Islamic Amole লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Islamic Amole লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সুরা নাছ এর আমল ও ফযিলত । (যে সুরা মানুষ কে সকল প্রকার খতি ও বদ নসিব থেকে হেফাজত করে।)

 
যে সুরা মানুষ কে সকল প্রকার খতি ও বদ নসিব থেকে হেফাজত করে।

সুরা নাছ এর  আমল ও ফযিলত । (যে সুরা মানুষ কে সকল প্রকার খতি ও বদ নসিব থেকে হেফাজত করে।)

قُلۡ  اَعُوۡذُ  بِرَبِّ النَّاسِ ۙ﴿۱﴾
বল, ‘আমি আশ্রয় চাচ্ছি মানুষের প্রতিপালকের, ১-৬ নং আয়াতের তাফসীর এ সূরায় মহা মহিমান্বিত আল্লাহর তিনটি গুণ বিবৃত হয়েছে। অর্থাৎ তিনি হলেন পালনকর্তা, শাহানশাহ এবং মা'বুদ বা পূজনীয়। সব কিছু তিনিই সৃষ্টি করেছেন, সবই তার মালিকানাধীন এবং সবাই তার আনুগত্য করছে। 

তিনি তার প্রিয় নবী (সঃ)-কে নির্দেশ দিচ্ছেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি বলে দাও, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের প্রতিপালকের, মানুষের অধিপতির এবং মানুষের মা'বুদের, পশ্চাদপসরণকারীর অনিষ্ট হতে যে মানুষের অন্তরসমূহে কুমন্ত্রণা ও প্ররোচনা দিয়ে থাকে। চাই সে জ্বিন হোক অথবা মানুষ হোক। অর্থাৎ যারা অন্যায় ও খারাপ কাজকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে চোখের সামনে হাজির করে পথভ্রষ্ট এবং বিভ্রান্ত করার কাজে যারা অতুলনীয়। আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাই শুধু তাদের অনিষ্ট হতে রক্ষা পেতে পারে।

 সহীহ হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেনঃ “তোমাদের প্রত্যেকের সাথে একজন করে শয়তান রয়েছে।” সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আপনার সাথেও কি শয়তান রয়েছে?” উত্তরে তিনি বললেনঃ “হ্যা আমার সঙ্গেও শয়তান রয়েছে? কিন্তু আল্লাহ তাআলা ঐ শয়তানের মুকাবিলায় আমাকে সাহায্য করেছেন, কাজেই আমি নিরাপদ থাকি। সে আমাকে পুণ্য ও কল্যাণের শিক্ষা দেয়।” 

সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর ই'তেকাফে থাকা অবস্থায় উম্মুল মু'মিনীন হযরত সফিয়া (রাঃ) তাঁর সাথে রাতের বেলায় দেখা করতে গিয়েছিলেন। তিনি ফিরে যাবার সময় রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)ও তাঁকে এগিয়ে দেয়ার জন্যে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে চলতে থাকেন। পথে দু’জন আনসারীর সাথে দেখা হলো। তারা রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)-এর সাথে তাঁর স্ত্রীকে দেখে দ্রুতগতিতে হেঁটে যাচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) তাঁদেরকে থামালেন এবং বললেনঃ “জেনে রেখো যে, আমার সাথে যে মহিলাটি রয়েছে এটা আমার স্ত্রী সফিয়া বিনতে হুইয়াই (রাঃ)।” তখন আনসারী দু’জন বললেনঃ “আল্লাহ্ পবিত্র। হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)। এ কথা আমাদেরকে বলার প্রয়োজনই বা কি ছিল?” রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) উত্তরে বললেনঃ “মানুষের রক্ত।

If you want to read the Bangla latest  News, click here:


 প্রবাহের স্থানে শয়তান ঘোরাফেরা করে থাকে। সুতরাং আমি আশংকা করছিলাম যে, শয়তান তোমাদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করে দেয় না কি।” হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেন “শয়তান তার হাত মানুষের অন্তকরণের উপর স্থাপন করে রেখেছে। মানুষ যখন আল্লাহর ইবাদত করে তখন সে নিজের হাত মানুষের অন্তকরণ থেকে সরিয়ে নেয়। আর যখন মানুষ আল্লাহকে ভুলে যায় তখন শয়তান মানুষের অন্তকরণের উপর পূর্ণ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

 এটাই শয়তানের কুমন্ত্রণা ও প্ররোচনা এবং এটাই ওয়াসওয়াসাতুল খান্নাস।” (এ হাদীসটি হাফিয আবূইয়ালা মুসিলী (রঃ) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু হাদীসটি গারীব বা দুর্বল) মুসনাদে আহমাদে এমন একজন সাহাবী হতে বর্ণিত আছে যিনি গাধার পিঠে রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)-এর পিছনে উপবিষ্ট ছিলেন। গাধা একটু হোঁচট খেলে ঐ সাহাবী বলে ওঠেনঃ “শয়তান ধ্বংস হোক।” তাঁর এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেনঃ “এভাবে বলো না, এতে শয়তান আরো বড় হয়ে যায়, আরো এগিয়ে আসে এবং বলেঃ আমি নিজের শক্তি দ্বারা তাকে কাবু করেছি।

 আর যদি বিসমিল্লাহ বলো তবে সে ছোট হতে হতে মাছির মতে হয়ে যায়। এতে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর স্মরণে শয়তান পরাজিত ও নিস্তেজ হয়ে যায়। আর আল্লাহকে বিস্মরণ হলে সে বড় হয়ে যায় ও জয়যুক্ত হয়। হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “তোমাদের মধ্যে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে শয়তান তার কাছে যায় এবং আদর করে তার গায়ে হাত বুলাতে থাকে, যেমন মানুষ গৃহপালিত পশুকে আদর করে। ঐ আদরে লোকটি চুপ করে থাকলে শয়তান তার নাকে দড়ি বা মুখে লাগাম পরিয়ে দেয়।

” হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করে বলেনঃ “তোমরা স্বয়ং নাকে দড়ি লাগানো এবং মুখে লাগাম পরিহিত লোককে দেখতে পাও। নাকে দড়ি লাগানো হলো ঐ ব্যক্তি যে এক দিকে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে থাকে এবং আল্লাহকে স্মরণ করে না। আর মুখে লাগাম পরিহিত হলো ঐ ব্যক্তি যে মুখ খুলে রাখে এবং আল্লাহর যিক্র করে না।” হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) এ আয়াতের তাফসীরে বলেন যে, শয়তান আদম সন্তানের মনে তার থাবা বসিয়ে রাখে। মানুষ যেখানেই ভুল করে এবং উদাসীনতার পরিচয় দেয় সেখানেই সে কুমন্ত্রণা দিতে শুরু করে।

