলো মুসনাদে আহমদে বর্ণিত একটি হাদীস, যাতে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর হাত ধরে চাঁদের প্রতি ইশারা করে বললেনঃ “আল্লাহর কাছে ঐ (আরবি) এর অপকারিতা হতে আশ্রয় প্রার্থনা কর।" অন্য রিওয়াইয়াতে আছে যে, (আরবি) দ্বারা এটাই বুঝানো হয়েছে। উভয় উক্তির মধ্যে সহজেই সামঞ্জস্য বিধানের জন্যে বলা যেতে পারে যে, এটা হলো চাদের ক্রমবৃদ্ধি এবং নক্ষত্ররাজির আত্মপ্রকাশ ইত্যাদি।

 এসব কিছু রাত্রিকালেই হয়ে থাকে এবং যখন রাত্রির আগমন ঘটে। এ সব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সঠিক জ্ঞানের অধিকারী। গ্রন্থিসমূহের উপর পড়ে পড়ে ফুৎকারকারিণীরা অর্থাৎ যাদুকর নারীগণ। হযরত মুজাহিদ (রঃ) বলেন যে, যেই মন্ত্র পাঠ করে সাপে কাটা রোগীর উপর ফু দেয়া হয় এবং ভূত প্রেত তাড়ানোর জন্যে ফু দেয়া হয় এগুলো শিরকের খুবই কাছাকাছি। অন্য হাদীসে রয়েছে যে, হযরত জিবরাঈল (আঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কাছে এসে বললেনঃ “হে মুহাম্মদ (সঃ) আপনি কি রোগাক্রান্ত?” রাসূলুল্লাহ (সঃ) উত্তরে বললেন “হ্যা” হযরত জিবরাঈল (আঃ) তখন নিম্নের দু'আ দু'টি পাঠ করেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ফু দিচ্ছি সেই সব রোগের জন্যে যা আপনাকে কষ্ট দেয়, প্রত্যেক হিংসুকের অনিষ্ট ও কুদৃষ্টি হতে আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দান করুন। এই রোগ দ্বারা সম্ভবতঃ ঐ রোগকেই বুঝানো হয়েছে যে রোগে তিনি যাদুকৃত হওয়ার পর আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা স্বীয় রাসূল (সঃ) কে সুস্থতা ও আরোগ্য দান করেন। এতে হিংসুটে ইয়াহুদীদের যাদুর প্রভাব নস্যাৎ হয়ে যায়। 

If you want to read the Latest English News, click here:


তাদের সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেয়া হয়। তারা চরমভাবে লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়। রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে যাদু করা সত্ত্বেও তিনি যাদুকারীদেরকে কোন কটু কথা বলেননি এবং ধমকও। দেননি। আল্লাহ তা'আলা স্বীয় নবী (সঃ) কে সুস্থতা ও আরোগ্য দান করেন। মুসনাদে আহমদে হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) এর উপর একজন ইয়াহূদী যাদু করেছিল। এই কারণে নবী (সঃ) কয়েকদিন পর্যন্ত অসুস্থ ছিলেন। তারপর হযরত জিবরাঈল (আঃ) এসে তাঁকে জানান যে, অমুক ইয়াহূদী তার উপর যাদু করেছে এবং অমুক অমুক কুঁয়ায় গ্রন্থি বেঁধে রেখেছে। সুতরাং তিনি যেন কাউকে পাঠিয়ে ঐ গ্রন্থি খুলিয়ে আনেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) লোক পাঠিয়ে তখন কুঁয়া থেকে ঐ যাদু বের করিয়ে আনান এবং গ্রন্থিখুলে ফেলেন। ফলে যাদুর প্রভাব কেটে যেতে শুরু করে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ। (সঃ) ঐ ইয়াহুদীকে এ সম্পর্কে একটি কথাও বলেননি। এবং তাকে দেখে। কখনো মুখও মলিন করেননি।

 সহীহ বুখারীতে কিতাবুত তিব্বে হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর উপর যাদু করা হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ ভেবেছিলেন যে, তিনি তাঁর স্ত্রীদের কাছে গিয়েছেন, অথচ তিনি তাদের কাছে যাননি। হযরত সুফইয়ান (রঃ) বলেন যে, এটাই যাদুর সবচেয়ে বড় প্রভাব। এ অবস্থা হওয়ার পর একদিন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “হে আয়েশা (রাঃ)! আমি আমার প্রতিপালককে জিজ্ঞেস করেছি এবং তিনি আমাকে জানিয়েছেন। দু’জন লোকে আমার কাছে আসেন।

 একজন আমার মাথার কাছে এবং অন্যজন আমার পায়ের কাছে বসেন 'আমার কাছে অর্থাৎ শিয়রে যিনি বসেছিলেন, তিনি দ্বিতীয়জনকে জিজ্ঞেস করলেনঃ “এর অবস্থা কি?” দ্বিতীয়জন উত্তরে বললেনঃ “এঁর উপর যাদু করা হয়েছে। প্রথম জন প্রশ্ন করলেনঃ “কে যাদু করেছে?" দ্বিতীয়জন জবাব দিলেনঃ “লুবাইদ ইবনে আসাম। সে বান্ যুরাইক গোত্রের লোক। সে ইয়াহূদীদের মিত্র এবং মুনাফিক।" প্রথম জন জিজ্ঞেস করলেনঃ “কিসের মধ্যে যাদু করেছে?" দ্বিতীয়জন উত্তর দিলেনঃ “মাথার চুলে ও চিরুণীতে। প্রথমজন প্রশ্ন করলেনঃ “কোথায়, তা দেখাও।” দ্বিতীয়জন উত্তর দিলেনঃ “খেজুর গাছের বাকলে, পাথরের নিচে এবং যারওয়ান কূপে।” অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সঃ) ঐ কূপের কাছে গমন করলেন এবং তা থেকে ওসব বের করলেন। ঐ কূপের পানি ছিল যেন মেহদীর রঙ। ওর পাশের খেজুর গাছগুলোকে ঠিক শয়তানের মাথার মত মনে হচ্ছিল।

If you want to read the Islamic related news, click here:


 হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ): এ কাজের জন্যে তার উপর প্রতিশোধ গ্রহণ করা উচিত। রাসূলুল্লাহ (সঃ) একথা শুনে বললেনঃ “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। তিনি আমাকে নিরাময় করেছেন ও সুস্থতা দিয়েছেন। আমি মানুষের মধ্যে মন্দ ছড়ানো পছন্দ করি না।” অন্য একটি বর্ণনায় আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) কোন একটা কাজ করেননি। অথচ তাঁর মনে হতো যে, তিনি ওটা করেছেন। এটাও বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহর (সঃ) নির্দেশক্রমে ঐ কূপে মাটি ভর্তি করে দেয়া হয়। এও বর্ণনা করা হয়েছে যে, ছয় মাস পর্যন্ত রাসূলুল্লাহর (সঃ) এরূপ অবস্থা ছিল। তাফসীরে সালাবীতে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) ও হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, ইয়াহূদীদের একটা ছেলে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর খিদমত করতো। 

ঐ ছেলেটিকে ফুসলিয়ে ইয়াহুদীরা রাসূলুল্লাহর (সঃ) কয়েকটি চুল এবং তাঁর চুল আঁচড়াবার চিরুনীর কয়েকটি দাঁত হস্তগত করে। তারপর তারা ওগুলোতে যাদু করে। এ কাজে সবচেয়ে বেশী সচেষ্ট ছিল লুবাইদ ইবনে আসাম। এরপর যাদুর গ্রন্থি বা সুরাইক যারওয়ান নামক কূপে স্থাপন করে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সঃ) অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তার স্ত্রীদের কাছে গমন না করেও তাঁর মনে হতো যে তিনি তাদের কাছে গমন করেছেন। এইমন ভুলো অবস্থা দূরীকরণের জন্যে রাসূলুল্লাহ (সঃ) সচেষ্ট ছিলেন, কিন্তু এরকম অবস্থা হওয়ার কারণ তাঁর জানা ছিল না। ছয় মাস পর্যন্ত ঐ একই অবস্থা চলতে থাকে। তারপর উপরোল্লিখিত ঘটনা ঘটে। দুজন ফেরেশতা এসে কথােপকথনের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সঃ) 

If you want to read the Home Based Business News, clickhere:


কে প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে সচেতন করেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তখন হযরত আলী (রাঃ), হযরত যুবায়ের (রাঃ) এবং হযরত আম্মার (রাঃ) কে পাঠিয়ে কূপ থেকে যাদুর গ্রন্থিগুলো বের করিয়ে আনেন। ঐ যাদুকৃত জিনিষগুলোর মধ্যে একটি ধনুকের রঞ্জু ছিল, তাতে ছিল বারোটি গ্রন্থি বা গেরো। প্রত্যেক গেরোতে একটি করে সূচ বিদ্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তারপর আল্লাহ তা'আলা এ সূরা দু’টি অবতীর্ণ করেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) এ সূরা দু’টির এক একটি আয়াত পাঠ করছিলেন আর ঐ গ্রন্থিসমূহ একটি একটি করে আপনা আপনি খুলে যাচ্ছিল। সূরা দু'টি পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে সমস্ত গেরোই খুলে যায় এবং রাসূলুল্লাহ (সঃ) সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়ে ওঠেন। এদিকে হযরত জিবরাঈল (আঃ) উপরোল্লিখিত দু'আ পাঠ করেন। সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে বলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমরা কি ঐ নরাধমকে ধরে হত্যা করে ফেলবো রাসূলুল্লাহ (সঃ) উত্তরে বললেনঃ “না, আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা আমাকে আরোগ্য দান করেছেন। আমি মানুষের মধ্যে অনিষ্ট ও বিবাদ ফাসাদ সৃষ্টি করতে চাই না।”এ বর্ণনায় গারাবাত ও নাকারাত রয়েছে। এ সব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন।

সুরা নাছ এর আমল ও ফযিলত । (যে সুরা মানুষ কে সকল প্রকার খতি ও বদ নসিব থেকে হেফাজত করে।)

 
যে সুরা মানুষ কে সকল প্রকার খতি ও বদ নসিব থেকে হেফাজত করে।

সুরা নাছ এর  আমল ও ফযিলত । (যে সুরা মানুষ কে সকল প্রকার খতি ও বদ নসিব থেকে হেফাজত করে।)

قُلۡ  اَعُوۡذُ  بِرَبِّ النَّاسِ ۙ﴿۱﴾
বল, ‘আমি আশ্রয় চাচ্ছি মানুষের প্রতিপালকের, ১-৬ নং আয়াতের তাফসীর এ সূরায় মহা মহিমান্বিত আল্লাহর তিনটি গুণ বিবৃত হয়েছে। অর্থাৎ তিনি হলেন পালনকর্তা, শাহানশাহ এবং মা'বুদ বা পূজনীয়। সব কিছু তিনিই সৃষ্টি করেছেন, সবই তার মালিকানাধীন এবং সবাই তার আনুগত্য করছে। 

তিনি তার প্রিয় নবী (সঃ)-কে নির্দেশ দিচ্ছেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি বলে দাও, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের প্রতিপালকের, মানুষের অধিপতির এবং মানুষের মা'বুদের, পশ্চাদপসরণকারীর অনিষ্ট হতে যে মানুষের অন্তরসমূহে কুমন্ত্রণা ও প্ররোচনা দিয়ে থাকে। চাই সে জ্বিন হোক অথবা মানুষ হোক। অর্থাৎ যারা অন্যায় ও খারাপ কাজকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে চোখের সামনে হাজির করে পথভ্রষ্ট এবং বিভ্রান্ত করার কাজে যারা অতুলনীয়। আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাই শুধু তাদের অনিষ্ট হতে রক্ষা পেতে পারে।

 সহীহ হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেনঃ “তোমাদের প্রত্যেকের সাথে একজন করে শয়তান রয়েছে।” সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আপনার সাথেও কি শয়তান রয়েছে?” উত্তরে তিনি বললেনঃ “হ্যা আমার সঙ্গেও শয়তান রয়েছে? কিন্তু আল্লাহ তাআলা ঐ শয়তানের মুকাবিলায় আমাকে সাহায্য করেছেন, কাজেই আমি নিরাপদ থাকি। সে আমাকে পুণ্য ও কল্যাণের শিক্ষা দেয়।” 

সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর ই'তেকাফে থাকা অবস্থায় উম্মুল মু'মিনীন হযরত সফিয়া (রাঃ) তাঁর সাথে রাতের বেলায় দেখা করতে গিয়েছিলেন। তিনি ফিরে যাবার সময় রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)ও তাঁকে এগিয়ে দেয়ার জন্যে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে চলতে থাকেন। পথে দু’জন আনসারীর সাথে দেখা হলো। তারা রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)-এর সাথে তাঁর স্ত্রীকে দেখে দ্রুতগতিতে হেঁটে যাচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) তাঁদেরকে থামালেন এবং বললেনঃ “জেনে রেখো যে, আমার সাথে যে মহিলাটি রয়েছে এটা আমার স্ত্রী সফিয়া বিনতে হুইয়াই (রাঃ)।” তখন আনসারী দু’জন বললেনঃ “আল্লাহ্ পবিত্র। হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)। এ কথা আমাদেরকে বলার প্রয়োজনই বা কি ছিল?” রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) উত্তরে বললেনঃ “মানুষের রক্ত।

If you want to read the Bangla latest  News, click here:


 প্রবাহের স্থানে শয়তান ঘোরাফেরা করে থাকে। সুতরাং আমি আশংকা করছিলাম যে, শয়তান তোমাদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করে দেয় না কি।” হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেন “শয়তান তার হাত মানুষের অন্তকরণের উপর স্থাপন করে রেখেছে। মানুষ যখন আল্লাহর ইবাদত করে তখন সে নিজের হাত মানুষের অন্তকরণ থেকে সরিয়ে নেয়। আর যখন মানুষ আল্লাহকে ভুলে যায় তখন শয়তান মানুষের অন্তকরণের উপর পূর্ণ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

 এটাই শয়তানের কুমন্ত্রণা ও প্ররোচনা এবং এটাই ওয়াসওয়াসাতুল খান্নাস।” (এ হাদীসটি হাফিয আবূইয়ালা মুসিলী (রঃ) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু হাদীসটি গারীব বা দুর্বল) মুসনাদে আহমাদে এমন একজন সাহাবী হতে বর্ণিত আছে যিনি গাধার পিঠে রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)-এর পিছনে উপবিষ্ট ছিলেন। গাধা একটু হোঁচট খেলে ঐ সাহাবী বলে ওঠেনঃ “শয়তান ধ্বংস হোক।” তাঁর এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেনঃ “এভাবে বলো না, এতে শয়তান আরো বড় হয়ে যায়, আরো এগিয়ে আসে এবং বলেঃ আমি নিজের শক্তি দ্বারা তাকে কাবু করেছি।

 আর যদি বিসমিল্লাহ বলো তবে সে ছোট হতে হতে মাছির মতে হয়ে যায়। এতে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর স্মরণে শয়তান পরাজিত ও নিস্তেজ হয়ে যায়। আর আল্লাহকে বিস্মরণ হলে সে বড় হয়ে যায় ও জয়যুক্ত হয়। হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “তোমাদের মধ্যে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে শয়তান তার কাছে যায় এবং আদর করে তার গায়ে হাত বুলাতে থাকে, যেমন মানুষ গৃহপালিত পশুকে আদর করে। ঐ আদরে লোকটি চুপ করে থাকলে শয়তান তার নাকে দড়ি বা মুখে লাগাম পরিয়ে দেয়।

” হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করে বলেনঃ “তোমরা স্বয়ং নাকে দড়ি লাগানো এবং মুখে লাগাম পরিহিত লোককে দেখতে পাও। নাকে দড়ি লাগানো হলো ঐ ব্যক্তি যে এক দিকে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে থাকে এবং আল্লাহকে স্মরণ করে না। আর মুখে লাগাম পরিহিত হলো ঐ ব্যক্তি যে মুখ খুলে রাখে এবং আল্লাহর যিক্র করে না।” হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) এ আয়াতের তাফসীরে বলেন যে, শয়তান আদম সন্তানের মনে তার থাবা বসিয়ে রাখে। মানুষ যেখানেই ভুল করে এবং উদাসীনতার পরিচয় দেয় সেখানেই সে কুমন্ত্রণা দিতে শুরু করে।

 আর যেখানে মানুষ আল্লাহকে স্মরণ করে সেখানে সে পশ্চাদপসরণ করে। অন্য বর্ণনায় আছে যে, সুখ-শান্তি এবং দুঃখ কষ্টের সময় শয়তান মানুষের মনে ছিদ্র করতে চায়। অর্থাৎ তাকে পথভ্রষ্ট ও বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করে। এ সময়ে যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আল্লাহকে স্মরণ করে তবে শয়তান পালিয়ে যায়। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, শয়তানকে মানুষ যেখানে প্রশ্রয় দেয় সেখানে সে মানুষকে অন্যায় অপকর্ম শিক্ষা দেয়, তারপর কেটে পড়ে। এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ মানব মণ্ডলীর অন্তর সমূহে কুমন্ত্রণা দেয়। (আরবি) শব্দের অর্থ মানুষ। তবে এর অর্থ জ্বিনও হতে পারে। কুরআন কারীমের অন্যত্র রয়েছেঃ (আরবি) অর্থাৎ জ্বিনের মধ্য হতে কতকগুলো তোক। কাজেই জ্বিনসমূহকে শব্দের অন্তর্ভুক্ত করা অসঙ্গত নয়। 

মোটকথা, শয়তান। জ্বিন এবং মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দিয়ে থাকে। (আরবি) (জ্বিনের মধ্য হতে অথবা মানুষের মধ্য হতে)। অর্থাৎ এরা কুমন্ত্রণা দিয়ে থাকে, চাই সে জ্বিন হোক অথবা মানুষ হোক। এর তাফসীর এরূপও করা হয়েছে। মানব ও দানব শয়তানরা মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়। যেমন আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা অন্য এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “এভাবেই আমি মানবরূপী অথবা দানবরূপী শয়তানকে প্রত্যেক নবীর শত্রু বানিয়েছি। একজন অন্যজনের কানে ধোকা-প্রতারণামূলক কথা সাজিয়ে গুছিয়ে ব্যক্ত করে।” (৬:১১২)। মুসনাদে আহমদে হযরত আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর নিকট হাজির হন। ঐ সময় রাসূলুল্লাহ (সঃ) মসজিদে অবস্থান করছিলেন।

If you want to read the updated English News, click here:


হযরত আবু যার (রাঃ) তার পাশে বসে পড়লেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ “হে আবু যার (রাঃ)! তুমি নামায পড়েছো কি?” তিনি উত্তরে বললেনঃ “জ্বী, না।” তখন তিনি বললেনঃ “তা হলে উঠে নামায পড়ে নাও।” হযরত আবু যার (রাঃ) উঠে নামায পড়লেন। তারপর বসে পড়লেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে বললেনঃ “হে আবু যার (রাঃ) মানবরূপী শয়তান হতে এবং দানবরূপী শয়তান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর।” হযরত আবু যার (রাঃ) বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! মানুষের মধ্যেও কি শয়তান আছে? উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “হ্যা”, হযরত আবু যার (রাঃ) জিজ্ঞেস। করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ) নামায কি?" তিনি জবাবে বললেনঃ “নামায খুব ভাল কাজ। যার ইচ্ছা কম পড়তে পারে এবং যার ইচ্ছা বেশী পড়তে পারে।

” হযরত আবু যার (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)। রোযা কি?” তিনি জবাব দিলেনঃ “যথেষ্ট হওয়ার মত একটি ফরজ কাজ। আল্লাহর কাছে এর জন্যে বহু পুরস্কার রয়েছে। হযরত আবু যার (রাঃ) প্রশ্ন করলেনঃ “সাদকা কি?" তিনি উত্তরে বললেনঃ “সাদকা এমনই জিনিষ যার বিনিময় বহুগুণ বৃদ্ধি করে প্রদান করা হবে।” হযরত আবু যার (রাঃ) আর করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)। কোন সাদকা সবচেয়ে উত্তম?” রাসূলুল্লাহ। (সঃ) উত্তর দিলেনঃ “সম্পদ কম থাকা সত্ত্বেও সাদকা করা, অথবা চুপে চুপে কোন ফকীর মিসকীন ও দুঃখী জনের সাথে উত্তম ব্যবহার করা।” হযরত আবু যার (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! সর্বপ্রথম নবী কে ছিলেন?”

তিনি জবাবে বললেনঃ “হযরত আদম (আঃ) ছিলেন প্রথম নবী।” হযরত আবু যার (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ “হযরত আদম (আঃ) কি নবী ছিলেন?” রাসূলুল্লাহ (সঃ) জবাব দিলেনঃ “হ্যা, তিনি নবী ছিলেন, এবং এমন ব্যক্তি ছিলেন যার সঙ্গে আল্লাহ তা'আলা কথাবার্তা বলেছেন।” হযরত আবু যার (রাঃ) প্রশ্ন করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)। রাসূল কত জন ছিলেন?” তিনি উত্তরে বললেনঃ “তিনশত দশের কিছু বেশী, বলা যায় একটি বড় জামাআত।” আবার এও বললেনঃ “তিনশত পনেরো।” হযরত আবু যার (রাঃ) বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)!

আপনার প্রতি নাযিলকৃত আয়াতসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আয়াত কোনটি?” রাসূলুল্লাহ (সঃ) জবাব দিলেনঃ “আয়াতুল কুরসী অর্থাৎ,(আরবি) এই আয়াতটি।” (এ হাদীসটি ইমাম নাসায়ীও (রঃ) বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া ইমাম আবু হাতিম ইবনে হিব্বানও (রঃ) অন্য সনদে এ হাদীসটি দীর্ঘভাবে বর্ণনা করেছেন। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন) মুসনাদে আহমদে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একটি লোক নবী (সঃ)-এর নিকট এসে বললোঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমার মনে এমন সব চিন্তা আসে যেগুলো প্রকাশ করার চেয়ে আকাশ থেকে পড়ে যাওয়াই আমার নিকট বেশী পছন্দনীয় (সুতরাং এ অবস্থায় আমি কি করবো?)। নবী (সঃ) উত্তরে বললেনঃ “(তুমি বলবে): (আরবি) অর্থাৎ “আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান আল্লাহ তা'আলার জন্যেই সমস্ত প্রশংসা যিনি শয়তানের প্রতারণাকে ওয়াসওয়াসা অর্থাৎ শুধু কুমন্ত্রণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন, বাস্তবে কার্যে পরিণত করেননি।”

আল্লাহ্‌র নিকটবর্তী হওয়ার উপায় ।‌

আল্লাহ্‌র  নিকটবর্তী হওয়ার উপায় ।‌

আল্লাহ্‌র  নিকটবর্তী হওয়ার উপায় ।‌

মোঃ সিদ্দিকুর রহমান

আল্লাহ্‌র নিকটবর্তী হওয়ার উপায় । সর্বশক্তিমান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘সূর্য অস্ত যাচ্ছিল থেকে রাত পড়ার আগ পর্যন্ত নামাজ আদায় করুন এবং সকালে কোরআন তেলাওয়াতকে গুরুত্ব দিন। সকালে কুরআন তেলাওয়াত অবশ্যই এমন হতে হবে যে তা সাক্ষ্য দেয় এবং মধ্যরাতে এমনকি তাহাজ্জুদকে (কুরআন তেলাওয়াত) তিলাওয়াত করতে থাকে।

এটা আপনার জন্য বিশেষ হবে। আশা করা যায় যে আপনার পালনকর্তা আপনাকে বিশেষ প্রশংসা করবেন '(সূরা বানী ইসরাইল, আয়াত -৯৯)

উপরের আয়াতে আমাদের আল্লাহ্‌র নিকটবর্তী হওয়ার পদ্ধতি শিখানো হয়েছে। আমরা যদি তাঁর নিকটবর্তী হতে চাই, আমাদের অবশ্যই তাঁর কাছে কান্নাকাটি করতে হবে এবং আমাদের পাপের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।

আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, তিনি চাইলে তিনি আমাদের ক্ষমা করতে পারেন, আমাদের কাজ ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং প্রার্থনা করা চালিয়ে যাওয়া। সালাত আদায় করার অন্যতম সেরা সময়টি গভীর রাতে অর্থাৎ তাহাজ্জুদের সময়।

If you want to read the Business related news, click here:

হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে হজরত বেলাল (রহ।) বর্ণনা করেছেন যে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, 'তোমরা নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় কর, কারণ এটি পূর্ববর্তী নেককারদের পদ্ধতি ছিল এবং নবীজির নিকটবর্তী হওয়ার উপায় ছিল। স্রষ্টা। এই অভ্যাসটি পাপপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকে, মন্দ কাজগুলি দূর করে এবং শারীরিক অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে '(তিরমিজি, আবওয়াবুদ দাওয়াত)।

অন্য একটি হাদিসে হজরত আবু হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'রাতের শেষ প্রহর যখন আসে তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়ে বলেছিলেন, ' যে কেউ আছে? যে আমাকে প্রার্থনার জন্য জিজ্ঞাসা করবে এবং আমি তার প্রার্থনা গ্রহণ করব।

যে কেউ আছে? কে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে এবং আমি তাকে ক্ষমা করব। যে কেউ আছে? তিনি যদি নিজের দুঃখ দূর করার জন্য প্রার্থনা করেন তবে আমি সেই দুঃখ দূর করব। এইভাবে আল্লাহ তায়ালার এই আহ্বান অব্যাহত রয়েছে (ততক্ষণ পর্যন্ত) এমনকি সুবেহে সাদেক-প্রভাতের আলোক রেখাও ফুটে উঠেছে '(মুসনাদ আহমদ বিন হাম্বল, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫২১, বৈরুতে নরম)।

If you want to read the English Paper news, click here:

অন্য একটি হাদীসে হজরত আবু হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক প্রসঙ্গে বলেছেন, 'আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি যে তার সাথে শত্রুতা করেছি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। বন্ধু আমার বান্দা আমার নৈকট্য থেকে যতটুকু উপকার করতে সক্ষম হবেন, তার যা কিছু আমি পছন্দ করি এবং তার জন্য আমি যে বাধ্যতামূলক করেছি তা থেকে আর কিছু উপকৃত হতে পারবে না।

If you want to read the Business related news, click here:

আরও নফলের মাধ্যমে, আমার দাস আমার নিকটবর্তী হয়ে যায় যে আমি তাকে ভালবাসতে শুরু করি। এবং যখন আমি তাকে আমার বন্ধু না করি, তখন আমি তাঁর কানে কান পেলাম যার দ্বারা তিনি শুনেন, আমি সেই বনে যাই যার দ্বারা সে দেখে, আমি তার হাত ধরে যা সে ধরেছে, আমি তার পা হয়েছি যেখানে সে হাঁটে, অর্থাৎ, আমি তার. রূপক তৈরি।

তিনি যখনই আমাকে জিজ্ঞাসা করবেন আমি তাকে এটি দিয়ে থাকি, তিনি যখন আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেন তখন আমি তাকে নিরাপদ আশ্রয় দিই। '(বুখারী)

হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) আরও বর্ণনা করেন যে রাসুল (সা।) বলেছেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যে ব্যক্তির উপর রাত জেগে প্রার্থনা করেন এবং তাঁর প্রিয় স্ত্রীকে জাগ্রত করেন তার প্রতি দয়া করুন। যখন সে (স্ত্রী) ঘুম থেকে ওঠার জন্য লড়াই করে, তখন সে তার মুখের উপরে জল ছিটিয়ে দেয় যাতে সে জেগে ওঠে। একইভাবে, আল্লাহ সেই মহিলার প্রতি দয়া করুন, যিনি প্রথমে জেগেছিলেন, প্রার্থনা করেন এবং তাঁর প্রিয় স্বামীকেও জাগ্রত করেন। যদি স্বামী জেগে উঠতে দেরি করে তবে সে তার মুখের উপর জল ছিটিয়ে দেয় যাতে সে জেগে থাকে '(আবু দাউদ, কিতাবুস সালাত)।

পড়ুন কুরআনের প্রতি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। 

আমাদের যা করতে হবে-

ভক্তি সহ প্রতিদিন পাঁচটি নামাজ আদায় করা।

রাত জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া এবং আল্লাহর দরবারে নামাজ আদায় করা।

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের শিক্ষা অনুসারে নিজের জীবন যাপনের চেষ্টা করা।

অশুভ পথ ত্যাগ করে নিজেকে সঠিক পথে পরিচালিত করা।

নিজেকে সব ধরণের অন্যায় থেকে দূরে রাখুন।

আল্লাহ আমাদের সকলকে তাঁর আসল শিক্ষা অনুসরণ করার অনুগ্রহ দান করুন।

হে করুণাময় রব! আমাদের ক্ষমা করুন এবং আপনার অনুগ্রহে আমাদের কে ঢেকে রাখুন, আমিন।


লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক

কুরআনের প্রতি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

 

কুরআনের প্রতি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

কুরআনের প্রতি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। 

কুরআনের প্রতি মানুষের দায়িত্ব। কুরআন হ'ল মানব মুক্তির পথ। আলোর দিক। সাফল্যের মাধ্যম। এজন্য মুসলমানদের উচিত সঠিকভাবে কুরআন তেলাওয়াত করা। তাঁর দেখানো পথে তাদের জীবনযাপন করা। কুরআনে বিশ্বাসী। আরও বেশি করে কুরআন তেলাওয়াত করা। অর্থটি জানার এবং বোঝার চেষ্টা করছি।

বিশেষত দৈনন্দিন জীবনের করণীয় এবং করণীয় সম্পর্কে কুরআনের নির্দেশাবলী জানতে সেই অনুযায়ী কাজ করা। তাত্ক্ষণিকভাবে কুরআনের সত্য ও সৌন্দর্যের বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এটি কুরআনের প্রতি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। যারা কুরআনের এই বিষয়গুলিকে সমস্ত মন এবং প্রাণ দিয়ে মেনে চলবে তারা মূলত কুরআনে বিশ্বাসী। কুরআনের সত্য অনুসারী।

আর যারা মুসলমান হওয়ার পরেও এইভাবে কুরআনে বিশ্বাস করে না, সমস্ত আমল অনুসরণ করে না, তারা পার্থিব জীবনের রীতিনীতি ও পরিচিতি অনুসারে মুসলমান, তবে তারা আল্লাহর সাথে মুসলমান নয়। আসলেই ইসলামের অনুসারী নয়। কেবল মৌখিক মুসলমান। আবার সমাজে কিছু মুসলমান আছেন যারা কুরআনকে শ্রদ্ধার সাথে দেখেন। পবিত্র বইয়ের কথা ভাবুন। তবে তারও সন্দেহ রয়েছে। আমি অবাক হই যে আমরা যদি কুরআনের এতগুলি বিধিনিষেধ মেনে চলি তবে এই পৃথিবীতে সুখ ও শান্তি অর্জিত হবে কি না। আনন্দ করতে হবে কিনা।

তাদের কুরআনে বিশ্বাসী বলা যায় না কারণ তারা কুরআনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেও কুরআনে যথাযথ বিশ্বাস রাখে না। কারণ কুরআনের প্রতি যদি আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস থাকে তবে তা আমাদের মঙ্গল বয়ে আনবে। সুতরাং কুরআনের প্রতি মানের অধিকার অনুধাবনের পাশাপাশি এর তিলাওয়াত, বোঝার, অনুসরণ ও প্রচারের অধিকারগুলিতে আমাদের গভীর মনোযোগ দিতে হবে।

If you want to read the Business related news, click here:

 মনযোগী হও. কারণ এই দুনিয়া ও আখেরাতের সাফল্য ও মুক্তি কেবল কুরআনের অধিকার আদায়ের মাধ্যমেই সম্ভব। সুতরাং কুরআনের অধিকার আদায়ের জন্য আমাদের কিছু করা দরকার। কাজগুলি মনোযোগ সহকারে কুরআন শোনানো। কেউ কুরআন তিলাওয়াত করার সময় অযত্ন থাকবেন না। নিঃশব্দে শুনতে।

এ সম্পর্কে কুরআনে বলা হয়েছে, "এবং যখন কুরআন তেলাওয়াত করা হয় তখন তা শোন এবং নীরব থাক, যাতে তোমার প্রতি দয়া দেখাতে পারে।" সূরা আল-আরাফ, আয়াত ২০৪। সঠিকভাবে কুরআন তেলাওয়াত করা। সঠিক নিয়ম পড়ুন। অপরিষ্কার এড়ানো। এ প্রসঙ্গে কুরআন বলে, "যাদের কাছে আমি কিতাব দিয়েছি তারা এটিকে সঠিকভাবে পড়ে।" তারা তাঁকে বিশ্বাস করে।