 আর যেখানে মানুষ আল্লাহকে স্মরণ করে সেখানে সে পশ্চাদপসরণ করে। অন্য বর্ণনায় আছে যে, সুখ-শান্তি এবং দুঃখ কষ্টের সময় শয়তান মানুষের মনে ছিদ্র করতে চায়। অর্থাৎ তাকে পথভ্রষ্ট ও বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করে। এ সময়ে যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আল্লাহকে স্মরণ করে তবে শয়তান পালিয়ে যায়। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, শয়তানকে মানুষ যেখানে প্রশ্রয় দেয় সেখানে সে মানুষকে অন্যায় অপকর্ম শিক্ষা দেয়, তারপর কেটে পড়ে। এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ মানব মণ্ডলীর অন্তর সমূহে কুমন্ত্রণা দেয়। (আরবি) শব্দের অর্থ মানুষ। তবে এর অর্থ জ্বিনও হতে পারে। কুরআন কারীমের অন্যত্র রয়েছেঃ (আরবি) অর্থাৎ জ্বিনের মধ্য হতে কতকগুলো তোক। কাজেই জ্বিনসমূহকে শব্দের অন্তর্ভুক্ত করা অসঙ্গত নয়। 

মোটকথা, শয়তান। জ্বিন এবং মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দিয়ে থাকে। (আরবি) (জ্বিনের মধ্য হতে অথবা মানুষের মধ্য হতে)। অর্থাৎ এরা কুমন্ত্রণা দিয়ে থাকে, চাই সে জ্বিন হোক অথবা মানুষ হোক। এর তাফসীর এরূপও করা হয়েছে। মানব ও দানব শয়তানরা মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়। যেমন আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা অন্য এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “এভাবেই আমি মানবরূপী অথবা দানবরূপী শয়তানকে প্রত্যেক নবীর শত্রু বানিয়েছি। একজন অন্যজনের কানে ধোকা-প্রতারণামূলক কথা সাজিয়ে গুছিয়ে ব্যক্ত করে।” (৬:১১২)। মুসনাদে আহমদে হযরত আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর নিকট হাজির হন। ঐ সময় রাসূলুল্লাহ (সঃ) মসজিদে অবস্থান করছিলেন।

If you want to read the updated English News, click here:


হযরত আবু যার (রাঃ) তার পাশে বসে পড়লেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ “হে আবু যার (রাঃ)! তুমি নামায পড়েছো কি?” তিনি উত্তরে বললেনঃ “জ্বী, না।” তখন তিনি বললেনঃ “তা হলে উঠে নামায পড়ে নাও।” হযরত আবু যার (রাঃ) উঠে নামায পড়লেন। তারপর বসে পড়লেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে বললেনঃ “হে আবু যার (রাঃ) মানবরূপী শয়তান হতে এবং দানবরূপী শয়তান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর।” হযরত আবু যার (রাঃ) বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! মানুষের মধ্যেও কি শয়তান আছে? উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “হ্যা”, হযরত আবু যার (রাঃ) জিজ্ঞেস। করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ) নামায কি?" তিনি জবাবে বললেনঃ “নামায খুব ভাল কাজ। যার ইচ্ছা কম পড়তে পারে এবং যার ইচ্ছা বেশী পড়তে পারে।

” হযরত আবু যার (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)। রোযা কি?” তিনি জবাব দিলেনঃ “যথেষ্ট হওয়ার মত একটি ফরজ কাজ। আল্লাহর কাছে এর জন্যে বহু পুরস্কার রয়েছে। হযরত আবু যার (রাঃ) প্রশ্ন করলেনঃ “সাদকা কি?" তিনি উত্তরে বললেনঃ “সাদকা এমনই জিনিষ যার বিনিময় বহুগুণ বৃদ্ধি করে প্রদান করা হবে।” হযরত আবু যার (রাঃ) আর করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)। কোন সাদকা সবচেয়ে উত্তম?” রাসূলুল্লাহ। (সঃ) উত্তর দিলেনঃ “সম্পদ কম থাকা সত্ত্বেও সাদকা করা, অথবা চুপে চুপে কোন ফকীর মিসকীন ও দুঃখী জনের সাথে উত্তম ব্যবহার করা।” হযরত আবু যার (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! সর্বপ্রথম নবী কে ছিলেন?”

তিনি জবাবে বললেনঃ “হযরত আদম (আঃ) ছিলেন প্রথম নবী।” হযরত আবু যার (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ “হযরত আদম (আঃ) কি নবী ছিলেন?” রাসূলুল্লাহ (সঃ) জবাব দিলেনঃ “হ্যা, তিনি নবী ছিলেন, এবং এমন ব্যক্তি ছিলেন যার সঙ্গে আল্লাহ তা'আলা কথাবার্তা বলেছেন।” হযরত আবু যার (রাঃ) প্রশ্ন করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)। রাসূল কত জন ছিলেন?” তিনি উত্তরে বললেনঃ “তিনশত দশের কিছু বেশী, বলা যায় একটি বড় জামাআত।” আবার এও বললেনঃ “তিনশত পনেরো।” হযরত আবু যার (রাঃ) বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)!

আপনার প্রতি নাযিলকৃত আয়াতসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আয়াত কোনটি?” রাসূলুল্লাহ (সঃ) জবাব দিলেনঃ “আয়াতুল কুরসী অর্থাৎ,(আরবি) এই আয়াতটি।” (এ হাদীসটি ইমাম নাসায়ীও (রঃ) বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া ইমাম আবু হাতিম ইবনে হিব্বানও (রঃ) অন্য সনদে এ হাদীসটি দীর্ঘভাবে বর্ণনা করেছেন। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন) মুসনাদে আহমদে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একটি লোক নবী (সঃ)-এর নিকট এসে বললোঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমার মনে এমন সব চিন্তা আসে যেগুলো প্রকাশ করার চেয়ে আকাশ থেকে পড়ে যাওয়াই আমার নিকট বেশী পছন্দনীয় (সুতরাং এ অবস্থায় আমি কি করবো?)। নবী (সঃ) উত্তরে বললেনঃ “(তুমি বলবে): (আরবি) অর্থাৎ “আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান আল্লাহ তা'আলার জন্যেই সমস্ত প্রশংসা যিনি শয়তানের প্রতারণাকে ওয়াসওয়াসা অর্থাৎ শুধু কুমন্ত্রণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন, বাস্তবে কার্যে পরিণত করেননি।”

কিভাবে আমলের প্রতি জজবা তৈরি হবে?

কিভাবে আমলের প্রতি জজবা তৈরি হবে?

কিভাবে আমলের প্রতি জজবা তৈরি হবে?

হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহঃ বলেন   :

১- প্রয়োজন হিসাবে ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করবে। কিতাবাদী অধ্যয়ন করে অথবা উলামায়ে কেরামের নিকট জিজ্ঞাসা করে। [হক্কানী উলামা কেরামের লেখা ধর্মীয় বই পড়ে এবং উলামা ও হাক্কানী পীর মাশায়েখের সাথে সম্পর্ক রেখে]

২- সকল প্রকার পাপ থেকে বিরত থাকুন।

৩- কোন গোনাহ হলে তাৎক্ষণিকভাবে তওবা করা উচিত।

৪- অন্যের অধিকার নষ্ট করবেন না। আপনার হাত বা কথায় কাউকে আঘাত করবেন না। কাউকে দোষ দিবেন না।

৫- আমরা সম্পদ ও পার্থিব লালসা থেকে দুরে থাকব। বিলাসিতা এবং পোশাক খাওয়া অভিজাতদের উদ্বেগ হবে না।

৬- যদি কেউ অপরাধ সংশোধন করে দেই তবে সে বিনা দ্বিধায় তা গ্রহণ করবে এবং তওবা করবে।

৭- একেবারে প্রয়োজনীয় না হলে সফরে যাবেন না। সফরে প্রচুর অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা রয়েছে। অনেক ভাল কাজ মিস হয়। জিকির-আজকার এবং আজিফা বাদ পড়ে গেল। সময়মতো কাজ হচ্ছে না।

৮- খুব বেশি হাসবেন না। বেশি কথা বলবেন না। অযথা কথা বলবেন না, বিশেষত গায়রের মাহরামের সাথে।

৯- কারও সাথে ঝগড়া করবেন না। 

১০- সব ক্ষেত্রে আইন মানা হবে।

১১- উপাসনা অবহেলা করবেন না।

১২- একা থাকার চেষ্টা করবে।

১৩- আপনার যদি কারও সাথে দেখা হওয়ার দরকার হয় তবে বিনীত আচরণ করুন এবং নিজের মাহাত্ম্য প্রদর্শন করবেন না।

আপডেটেড নিউজ পড়তে ক্লিক করুনঃ 

১৪. আমির, সরকার ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের সাথে কম  চলবে।

১৫. খারাপ লোকদের সাথে চলাফেরা অনেক কম করবে।

১৬- অন্যের দোষ অনুসন্ধান করবেন না। অন্য সম্পর্কে খারাপ ধারণা থাকবে না। 

১৭-নিজের ত্রুটিগুলি খুঁজে বের করা এবং সেগুলি সংশোধন করতে আন্তরিক হওয়া।

১৮- সময় ও গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিতে নামাজ আদায় করার চেষ্টা করবেন।

১৯- সর্বদা আল্লাহকে হৃদয় বা মুখে স্মরণ কর। অবহেলায় এক মুহূর্ত ব্যয় করবেন না।

২০-  আল্লাহর যিকির করতে যদি ভাল লাগে, অন্তর খুশি হয় তাহলে শুকরিয়া আদায় করবে।

আরও পড়তে ক্লিক করুনঃ একটি মিথ্যা প্রচারের সংশোধনঃ মৌলভী মোহাম্মদ নাইমুদ্দিন কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক।

সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের উপকারী পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন ।

 

সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের উপকারী পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন ।

সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের উপকারী পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন ।

সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের উপকারী পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন। প্রতিদিন 24 ঘন্টার মধ্যে ঘুমানো এমন সময় হয় যখন আমরা আমাদের চারপাশে সচেতন না হই। যখন মানসিক কর্ম এবং ইচ্ছাশক্তি বন্ধ থাকে। মহান প্রভু ঘুমের উপযুক্ত সময় হিসাবে রাতকে নির্ধারণ করেছেন এবং একটি ভাল ঘুমের পরিবেশ তৈরি করতে রাতে একটি অন্ধকার কম্বল রেখেছেন। 

এই কারণেই যখন রাতের কাজ দিনের শেষে আসে, লোকেরা ঘুমিয়ে থাকে এবং পরের দিনের কাজের শক্তি সঞ্চয় করে। আল্লাহ আমাদের জন্য নিদ্রার এই মহান নেয়ামতকে কুরআনে নিম্নলিখিত উপায়ে বর্ণনা করেছেন: "এবং আমি তোমার নিদ্রাকে বিশ্রাম দিয়েছি এবং রাতকে আমি তোমার জন্য আবরণ করে দিয়েছি এবং আমি তোমার জন্য দিনকে পরিণত করেছি।

 কাজ। " সূরা নাবা, আয়াত ৯-১১। যতক্ষণ আমরা জেগে থাকি ততক্ষণ অ্যাডিনোসিন রসায়ন আমাদের শরীরে লর্ডসের বাধ্যবাধকতা অনুসারে জমে থাকে, এক পর্যায়ে এটি এতটা হয়ে যায় যে আমাদের ঘুমানো দরকার। এবং এই ঘুমের মধ্যে, আমাদের দেহের পেশী ক্ষয়, বৃদ্ধি, ক্ষতিগ্রস্থ কোষগুলির প্রতিস্থাপন, স্মৃতি সংরক্ষণ এবং সারাদিনে সঞ্চিত স্মৃতি ভালভাবে সাজানো থাকে। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের উচিত রাত জেগে এড়ানো উচিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাজের পর তাড়াতাড়ি শুতে যেতেন এবং রাতে শেষে তাহাজ্জুদ করতে উঠতেন।

 ঘুমের উপকারী পদ্ধতি হ'ল তিনি যে পদ্ধতিটি শিখিয়েছিলেন। বিছানায় যাওয়ার আগে কী করবেন তা হল বিছানা থেকে নামা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন শরণাপন্ন হয়ে বিছানায় যায়, তখন সে তার বিছানা ঝাঁকুন। কারণ তার অবর্তমানে বিছানায় কী পড়েছে সে জানে না। 'বুখারী।