If you want to read the English Updated news, click here: 

আর যারা কাফের, তারাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। 'সূরা বাকারা, আয়াত ১২১. কুরআন মুখস্থ করুন। এমনকি আপনি সবকিছু করতে না পারলে স্থান নির্দিষ্ট করে মুখস্থ করুন। কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, "বরং তাদের জ্ঞান দেওয়া হয়েছে তাদের অন্তরে এটি একটি সুস্পষ্ট আয়াত। কেবলমাত্র কাফেররা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে।" সূরা আনকাবুত, আয়াত ৪৯।

কুরআনের আয়াত নিয়ে চিন্তা করা। গবেষণা করুন এর গভীরতা উপলব্ধি করার চেষ্টা করছেন। এ সম্পর্কে কুরআনে বলা হয়েছে, "এটি একটি বরকতময় কিতাব যা আমরা আপনার প্রতি অবতারণ হিসাবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে লোকেরা এর আয়াতগুলিতে মনোযোগ নিতে পারে এবং যাতে বোধগম্যরা তা বুঝতে পারে। "

 আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুনঃ  ইসলাম অনুসারে ছাত্রকে পড়ানোর উপায়।

লেখক: ইসলাম সম্পর্কিত গবেষক।

ইসলাম অনুসারে ছাত্রকে পড়ানোর উপায়।

ইসলাম অনুসারে ছাত্রকে পড়ানোর উপায়।

 ইসলাম অনুসারে ছাত্রকে পড়ানোর উপায়।

মোঃ সিদ্দিকুর রহমান


শিক্ষক তার শিক্ষার্থীর সাথে ক্রপল্যান্ডের আইল ধরে হাঁটছিলেন। তারা চলতে চলতে এক জোড়া পুরানো জুতো দেখতে পেল।

তারা বুঝতে পেরেছিল যে জুতাগুলি একটি দরিদ্র কৃষকের। সম্ভবত তিনি পাশের জমির প্লটে কাজ করছেন। কিছুক্ষণ পরে হতে পারে কাজটি শেষ হয়ে গেলে তা পরে বাসায় চলে যাবে ।

দুষ্টুতা ছাত্রের মাথায় বসেছিল। তিনি বললেন, মাস্টার জি আমি যদি সেই কৃষকের সাথে মজা করি , তার জুতো

আমি যদি তা গোপন করে রাখি? জুতো না পেলে সে কেমন আচরণ করবে তা আমি দেখতে পাব। দূর থেকে মজা করুন !!

If you want to read the updated news, click here:

শিক্ষক বলেছিলেন যে অকারণে কারও ক্ষতি করা উচিত নয়। বাপু! তুমি ধনী বাবার সন্তান। ্তুমি যদি চাও,  এক  মাধ্যমে কৃষকের জন্য সৌভাগ্যের দরজা খুলতে পার। জুতোর মাঝখানে কিছু টাকা লুকিয়ে রেখে তুমি তার মুখের তেজ দেখতে পার।

ছাত্রটি শিক্ষকের গভীর জ্ঞান দেখে অবাক হয়েছিল। তারা দু'জন কৃষকের জুতোতে কিছু টাকা রেখে গাছের আড়ালে লুকিয়েছিল । টাকা পাওয়ার পরে তারা কৃষকের অবস্থা দেখার অপেক্ষায় ছিল।

কিছুক্ষণ পরে, কৃষক তার কাজ শেষ করে ফিরে এসেছিল। জুতোটা যখন লাগাল, তখন সে ভিতরে কিছু অনুভব করল এবং জুতোটি হাতে নিয়ে গেল।

জুতোর ভিতরে থাকা অর্থ দেখে তার চোখ দু'টো আনন্দে মুচড়ে উঠল। অন্য জুতোতে টাকা দেখে তিনি অবাক হয়ে গেলেন।

If you want to read the Bangla Business news, click here:

কৃষক মায়া দূর করতে বারবার তাকাচ্ছিল। কয়েকবারের বেশি, যখন সে আশেপাশে কাউকেই খুঁজে  পেলেন  না, আলতো করে টাকাটি নিইয়ে নিল ।

সে এগুলো তার পকেটে রেখেদিল। কৃতজ্ঞতায় সে হাঁটু বেঁধে মাটিতে পড়ে গেল।

তিনি অশ্রুভরা চোখ দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বললেন, “প্রভু! ধন্যবাদ! হে প্রভু! তুমি জানো আমার স্ত্রী অসুস্থ। বাচ্চারা ক্ষুধার্ত। ঘরে খাবার নেই। তুমি আমাকে এবং আমার বাচ্চাদের ধ্বংস থেকে রক্ষা করেছ। ”

আল্লাহর রহমত স্বীকার করে তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে কাঁদলেন।

শিক্ষার্থী কৃষকের আচরণ দেখে অত্যন্ত অভিভূত হয়েছিল। অজান্তেই তার চোখের জল ভরে গেল।

মাস্টার বললেন, "জুতো আড়াল করার চেয়ে এখন কি নিজেকে বেশি ভাগ্যবান মনে হচ্ছে না?"

ছাত্রটি কৃতজ্ঞতায় কাতর হয়ে বলল, গুরুজি! আজ আমি এমন একটি শিক্ষা শিখেছি যা আমি কখনই ভুলতে পারি না। এমন কিছু অর্জন করেছেন যা আমার অজানা। আমি বুঝতে পেরেছি যে 'গ্রহণ করার চেয়ে দেওয়ার চেয়ে বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায়।'

এবার ওস্তাদজি তাঁর ছাত্রকে সম্বোধন করে বললেন, বাপু! দাতব্য বিভিন্ন ধরণের আছে।

যেমন:

১. প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমা করার জন্য সাদাকা।

২. তার অনুপস্থিতিতে অন্য ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা করা। 
আরও প্ররতে  এখানে ক্লিক করুনঃ কিভাবে আমলের প্রতি জজবা তৈরি হবে?

৩. যাকে শ্রমিক হিসাবে বিবেচনা করা হয় সে সম্পর্কে খারাপ ধারণা থেকে মুক্তি পাওয়া দাতব্য কাজ।

৪. কারও অনুপস্থিতিতে নিজের সম্পত্তির যত্ন নেওয়া সাদকা a

৫. একজন মুসলিম ভাইয়ের সাথে হাসি হাসি মিলানো দাতব্য কাজ।

৬. অসুস্থদের সেবা করার দান। ইত্যাদি।

ছাত্রটি শিক্ষকের মুখের দিকে তাকায়।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এ জাতীয় সদকা করার তাওফিক দান করুন। আমেন।

আরও প্ররতে  এখানে ক্লিক করুনঃ প্রশ্নটি ছিল: "আপনি এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে কী ভাবেন?"

প্রশ্নটি ছিল: "আপনি এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে কী ভাবেন?"

প্রশ্নটি ছিল: "আপনি এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে কী ভাবেন?"

 লেখক হুমায়ূন আহমেদের সাক্ষাত্কারকালে অভিনেতা ও সাংবাদিক মাহফুজ আহমেদ একটি প্রশ্ন করেছিলেন ....

প্রশ্নটি ছিল: "আপনি এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে কী ভাবেন?"