ডান কাঁধে ঘুমানো: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আপনি যখন বিছানায় আসবেন তখন নামাযের ওযুর মতো ওযূ করুন। তারপরে সে তার ডান কাঁধে শুয়ে থাকবে। 'বুখারী।

ডান গালে হাত রেখে: হজরত হাফসা (রা।) বলেছেন, ‘রসুলুল্লাহ যখন ঘুমাতে চাইতেন, তখন ডান হাতটি তাঁর ডান গালের নীচে রাখতেন।’ আবু দাউদ।

সূরা তেলাওয়াতের পরে শ্বাস: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমাতে যাওয়ার আগে উভয় হাতের তালু মিশিয়ে সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়তেন। তারপরে তিনি যতটা সম্ভব দু'হাত দিয়ে মাথা, মুখ এবং পুরো শরীরটি নড়াচড়া করতেন। তিনি তা তিনবার করতেন। 'বুখারী।

Read updeted English News

আয়াতুল্লাহ কুরসী পড়া: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আপনি যখন নিজের বিছানায় যান, তখন আয়াতুল্লাহ কুরসীর তেলাওয়াত করুন।’ বুখারী।

সূরা কাফেরুনের তেলাওয়াত: হজরত ফারওয়া ইবনে নওফাল (রহঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত নওফালকে সম্বোধন করে বললেন, ‘তোমরা সূরা কাফেরুন তেলাওয়াত কর এবং অতঃপর ঘুমিয়ে পড়ো। কারণ এটি শিরক থেকে মুক্তির ঘোষণা। 'আবু দাউদ।

দোয়া: নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘুমাতে যান, তখন তিনি বলতেন, 'আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহিয়া', এবং যখন তিনি জেগেছিলেন, তখন বলতেন, দান কর। তাঁর শাসনামলে আমাদের পুনরুত্থান। 'বুখারী।

তাসবীহ তিলাওয়াত: নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আপনি যখন শুতে যান, তখন সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৩ বার আল্লামু আকবার ৩৪ বার বলুন।’ বুখারী।

আরও পড়তে ভেখানে ক্লিক করুনঃ 

সবকিছু ভুলে যান, স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি ও বিপদ থেকে রক্ষার এই স্বল্প সময়ের আমলটি জানুন

 
সবকিছু ভুলে যান, স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি ও বিপদ থেকে রক্ষার এই স্বল্প সময়ের আমলটি জানুন

সবকিছু ভুলে যান, স্মৃতি বৃদ্ধির এই স্বল্প সময়ের আমলটি জানুনঃ

জ্ঞান অর্জনে স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ  আপনি কোনও কিছু মুখস্থ করার চেষ্টা করলে স্মৃতির গুরুত্ব স্পষ্ট হয়। আবার অনেক কিছুই আমরা ভুলে যাই হুটহাট। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম সমস্যা ছোট ছোট জিনিস ভুলে যাওয়ার সমস্যাটি যতটা সহজ লাগে তত সহজ। কারণ এখানেই সমস্যা শুরু হয়। এবং তাই স্মৃতির ক্ষেত্রে এই ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া থেকে দ্রুত স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাজ করা উচিত। আজ আমরা খুব সহজেই স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর একটি প্রক্রিয়াটি হাইলাইট করব। অনুশীলনটি হ'ল যে ব্যক্তির স্মৃতি দুর্বল, সে বা তার পিতা-মাতা প্রতিদিন প্রতিটি নামাজের পরে সূরা আল আলম নাসরাহ পাঠ করবে এবং তার বুকে ফুঁকবে। সূরা তেলাওয়াতের শুরু ও শেষে একবার দারূদ শরীফ পাঠ করা হবে। যদি শিক্ষার্থী বুঝতে পারে, তবে প্রতিবার পড়ার জন্য বসে প্রতিটি শ্রেণির শুরুতে, শিক্ষার প্রতিটি অধিবেশন শুরুর আগে এবং পরে, তিনি দরূদ শরীফ সহ এই সূরাটি তেলাওয়াত করবেন এবং তা বুকে ফুটিয়ে তুলবেন । যে নিয়মিত এটি করে, আল্লাহর রহমতে তার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। আরও বেশি করে পড়ুন - ‘হে আমার রব! আমার বুক প্রশস্ত করুন। আমার কাজটি আরও সহজ করুন। আমার জিভের নিস্তেজতা দূর করুন। যাতে তারা বুঝতে পারে যে আমি কী বলছি। '[সুরত-তাওবা: ২৫-২6] এছাড়াও, হে আল্লাহ, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। (সূরা ত্ব-হা: ১১৪) পড়া যায়। আল্লাহ আমাদের সকলের স্মৃতি বৃদ্ধি করুন। আমেন

কুরআনের দশটি সূরা যা আপনাকে দশটি বিপদ থেকে রক্ষা করঃ 

শ্বর মানুষ বিভিন্ন সময়ে পরীক্ষা করেন। আল্লাহ্‌ মানুষকে কেবল এই পৃথিবীতেই নয়, পরকালেও শাস্তি দেবেন। কুরআন এই দুনিয়ার বিপদ বা পরকালের শাস্তি থেকে বাঁচার একটি উপায় সরবরাহ করে। কুরআনে দশটি সূরা রয়েছে যেগুলি বিপদের পরে পড়লে আল্লাহর রহমতে আপনাকে বাঁচায় , সূরাগুলি নিম্নরূপ-

  • সূরা ফতিহা আল্লাহর গজব হতে রক্ষা করবে।
  • সূরা ইয়াসীন কিয়ামতের দিন পিপার্সাত হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
  • সূরা দুখান কিয়ামতের দিনের ভয়াল অবস্থা হতে রক্ষা করবে।
  • সূরা ওয়াকি’আ দরিদ্রতা হতে রক্ষা করবে।
  • সূরা মূলক কবরের আযাব হতে রক্ষা করবে।
  • সূরা কাওসার শত্রুর অনিষ্ট হতে রক্ষা করবে।
  • সূরা কাফিরুন মৃত্যুর সময় কুফরী হতে রক্ষা করবে।
  • সূরা ইখলাস মুনাফিকী হতে রক্ষা করবে।
  • সূরা ফালাক হিংসুকের হিংসার হতে রক্ষা করবে।
  • সূরা নাস যাবতীয় ওয়াসাওয়াসা হতে রক্ষা করবে।

কেবলমাত্র আল্লাহর সত্য বাণী, কুরআন, সমস্ত মুসলমানকে বাঁচাতে পারে। সবাই আমল করার চেষ্টা করে, আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করবেন ইনশাল্লাহ।

আরও পরুনঃ কুরআন কিয়ামতের দিন পাঠকের জন্য সুপারিশ করবে.