হুমায়ূন আহমেদের সাবলীল উত্তর:

“আমাদের বুদ্ধিজীবী সমাজের কার্যক্রম খুব স্পষ্ট নয়। আমি জানি কেন তারা ইসলামকে বেল্টল করার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

আমাদের বুদ্ধিজীবীরা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং অন্য যে কোনও ধর্মের প্রায় প্রতিটি উত্সবে উপস্থিত হন, বক্তৃতা দেন, বক্তৃতা দেন - তবে কোনও ইসলামী সমাবেশে কাউকে উপস্থিত থাকতে শোনা যায় না। তাদের মতে, ইসলামী পার্টিতে কারও উপস্থিতি মানে তার বুদ্ধি কম। তিনি একজন প্রতিক্রিয়াশীল, সাম্প্রদায়িক মানুষ। আমাদের বুদ্ধিজীবীদের কাছে, যে কোনও ইভেন্টে হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টানদের উপস্থিতি মানে স্বাধীন ইচ্ছা অনুশীলন করা, অগ্রগতি অনুশীলন করা, সংস্কার থেকে মুক্ত হওয়া ইত্যাদি।

নোবেলজয়ী অধ্যাপক সালাম যখন ঢাকায় এসে তাঁর বক্তব্যের শুরুতে 'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম' বলেছিলেন, তখন আমাদের বুদ্ধিজীবীরা হতবাক হয়ে গেলেন। কারণ তাদের পক্ষে, প্রগতিশীল হওয়া, বুদ্ধিজীবী হওয়া, মুক্ত ইচ্ছার অনুশীলন করা মানে ইসলাম বিরোধী হওয়া। তাদের কাছে রামকৃষ্ণের বাণী, যীশুর বাণী সবই গ্রহণযোগ্য। এগুলি উদাহরণ হিসাবে ব্যবহার করে; তবে তাদের মুখ থেকে হজরত মোহাম্মদ (সা।) - এর কথা কখনও শোনা যায় না। তাঁর কথা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

ইংরেজি নিউজ পড়তে ক্লিক করুনঃ 

আমার মতে, বিশ্বের সর্বাধিক বিখ্যাত উপন্যাসিক হলেন দস্তয়েভস্কি। আরও একটি টলস্টয় আছে। টলস্টয় যখন ট্রেন স্টেশনে মারা যান, তখন তাঁর ওভারকোটের পকেটে একটি বই পাওয়া যায়। বইটি টলস্টয়ের প্রিয় ছিল। সব সময় রাখা। তিনি যখনই সময় পেতেন। বইটি বিভিন্ন সময়ে হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর গুরুত্বপূর্ণ বাণী অবলম্বনে রচিত।

আমি বিনীতভাবে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের জিজ্ঞাসা করি, আপনারা কয়টি বইটি পড়েছেন? টলস্টয় তার পকেটে যে বইটি নিয়েছিল তা কি আমাদের প্রত্যেকেরই পড়া উচিত নয়? আমার মতে, প্রতিটি শিক্ষিত শিশুর বইটি পড়া উচিত। ”

তথ্যসূতড়তে ঘরে বাইরে হুমায়ূন আহমেদের হাজার প্রশ্ন ---- মাহফুজ আহমেদ 

আরও প্ররতে  এখানে ক্লিক করুনঃ কিভাবে আমলের প্রতি জজবা তৈরি হবে?

কিভাবে আমলের প্রতি জজবা তৈরি হবে?

কিভাবে আমলের প্রতি জজবা তৈরি হবে?

কিভাবে আমলের প্রতি জজবা তৈরি হবে?

হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহঃ বলেন   :

১- প্রয়োজন হিসাবে ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করবে। কিতাবাদী অধ্যয়ন করে অথবা উলামায়ে কেরামের নিকট জিজ্ঞাসা করে। [হক্কানী উলামা কেরামের লেখা ধর্মীয় বই পড়ে এবং উলামা ও হাক্কানী পীর মাশায়েখের সাথে সম্পর্ক রেখে]

২- সকল প্রকার পাপ থেকে বিরত থাকুন।

৩- কোন গোনাহ হলে তাৎক্ষণিকভাবে তওবা করা উচিত।

৪- অন্যের অধিকার নষ্ট করবেন না। আপনার হাত বা কথায় কাউকে আঘাত করবেন না। কাউকে দোষ দিবেন না।

৫- আমরা সম্পদ ও পার্থিব লালসা থেকে দুরে থাকব। বিলাসিতা এবং পোশাক খাওয়া অভিজাতদের উদ্বেগ হবে না।

৬- যদি কেউ অপরাধ সংশোধন করে দেই তবে সে বিনা দ্বিধায় তা গ্রহণ করবে এবং তওবা করবে।

৭- একেবারে প্রয়োজনীয় না হলে সফরে যাবেন না। সফরে প্রচুর অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা রয়েছে। অনেক ভাল কাজ মিস হয়। জিকির-আজকার এবং আজিফা বাদ পড়ে গেল। সময়মতো কাজ হচ্ছে না।

৮- খুব বেশি হাসবেন না। বেশি কথা বলবেন না। অযথা কথা বলবেন না, বিশেষত গায়রের মাহরামের সাথে।

৯- কারও সাথে ঝগড়া করবেন না। 

১০- সব ক্ষেত্রে আইন মানা হবে।

১১- উপাসনা অবহেলা করবেন না।

১২- একা থাকার চেষ্টা করবে।

১৩- আপনার যদি কারও সাথে দেখা হওয়ার দরকার হয় তবে বিনীত আচরণ করুন এবং নিজের মাহাত্ম্য প্রদর্শন করবেন না।

আপডেটেড নিউজ পড়তে ক্লিক করুনঃ 

১৪. আমির, সরকার ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের সাথে কম  চলবে।

১৫. খারাপ লোকদের সাথে চলাফেরা অনেক কম করবে।

১৬- অন্যের দোষ অনুসন্ধান করবেন না। অন্য সম্পর্কে খারাপ ধারণা থাকবে না। 

১৭-নিজের ত্রুটিগুলি খুঁজে বের করা এবং সেগুলি সংশোধন করতে আন্তরিক হওয়া।

১৮- সময় ও গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিতে নামাজ আদায় করার চেষ্টা করবেন।

১৯- সর্বদা আল্লাহকে হৃদয় বা মুখে স্মরণ কর। অবহেলায় এক মুহূর্ত ব্যয় করবেন না।

২০-  আল্লাহর যিকির করতে যদি ভাল লাগে, অন্তর খুশি হয় তাহলে শুকরিয়া আদায় করবে।

আরও পড়তে ক্লিক করুনঃ একটি মিথ্যা প্রচারের সংশোধনঃ মৌলভী মোহাম্মদ নাইমুদ্দিন কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক।

একটি মিথ্যা প্রচারের সংশোধনঃ মৌলভী মোহাম্মদ নাইমুদ্দিন কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক।

একটি মিথ্যা প্রচারের সংশোধনঃ মৌলভী মোহাম্মদ নাইমুদ্দিন কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক।

 একটি মিথ্যা প্রচারের সংশোধনঃ মৌলভী মোহাম্মদ নাইমুদ্দিন কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক।

গিরিশচন্দ্র সেন বাংলা ভাষায় কুরআনের অনুবাদক ছিলেন না তবে মুদ্রণযন্ত্রের মালিক হিসাবে তিনি বইটি টাকার বিনিময়ে মুদ্রিত দিয়েছিলেন যাকে বলে প্রকাশক।

১৮০৮ সালে মাওলানা আমিরউদ্দীন বসুনিয়া সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় কোরআনের আংশিক অনুবাদ করেছিলেন।তারপরে নাঈমুদ্দীন ১৮৩৬ সালে সম্পূর্ণ কোরআনের বাংলা অনুবাদ করেছিলেন।

গিরিশচন্দ্র সেন সবেমাত্র বই আকারে অনুবাদ সন্নিবেশ করেছেন, গিরিশচন্দ্র প্রকাশক। এমনকি পরে, ১৮৮৬ সালে।সুতরাং এটি গিরিশচন্দ্র নয় যিনি কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক, বরং মৌলভী নাঈমুদ্দীন সম্পূর্ণ কোরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক।এবং মাওলানা আমিরউদ্দীন বসুনিয়া ছিলেন বাংলা ভাষায় কুরআন মজিদের প্রথম আংশিক অনুবাদক।

গিরিশচন্দ্র সেন ১৮৩৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ১৯১০ সালে মারা যান। গিরিশচন্দ্রের জন্মেরও আগে, 1১৮০৮ সালে মাওলানা আমির উদ্দিন বসুনিয়া কুরআনকে বাংলায় অনুবাদ করার কাজ শুরু করেছিলেন।

তারপরে ১৮৩৬ সালে, গিরিশচন্দ্র সেনের জন্মের এক বছর পরে, মৌলভী নাঈমুদ্দীন সম্পূর্ণ কোরআন মাজিদের বাংলা অনুবাদ শেষ করেন।

যে ব্যক্তি আরবী জানে না, আরবী ব্যাকরণ জানে না - প্রচার করে যে সে কুরআন অনুবাদ করেছে তা বোকামি।