যে লজ্জা পায় না তার ঈমান নেই ।

ashamed

 যে লজ্জা পায় না তার ঈমান নেই ।

ড্রাগগুলি এমন পদার্থ যা মানব মস্তিষ্ককে পঙ্গু করে দেয় এবং স্বাভাবিকভাবে কাজ করে না। মানবতা রক্ষার জন্য ইসলামে ড্রাগগুলি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, অশুচি ও নিষিদ্ধ।

হজরত আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘যে পানীয়গুলি নেশা সৃষ্টি করে সে হারাম।’ (বুখারী শরীফ, খণ্ড ১, পবিত্রতা অধ্যায়, অধ্যায়: ১৮৯, হাদীস: ২৪১, পৃষ্ঠা ১৪০)।

একজন মাদকাসক্তের স্ব-মূল্যবোধ এবং লজ্জার বোধ নেই। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘লজ্জা ঈমানের অঙ্গ। যে লজ্জা পায় না তার বিশ্বাস নেই। (বুখারী শরীফ, প্রথম খণ্ড, প্রথম অধ্যায়, ঈমান: ৩, হাদীস: ৬, পৃষ্ঠা ১৬)।

কুরআনে মাদকের নিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে - এভাবে প্রথমে বলা হয়েছে, ‘লোকেরা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুনঃ দু'জনের মধ্যে রয়েছে মহা পাপ এবং মানুষের পক্ষে মঙ্গলকর; তবে তাদের পাপ উপকারের চেয়েও বেশি। '(সূরা ২ [৭] বাকারা, রুকু: ২৬, আয়াত: ২১৯, পারা: ২, পৃষ্ঠা ৩৫/১৩)

দ্বিতীয় পদক্ষেপটি হল, ‘হে ঈমানদারগণ! অ্যালকোহল, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদী এবং তীর যা ভাগ্য নির্ধারণ করে তা হ'ল জঘন্য জিনিস, শয়তানের কাজ। সুতরাং এটি ছেড়ে দিন যাতে আপনি সফল হতে পারেন। '

চূড়ান্ত পর্যায়ে তিনি বলেছিলেন, ‘শয়তান মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে এবং আপনাকে আল্লাহর স্মরণ ও প্রার্থনা থেকে বিরত রাখতে চায়। তবে আপনি কি বিরত থাকবেন না? '(সূরা ৫ [১১২] মায়েদা, রুকু: ১২, আয়াত: ৯১, পারা: 6, পৃষ্ঠা ১২৪)। 

একজন মুসলমানের পক্ষে মাদক সংগ্রহ করা, সংরক্ষণ করা এবং বিতরণ করা এবং সেগুলি কেনা বেচা করা সম্পূর্ণ হারাম হিসাবে ব্যবহার করা হারাম।

ওষুধ হারাম এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যে ওষুধ ব্যবহার করা হারাম is হাদিসে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রহঃ) বর্ণনা করেছেন যে রাসূলুল্লাহ (সা।) রাবিয়াহ গোত্রের প্রতিনিধিদের চারটি কাজ করার এবং চারটি জিনিস নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন, নামাজ কায়েম করা, যাকাত আদায় করা এবং রমজান মাসে রোজা রাখা; লুণ্ঠনের এক-পঞ্চমাংশ দান করুন। নিষিদ্ধ: (ওয়াইন হিসাবে ব্যবহৃত) শুকনো লরেল শেলস, সবুজ জগ এবং টর্কের পালিশ পাত্রগুলি। (বুখারী শরীফ, প্রথম খণ্ড, ইলম অধ্যায়।

মিরাজের রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা।) কে বিভিন্ন অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। যারা মদ, মাদক ও মাদক সেবন করেছিল তাদের শাস্তি তিনি দেখেছিলেন। তারা জাহান্নামের বন্দীদের মরদেহ থেকে বিষাক্ত ময়লা পান করছে।

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহান্নামের অভিভাবক দেবদূতকে নোংরা মুখে মালিকের নাম দেখলেন এবং বলেছিলেন যে জাহান্নাম সৃষ্টির পর থেকে তিনি কখনও হাসেননি। (বুখারী ও মুসলিম, মেরাজ অধ্যায়)।

আল্লাহ আমাদের মাদকের হাত থেকে রক্ষা করুন।

আরও পড়তে এখানে ক্লিক  করুনঃ প্রকৃত মুমিনের পরিচয় ও গুণাবলি

প্রিয় নবীর দিদার লাভ

 

প্রিয় নবীর দিদার লাভ

প্রিয় নবীর দিদার লাভ 

মুমিনের অন্তরের আশা, কেবল যদি সমস্ত কিছুর জন্য, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জীবনে এক নজরে দেখতে পেতাম! জাহান্নামের আগুন একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্পর্শ করবে না। (তিরমিযী) প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র রূপটি বহু সাহাবীর কাছ থেকে বর্ণিত হয়েছে। হযরত আলী (রা।) যখনই প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেহ বর্ণনা করতেন, তখন তিনি বলতেন যে তিনি খুব লম্বাও নন বা খুব ছোটও ছিলেন না; বরং তিনি মানুষের মধ্যে মধ্যপন্থী ছিলেন। তাঁর মাথার চুল মোটেও কোঁকড়ানো এবং সম্পূর্ণ সোজা ছিল না; বরং মাঝারি ধরণের ছিল কোঁকড়ানো। তিনি খুব বেশি ওজনের ছিলেন না এবং তাঁর চেহারাও গোল ছিল না; বরং দীর্ঘ লক্ষ্য ছিল। ত্বকের রঙটি ছিল লাল এবং সাদা রঙের মিশ্রণ। চোখের রঙ কালো, চোখের পাতা দীর্ঘ এবং পাতলা ছিল। হাড়ের জয়েন্টগুলো ঘন ছিল। পুরো শরীর নিরলস, যদিও পশমের পাতলা রেখাটি বুক থেকে নাভি পর্যন্ত দীর্ঘ ছিল। উভয় হাত এবং পায়ের তালুতে মাংস পূর্ণ ছিল। তিনি যখন হাঁটতেন, তখন তিনি পা পুরোপুরি তুলতেন এবং সেগুলি মাটিতে রাখতেন, যেন কোনও উচ্চ স্থান থেকে নেমে আসত। তিনি যখন কোনও দিকে তাকাতেন তখন তিনি ঘাড় পুরোপুরি ঘুরিয়ে দিতেন। তাঁর উভয় কাঁধের মাঝখানে ছিল সীলমোহরের ভবিষ্যদ্বাণীটির অলৌকিক চিহ্ন। তিনিই শেষ নবী। তিনি ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে উদার, সত্যবাদী। বংশের দিক থেকে তিনি অত্যন্ত নম্র প্রকৃতির এবং আভিজাত্য ও মর্যাদার অধিকারী ছিলেন। যে ব্যক্তি তাকে দেখেছিল সে হঠাৎ ভয় পেয়ে গেল (তার গুরুত্বের কারণে) অন্যদিকে, যে ব্যক্তি তার সাথে পরিচিত এবং মিশে গিয়েছিল, তিনি তার প্রেমে প্রেমে পড়ে যান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফজিলতের বর্ণনাকারী বলতে বাধ্য হয়েছিলেন যে আমি তাঁর আগে বা তার আগে কখনও দেখিনি। তিরমিযী।

আরও পরুনঃ স্পেনের কর্ডোবা মসজিদ মুসলিম সভ্যতার এক অনন্য উদাহরণ 

হজরত হাসান বিন আলী (রা।) বলেন, আমি আমার চাচা হিন্দ বিন আবু হালা (রাঃ) কে রাসূলুল্লাহ (সা।) - এর উপস্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি তার পুরো শরীরের বর্ণনা দিয়েছেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেছিলেন যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কপাল বেশ উন্নত ছিল। ভ্রুগুলি সরু এবং ঘন পাপড়িযুক্ত ছিল। ভ্রু দুটি আলাদা ছিল। মাঝখানে একটা শিরা ছিল। হুজুর (আঃ) রাগ করলে তা ভেসে যেত। নাকটা সোজা ছিল। আপনি যদি ভাল না দেখেন তবে মনে হচ্ছে তাঁর বিশাল নাক। নাক থেকে এক ধরণের আলোক জ্বলছে। তিরমিযী। মহানবী (সা।) - এর আকৃতি সম্পর্কে হজরত জাবির ইবনে সামুরা (আ।) বলেছেন, ‘একবার আমি নবী করিম (সঃ) কে চাঁদনি রাতে দেখেছি। অতঃপর আমি একবার রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর দিকে একবার চাঁদের দিকে তাকালাম। তার পরে তিনি লাল পোশাক পরেছিলেন। সে আমার কাছে চাঁদের চেয়েও সুন্দর লাগছিল। 'তিরমিজি, দারেমি। হজরত কাব ইবনে মালিক (রহঃ) বলেছেন, রাসূল (সাঃ) যখন কোন বিষয়ে খুশি হতেন তখন তাঁর চেহারা উজ্জ্বল হয়ে উঠত। তার মুখ দেখতে চাঁদের টুকরো টুকরো মনে হয়েছিল বুখারী, মুসলিম। হজরত ইবনে আব্বাস (রহঃ) বলেছেন, ‘রাসূল (সা।) - এর দুটি সামনের দাঁতের মধ্যে একটা ফাঁক ছিল। তিনি যখন কথা বলছিলেন, মনে হচ্ছিল যেন সেই দুটি দাঁত দিয়ে আলো ছড়িয়ে পড়ছে। '

আরও পরুনঃ  ইসলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব

ইসলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব

ইসলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব

 ইসলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব

আবর্জনা প্রায়শই আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। সেগুলি পরিষ্কার করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। কারণ তারা পরিবেশকে দূষিত করে। ফলস্বরূপ, সমাজে রোগ এবং অসুস্থতা বৃদ্ধি পায়। যা আমাদের কাছে কাম্য নয়। কারণ সুস্থতা সব সুখের মূল। শরীরকে সুস্থ রাখা যে কোনও মানুষের আকাঙ্ক্ষার মধ্যে একটি। মনের প্রত্যাশা একা। তবে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে আপনার নিজেকে পরিষ্কার রাখতে হবে। অপরিচ্ছন্নতা অপসারণ করতে হবে। আবর্জনা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দিতে হবে। কাপড় পরিষ্কার রাখতে হবে। ঘরটি ধুয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কারণ ইসলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরিবেশের স্বাস্থ্যের উপর অনেক বেশি নির্ভর করে। পরিবেশ যখন পরিষ্কার থাকে, যদি এটি বেঁচে থাকার উপযোগী হয় তবে মানুষের শরীর এবং মন আরও ভাল হয়। সর্বশক্তিমান আল্লাহ মানুষের মঙ্গলকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। পরিচ্ছন্নতার উপর বিশেষ জোর দিয়েছে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন, ‘পরিচ্ছন্নতা faithমানের অর্ধেক’। মুসলিম।


কুরআন-হাদিসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে ঘর ও আশপাশের পরিচ্ছন্নতা পর্যন্ত এমন কোন দিক নেই যা কুরআন-হাদীসে আলোচিত নয়। ইসলাম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপরে এত বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণ কী? এর মূল কারণ হ'ল আমরা যদি পরিষ্কার থাকি, আমরা সুস্থ থাকব, আমরা সুস্বাস্থ্য পাব।


মদীনার নিকটে কুবারের লোকেরা খুব পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করত। তাদের প্রশংসার সাথে প্রশংসা করে আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, ‘সেখানে এমন লোক আছে যারা নিজেকে ভালভাবে শুদ্ধ করতে পছন্দ করে। আর আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন যারা নিজেকে পবিত্র করে। 'আমাদের দেহের বেশিরভাগ রোগ অশুচিতার কারণে হয়। অনেকে আছেন যারা নিয়মিত গোসল করেন না, দাঁতগুলি ঠিকমতো ব্রাশ করেন না। এর ফলস্বরূপ যা ঘটে তা হ'ল ধীরে ধীরে এটি শরীরে বিভিন্ন ছোট ছোট রোগের কারণ হয়। এবং এই ছোট ছোট রোগগুলি একদিন বড় হয়ে উঠবে। সুতরাং কুরআন মানুষকে পবিত্র ও শুদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, "নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীদের ভালবাসেন এবং যারা নিজেকে পবিত্র করেন তাদের ভালবাসেন।"