বাংলাভাষীদের মধ্যে এটি বহুলভাবে জানা যায় যে ভাই গিরিশ চন্দ্র সেন কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক ছিলেন। এই প্রচারের কিছু কারণ ছিল। ব্রিটিশ শাসনামলে ব্রাহ্মণ্যবাদের জোয়ার এদেশে এসেছিল।

গিরিশচন্দ্র সেন, গোঁড়া হিন্দু, একবার হিন্দু ধর্ম থেকে ব্রাহ্মণ্যবাদে রূপান্তরিত করেছিলেন। ব্রাহ্মণ্যবাদ এদেশে একটি নতুন ধর্ম ছিল। তাই গিরিশচন্দ্র নিজেই জনগণের মধ্যে এই ধর্ম প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে অর্থের প্রয়োজন হয়। কোথা থেকে আসবে! তিনি ছিলেন পারস্যের পন্ডিত।

 তিনি মুসলমানদের পকেট থেকে অর্থ বের করার জন্য বেশ কয়েকটি ইসলামিক বই লিখেছিলেন এবং প্রকাশক হিসাবে পবিত্র কুরআনও প্রকাশ করেছিলেন। মুসলমানরাও এই বইটি অনেক কিনেছিল। ফলস্বরূপ, বাংলাভাষী কোরআন মাজিদ তাদের কাছে পৌঁছেছিল যারা কুরআন মাজেদের বাংলা অনুবাদ পেতে চেয়েছিলেন।

ব্রাহ্মসমাজ হিন্দু এমনকি ব্রিটিশরাও তাঁকে যথেষ্ট সমর্থন করেছিলেন। ফলস্বরূপ, লোকেরা মনে করেছিল যে গিরিশ চন্দ্র সেন পবিত্র কোরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক।

 বাস্তবে, যদিও কম লোকই জানত যে পবিত্র কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক মৌলভী মোহাম্মদ নাঈমুদ্দীন, এর ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ ছিল না।

গিরিশচন্দ্র ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রচারে কুরআনের অনুবাদ বিক্রি করে উপার্জিত অর্থ ব্যয় করতেন। ফলস্বরূপ, ব্রাহ্মণ্যবাদ প্রচারের মিশনের সাথে কুরআন বিক্রয়ের গভীর সম্পর্ক ছিল।

আপডেট নিউজ পড়তে ক্লিক করুনঃ 

মৌলভী মোহাম্মদ নাঈমুদ্দীনএকজন মুসলমান ছিলেন। তিনি নিজের উদ্যোগে কোরআনকে বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন। এটি প্রচার করার জন্য গিরিশচন্দ্র সেনের মতো কোনও মিশন ছিল না। যার কারণে তাঁর প্রচার সীমাবদ্ধ ছিল।

এভাবে আল-কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক হওয়ায় গিরিশচন্দ্র সেনের মতো প্রচার পেতে পারেননি মৌলভী মোহাম্মদ নাইমুদ্দিন।

আরও পরুনঃ রবিউল আউয়াল এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য ।

রবিউল আউয়াল এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য ।

 

রবিউল আউয়াল এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য ।

রবিউল আউয়াল এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য ।

রবিউল আউয়াল এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য। এই পৃথিবী তখন পাপের অন্ধকারে পূর্ণ ছিল। মানবতাকে ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল এবং পশুত্বের বিজয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। পঙ্গপালের মতো মানবজাতি জাহান্নামে ঝাঁপিয়ে পড়ছিল। পুরো পৃথিবী যেন অজ্ঞতার কবলে পড়েছিল। ঠিক ঠিক সেই সময়ে, রবিউল আউয়াল মাসে মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর সৃষ্টির প্রতি অনুগ্রহ করেছিলেন এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাকে ধরে রাখার জন্য রহমত হিসাবে প্রেরণ করেছিলেন। তাঁর আগমন বিশ্ববাসীর জন্য রহমত। তিনি সকল মুমিন, কাফের, জ্বিন ও মানবদের জন্য রহমত।

 সুতরাং রবিউল আউয়াল ইসলামের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। তিনি এই মাসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং এই মাসে আবার তাঁর উপর অর্পিত মিশনের দায়িত্ব পালনের পরে তিনি তাঁর রবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে নশ্বর পৃথিবী থেকে বিদায় নেন এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে উপস্থিত হন। একই মাসে তিনি তার জন্ম মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করেন। সুতরাং একদিকে মহানবী (সা।) - এর সৌভাগ্য এই মাসে বিশ্বকে আনন্দিত করে, অন্যদিকে এই মাসে তাঁর প্রস্থান মুসলিম বিশ্বকে দুঃখ দেয়। সুতরাং এই মাস দু: খিত এবং খুশি। এ কারণেই অন্যান্য মাসের তুলনায় এই মাসে একটি বিশেষত্ব এবং শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে।

সঙ্গত কারণেই, এই মাসের দাবিটি হ'ল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভালবাসার প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া এবং স্মরণে তাঁর ইবাদত করা এবং নেক আমল দ্বারা নিজের জীবন সজ্জিত করা। আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। যাই হোক না কেন, কমপক্ষে এই মাসে সুন্নতের বিরুদ্ধে কিছু না করা, বিদআত ও অপছন্দনীয় বিষয়গুলি থেকে বিরত থাকুন। 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভোগান্তির কারণ হ'ল এ জাতীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকাই। তিনি শরীয়তের বিবাদমান ছোট ছোট কাজকেও অপছন্দ করতেন। তবে এটা বলা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে এই বিষয়গুলিতে অনেক নামী নবীকে ধর্মের বিষয়ে সাহস দেখাতে দেখা গেছে। এরা মূলত ধর্মের নামে অন্যায় ছড়িয়ে দিয়েছিল। ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসাবে ধর্মবিরোধী ক্রিয়াকলাপ প্রচার করুনঃ

Read updated News, click here:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনে আনন্দ করা মুসলমানের কর্তব্য। যাইহোক, যুগে যুগে প্রতি বছর যখনই আল্লাহর নবীর আগমনের এই মাসটি আসে তখনই আল্লাহর নবীর প্রেমিকদের মধ্যে আনন্দ উদ্দীপনা, নতুন উদ্দীপনা শুরু হয় এবং আনন্দ প্রকাশের ধরণ এবং সময়টি রূপান্তরিত হয় বিভিন্ন ফর্ম। সুখ প্রকাশের বাহ্যিক রূপ হ'ল নবীজির জীবনধারার উপর বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। এবং তাঁর আধ্যাত্মিক রূপটি তাঁর বার্তাটি ধারণ করার নির্দেশ। 

রাসূলের সুন্নাহ অনুযায়ী নিজের জীবন গড়ে তোলা। জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে, প্রতিটি পরিস্থিতিতে লেনদেন, বিবাহ, বিক্রয়, খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রাম, হাসি এবং অশ্রু নবীজির প্রতি ভালবাসা হ'ল প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। কেবল নবীজীর ভালবাসার দাবী করার অর্থ প্রেম নয়। তিনি যদি রাসূলের সুন্নাহ অনুসারে বেঁচে থাকেন তবে তাকে ভালবাসা হয়।

আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুনঃল্লাহ্‌ শ্রমজীবী ​​মানুষকে ভালবাসেন। 

আল্লাহ্‌ শ্রমজীবী ​​মানুষকে ভালবাসেন।

আল্লাহ্‌ শ্রমজীবী ​​মানুষকে ভালবাসেন।

আল্লাহ্‌ শ্রমজীবী ​​মানুষকে ভালবাসেন। 

আল্লাহ্‌ শ্রমজীবী ​​মানুষকে ভালবাসেন। মানুষের ভাগ্য তার কর্ম দ্বারা নির্ধারিত হয়। এই পৃথিবীতে এবং পরকালে সুখ এবং শান্তি সাফল্য এবং ব্যর্থতা কর্মের উপর নির্ভর করে। সৎ কর্মীদের জীবন আলোকিত এবং সফল।

অন্যদিকে, অলস ও অসাধু কর্মীদের জীবন অন্ধকার এবং ব্যর্থ। পার্থিব জীবনের উন্নতি ও দুনিয়ার কল্যাণে কাজের গুরুত্ব অপরিসীম। এ কারণেই ইসলাম কাজকে সীমাহীন গুরুত্ব দিয়েছে এবং অলসতাটিকে পাপ হিসাবে বিবেচনা করেছে।

এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে নির্দেশ দিয়েছেন যে মানুষ যা কিছু করে তার ফল সে পায়। শীঘ্রই তার ক্রিয়াকলাপ মূল্যায়ন করা হবে। তারপরে তাকে পুরো মূল্য দেওয়া হবে। (সূরা নাজম, আয়াতসমূহ ৩৯-৪১)

সর্বশক্তিমান প্রভু আরও নির্দেশ দিয়েছেন, "অতঃপর যখন নামায শেষ হয়ে যাবে, তখন দেশে ছড়িয়ে পড়ুন এবং আল্লাহর অনুগ্রহের সন্ধান করুন এবং আল্লাহকে অনেক স্মরণ করুন, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।" (সূরা জুমুআহ, আয়াত ১০)

Read English updated news:

কাজের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিজের হাতে উপার্জনের চেয়ে ভাল উপার্জন আর নেই। হযরত দাউদ (আ।) নিজ হাতে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। (বুখারী)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন যে হালাল রুজি হালাল রুজি উপার্জন করা ফরজের পর একটি ফরজ। (বুখারী ও মুসলিম)।

প্রিয় পাঠক! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর শ্রমের উপার্জনকে সর্বোত্তম উপার্জন হিসাবে বর্ণনা করেছেন। সুতরাং, ইসলামের অনন্য শিক্ষা অন্যের উপর নির্ভর করা নয়, বরং নিজের প্রতিভা ও শ্রম ব্যবহার করে হালাল জীবিকা অর্জনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা। পূর্ববর্তী সমস্ত নবী-রাসূলগণও কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করেছিলেন।

হজরত আদম (আ।), হযরত শীশ (আ।) ও হজরত ইউনুস (আ।) কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। হযরত ইদ্রিস (আ।) - এর কাজ ছিল পোশাক সেলাই। হযরত নুহ (আ।) ও হযরত যাকারিয়া (আ।) ছিলেন ছুতার। মহাপ্লাবনের সময় হযরত নূহ (আঃ) মহান আল্লাহ তায়ালার আদেশে বিশাল জাহাজ নির্মাণ করেছিলেন; যা ছিল ৩০০ হাত লম্বা, ৫০ হাত প্রশস্ত এবং ৩০ হাত উচ্চতা।

 রাজ্যের রাজা হওয়া সত্ত্বেও হজরত দায়ূদ (আঃ) নিজেই লোহার বর্ম তৈরি করে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেছিলেন এবং তাঁর পুত্র হজরত সলোমন (আঃ) সমগ্র বিশ্বের রাজা ছিলেন। হজরত ইব্রাহিম (আ।) এবং হযরত ইসমাইল (আ।) - এর পেশা ছিল ব্যবসায় ও রাজমিস্ত্রি। তারা উভয়েই মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে পবিত্র কাবা নির্মাণ করেছিলেন। হজরত ইউসুফ (আ।) রাজ্যের মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন।

 এ ছাড়া হজরত সালেহ (আ।), ইয়াকুব (আ।), শোয়েব (আ।), হজরত ইলিয়াস (আ।), হজরত মুসা (আ।) ও হজরত হারুন (আ।) পশুপাখি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এবং আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন একজন জ্ঞানী, সৎ ও সফল ব্যবসায়ী। তিনি বাড়ির ঝাড়ু, কাপড় সেলাই এবং ছাগল দুধ সহ সমস্ত গৃহস্থালি কাজে তাঁর স্ত্রীদের সহায়তা করেছিলেন।

আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুনঃ সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের উপকারী পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন ।

সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের উপকারী পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন ।

 

সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের উপকারী পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন ।

সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের উপকারী পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন ।

সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের উপকারী পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন। প্রতিদিন 24 ঘন্টার মধ্যে ঘুমানো এমন সময় হয় যখন আমরা আমাদের চারপাশে সচেতন না হই। যখন মানসিক কর্ম এবং ইচ্ছাশক্তি বন্ধ থাকে। মহান প্রভু ঘুমের উপযুক্ত সময় হিসাবে রাতকে নির্ধারণ করেছেন এবং একটি ভাল ঘুমের পরিবেশ তৈরি করতে রাতে একটি অন্ধকার কম্বল রেখেছেন। 

এই কারণেই যখন রাতের কাজ দিনের শেষে আসে, লোকেরা ঘুমিয়ে থাকে এবং পরের দিনের কাজের শক্তি সঞ্চয় করে। আল্লাহ আমাদের জন্য নিদ্রার এই মহান নেয়ামতকে কুরআনে নিম্নলিখিত উপায়ে বর্ণনা করেছেন: "এবং আমি তোমার নিদ্রাকে বিশ্রাম দিয়েছি এবং রাতকে আমি তোমার জন্য আবরণ করে দিয়েছি এবং আমি তোমার জন্য দিনকে পরিণত করেছি।

 কাজ। " সূরা নাবা, আয়াত ৯-১১। যতক্ষণ আমরা জেগে থাকি ততক্ষণ অ্যাডিনোসিন রসায়ন আমাদের শরীরে লর্ডসের বাধ্যবাধকতা অনুসারে জমে থাকে, এক পর্যায়ে এটি এতটা হয়ে যায় যে আমাদের ঘুমানো দরকার। এবং এই ঘুমের মধ্যে, আমাদের দেহের পেশী ক্ষয়, বৃদ্ধি, ক্ষতিগ্রস্থ কোষগুলির প্রতিস্থাপন, স্মৃতি সংরক্ষণ এবং সারাদিনে সঞ্চিত স্মৃতি ভালভাবে সাজানো থাকে। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের উচিত রাত জেগে এড়ানো উচিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাজের পর তাড়াতাড়ি শুতে যেতেন এবং রাতে শেষে তাহাজ্জুদ করতে উঠতেন।

 ঘুমের উপকারী পদ্ধতি হ'ল তিনি যে পদ্ধতিটি শিখিয়েছিলেন। বিছানায় যাওয়ার আগে কী করবেন তা হল বিছানা থেকে নামা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন শরণাপন্ন হয়ে বিছানায় যায়, তখন সে তার বিছানা ঝাঁকুন। কারণ তার অবর্তমানে বিছানায় কী পড়েছে সে জানে না। 'বুখারী।

ডান কাঁধে ঘুমানো: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আপনি যখন বিছানায় আসবেন তখন নামাযের ওযুর মতো ওযূ করুন। তারপরে সে তার ডান কাঁধে শুয়ে থাকবে। 'বুখারী।

ডান গালে হাত রেখে: হজরত হাফসা (রা।) বলেছেন, ‘রসুলুল্লাহ যখন ঘুমাতে চাইতেন, তখন ডান হাতটি তাঁর ডান গালের নীচে রাখতেন।’ আবু দাউদ।

সূরা তেলাওয়াতের পরে শ্বাস: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমাতে যাওয়ার আগে উভয় হাতের তালু মিশিয়ে সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়তেন। তারপরে তিনি যতটা সম্ভব দু'হাত দিয়ে মাথা, মুখ এবং পুরো শরীরটি নড়াচড়া করতেন। তিনি তা তিনবার করতেন। 'বুখারী।

Read updeted English News

আয়াতুল্লাহ কুরসী পড়া: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আপনি যখন নিজের বিছানায় যান, তখন আয়াতুল্লাহ কুরসীর তেলাওয়াত করুন।’ বুখারী।

সূরা কাফেরুনের তেলাওয়াত: হজরত ফারওয়া ইবনে নওফাল (রহঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত নওফালকে সম্বোধন করে বললেন, ‘তোমরা সূরা কাফেরুন তেলাওয়াত কর এবং অতঃপর ঘুমিয়ে পড়ো। কারণ এটি শিরক থেকে মুক্তির ঘোষণা। 'আবু দাউদ।

দোয়া: নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘুমাতে যান, তখন তিনি বলতেন, 'আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহিয়া', এবং যখন তিনি জেগেছিলেন, তখন বলতেন, দান কর। তাঁর শাসনামলে আমাদের পুনরুত্থান। 'বুখারী।

তাসবীহ তিলাওয়াত: নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আপনি যখন শুতে যান, তখন সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৩ বার আল্লামু আকবার ৩৪ বার বলুন।’ বুখারী।

আরও পড়তে ভেখানে ক্লিক করুনঃ