স্বাস্থ্য একটি মূল্যবান সম্পদ। আমাদের প্রতিদিনের জীবন, উপাসনা, ঘর ও পরিবারে সবকিছু করতে হবে এবং স্বাস্থ্যের যত্নও নিতে হবে। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অসুস্থ হওয়ার আগে ভাল কাজের জন্য স্বাস্থ্য ব্যবহার করতে উত্সাহিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, স্বাস্থ্য ব্যবহার করুন, স্বাস্থ্য রক্ষা করুন। অন্য একটি হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন এক সাহাবীকে ডেকেছিলেন যিনি সারা দিন রোজা রাখতেন এবং সারা রাত নফল নামাজ পড়তেন এবং বললেন, হে আমার সাহাবাগণ! জেনে রাখুন, ‘নিশ্চয়ই তোমার দেহের অধিকার তোমার উপর আছে।’ বুখারী।

ইসলাম জীবিতকে মৃতদের জন্য যা আমল করতে বলে।

 

ইসলাম জীবিতকে মৃতদের  জন্য যা আমল করতে বলে।

ইসলাম জীবিতকে মৃতদের জন্য যা আমল করতে বলে।

এই অস্থায়ী বিশ্বে কেউ স্থায়ী নয়। তিনি আজ বেঁচে থাকলে আগামীকাল তিনি বেঁচে থাকার কোনও নিশ্চয়তা নেই। আত্মা শরীর ছেড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই লোকেরা মৃত হিসাবে বিবেচিত হয়। মৃত্যুর বিষয়ে আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে। আর কেয়ামতের দিন তোমাদেরকে পুরোপুরি প্রতিদান দেওয়া হবে। অতঃপর যে ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে দূরে থাকবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করবে, সে সফলকাম। আর দুনিয়ার জীবন বিভ্রান্তি ছাড়া আর কিছুই নয়। সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৮৫।

মৃত্যু থেকে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। সবাইকে একদিন মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে। এ সম্পর্কে আল্লাহ কুরআনে আরও বলেছেন, "প্রত্যেককে অবশ্যই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।" আমি তোমাকে ভাল এবং মন্দ দিয়ে পরীক্ষা করব এবং আমার কাছেই ফিরে আসবে। সূরা আম্বিয়া, ৩৫ নং আয়াত। ইসলামী শরীয়াহ এমন কিছু নির্দেশনা দিয়েছে যে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া ব্যক্তির পক্ষে জীবিত কিছু করবে কি না; যার আনুগত্য মৃতের কল্যাণের জন্য প্রয়োজনীয়। তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হল - এক। মৃতের সৎকর্মের আলোচনা সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) এ সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মৃতদের সৎকর্ম আলোচনা করো এবং কুফল সম্পর্কে আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ আবু দাউদ।

দুই। মৃত ব্যক্তির জন্য আরও বেশি করে প্রার্থনা করা। তাঁর আত্মার ক্ষমা প্রার্থনা করা। তার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে। এক্ষেত্রে হজরত নূহ (আ।) - এর নামাজ কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বললেন, ‘হে আমার রব! আমাকে এবং আমার পিতামাতাকে এবং যারা বিশ্বাসের সাথে আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত বিশ্বাসী পুরুষ এবং বিশ্বাসী মহিলাদেরকে ক্ষমা করুন। সূরা নূহ, ২৮ নং আয়াত।

তিন. মৃত ব্যক্তির পুরষ্কারের জন্য দান করা। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা।) - এর কর্তৃত্বে বর্ণিত আছে যে সাদ ইবনে উবদা (রহ।) এর অনুপস্থিতিতে তাঁর মা মারা যান। তিনি নবীকে জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহ তা‘আলা তাকে অনুগ্রহ করুন এবং তাকে শান্তি দান করুন যে আমার মা আমার অনুপস্থিতিতে মারা গিয়েছিলেন। আমি যদি তার পক্ষ থেকে সদকা করি তবে তার কি কোন উপকার হবে? সে হ্যাঁ বলেছে. সা'দ বললেন, "আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আমি আমার বাগানটি 'মিকরাফ' নামে আমার মায়ের দাতব্য হিসাবে দিয়েছি।"

হজরত আবু হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, ‘এক ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন,‘ আমার পিতা মারা গেছেন এবং ধন-সম্পদ রেখে গেছেন কিন্তু ইচ্ছা করেন নি। এখন আমি যদি তার পক্ষ থেকে সদকা করি, তবে সে কি প্রায়শ্চিত্ত হবে? সে হ্যাঁ বলেছে."

আরও পরুনঃ  পবিত্র কুরআনের ১০০ টি নির্দেশ। যা প্রত্যেক মুসলমানের জানা থাকা উচিত। 

পবিত্র কুরআনের ১০০ টি নির্দেশ। যা প্রত্যেক মুসলমানের জানা থাকা উচিত।

 
পবিত্র কুরআনের ১০০ টি নির্দেশ। যা প্রত্যেক মুসলমানের জানা থাকা উচিত।

পবিত্র কুরআনের ১০০ টি নির্দেশ। যা প্রত্যেক মুসলমানের জানা থাকা উচিত। 

০১.. কথোপকথনে অভদ্রতা করবেন না। (০৩ঃ১৫৯)

০২.. আপনার ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করুন (০৩ঃ১৩৪)।

০৩.অন্যদের সাথে ভাল ব্যবহার করুন। (০৪ঃ৩৬) 

০৪. অহংকার করবেন না। (০৭ঃ ১৩) 

০৫. অন্যকে তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা করুন (০৭ঃ১৯৯)।

০৬.বড়দের সাথে আস্তে আস্তে এবং শান্তভাবে কথা বলুন। (২০৪ঃ৪৪)

০৭. জোরে কথা বলবেন না। (৩১ঃ১৯)

০৮.অন্যকে উপহাস করবেন না (৪৯৪ঃ১১)

০৯. পিতামাতার প্রতি দায়িত্বের সাথে আচরণ করুন। (১৭ঃ২৩)।

১০.পিতামাতার প্রতি অসম্মানজনক কথা বলবেন না। (১৭ঃ২৩)।

১১. বিনা অনুমতিতে আপনার পিতামাতার ঘড়ে প্রবেশ করবেন না। (২৪ঃ৫৮)

১২. যখন আপনি কোনও ধার নেন, তখন এটি লিখে রাখুন। (০২ঃ২৮২) 

১৩. অন্ধভাবে কাউকে অনুসরণ করবেন না। (২৪ঃ১৭০)।

১৪.  সময় মত ধার পরিশোধ না করতে পারলে,  পরিশোধের সময় বাড়ান। (২৪ঃ২৮০)।

১৫.  কখনই সুদের প্রতি আগ্রহী হবেন না। (০২ঃ২৭৫)।

১৬.  কখনও ঘুষের সাথে জড়িত হবেন না। (০২ঃ১৮৮)।

১৭. প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন না। (০২ঃ১৭৭)

১৮.  আস্থা রাখুন (০২ঃ২৮২)

১৯. সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করবেন না। (০২ঃ৪২)।

২০.ন্যায় এঁর সাথে বিচার করুন। (৪০ঃ১৫৮)

২১.  ন্যায়বিচারকের পক্ষে থাকুন। (০৪ঃ১৩৫)

 ২২. মৃত ব্যক্তির সম্পদ তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করুন। (৪০ঃ০৭)

২৩. মহিলাদের উত্তরাধিকারের অধিকার অনুধাবন করুন। (৪০ঃ০৭)

২৪.  এতিমদের সম্পত্তি গ্রাস করবেন না। (৪০ঃ১০)

২৫. এতিমদের রক্ষা করুন। (০২ঃ২২০)।

২৬. অন্যের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করবেন না। (৪০ঃ২৯)।

২৭.  মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব সমাধান করার চেষ্টা করুন। (৪৯৪ঃ০৯)

২৮. সন্দেহ এড়ানোর চেষ্টা করুন। (৪৯৪ঃ১২)

২৯.  গুপ্তচরবৃত্তি করবেন না, অপবাদ প্রচার করবেন না। (৪৯০ঃ১২)

৩০.  আল্লা্হ্ আইন অনুযায়ী বিচার করুন । (০৫ঃ৪৫৬)।

৩১. দাতব্য সম্পদ ব্যয় করুন। (৫৭ঃ৭)

৩২.  দরিদ্রদের খাবার খাওয়ান। (১০৭ঃ০৩) 

৩৩.  অভাবীদের অভাব পূরণ করার উপায়টি দেখান। (০২ঃ২৭৩)।

৩৪.  অপচয় করবেন না। (১৭ঃ২৯)

৩৫.  খটা দিবেন না । (২৪ঃ২৬৪)।

৩৬.  অতিথিকে সম্মান করুন। (৫১৪ঃ২৬)

৩৭.  কেবল আপনার নিজে ভালো কাজ করুন এবং তারপরে অন্যকে ভালো কাজ করার আদেশ দিন। (০২ঃ৪৪)

৩৮.  কাউকে তিরস্কার করবেন না। (০২ঃ৬০)

৩৯.  লোকদেরকে মসজিদে যাওয়া থেকে বিরত রাখবেন না। (০২ঃ১৪৪)

৪০. কেবল তাদের সাথে লড়াই করুন যারা আপনাকে সাথে লড়াই করে (০২ঃ১৯০)

৪১. যুদ্ধের শিষ্টাচার অনুসরণ করুন। (২৪ঃ১৯১)।

৪২. যুদ্ধ থেকে পলায়ন করবেন না । (০৭ঃ১৫)

৪৩. ধর্ম নিয়ে বেশি বাড়া বারি করবেন না। (২৪ঃ২৫৬)

৪৪. সমস্ত নবী উপর বিশ্বাস রাখুন। (০২ঃ২৮৫)

৪৫.  স্ত্রীর রিতুস্রাবের সময় সহবাস করবেন না। (০২ঃ২২২)।

৪৬. ​​পুরো দুই বছর আপনার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান। (২৪ঃ২৩৩)।

৪৭.  ​​অননুমোদিত উপায়ে যৌনতা করবেন না। (১৭ঃ৩২)

৪৮.  ​​যোগ্যতা অনুযায়ী নেতৃত্বের দায়িত্ব অর্পণ করুন। (০২ঃ২৪৭)।

৪৯. যে যতটা সামলাতে পারে তার চেয়ে বেশি কিছু করতে বাধ্য করবেন না। (০২ঃ২৮৬)

.৫০. বিভাজন উত্সাহিত করবেন না। (০৩ঃ১০৩)

৫১. মহাবিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করুন (০৩ঃ১৯১)।

৫২.  অমল অনুসারে পুরুষ ও মহিলা সমান। পুরষ্কার পাবেন ; সুতরাং বেশি বেশি আমল করুন। (০৩ঃ১৯৫)

৫৩.  'মাহরাম' আত্মীয়কে বিয়ে করবেন না। (০৪ঃ২৩)। 

৫৪. পুরুষ হিসাবে মহিলাদের রক্ষা করুন। (০৪ঃ৩৪)।

৫৫. কৃপণ হয়ে উঠবেন না। (০৪ঃ৩৭)

৫৬. মনে মনে রাগ পোষণ করবেন না। (০৪ঃ৫৪)

৫৭. একে অপরকে হত্যা করবেন না। (০৪ঃ৯২)।

৫৮. জালিয়াতির পক্ষে ওকালতি করবেন না। (০৪ঃ১০৫) 

৫৯. পাপ কাজ এবং আগ্রাসনে সহযোগিতা করবেন না। (০৫ঃ০২)

৬০.  সৎ কাজের সহযোগিতা করুন । (৫৪ঃ০২)।

৬১. সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই কোন কিছু ন্সত্য বলে গ্রহণ করবেন না। (০৬ঃ১১৬)

৬২.  ন্যায়বিচার করুন। (০৫ঃ০৮)

৬৩. অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। (০৫ঃ৩৮)

৬৪.  পাপ এবং বেআইনী কাজের বিরুদ্ধে লড়াই করুন (০৫ঃ৬৩)।

৬৫.  মৃত প্রাণী, রক্ত, শুয়োরের মাংস খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। (৫৪ঃ০৩)।

৬৬. ড্রাগ এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন (৫:৯০)

৬৭.  জুয়া খেলবেন  না। (০৫ঃ৯০)

৬৮. অন্য ধর্মের দেবতাদের অপমান করবেন না। (০৬ঃ১০৮)

৬৯.  ক্রেতাকে প্রতারণার উদ্দেশ্যে আকারের চেয়ে কম দিবেন না। (০৬ঃ১৫২)

৭০.  খাওয়া ও দাওয়া; তবে অপচয় করবেন না। ০৭ঃ৩১)

৭১. নামাজের সময় ভাল পোশাক পরুন। (০৭ঃ৩১)।

৭২.  আশ্রয়প্রার্থীকে রক্ষা করুন, সহায়তা করুন। (৯৪ঃ০৬)

৭৩.পবিত্রতা ধরে থাকুন। (০৯ঃ১০৮)

৭৪.  আল্লাহ্‌র করুণার আশা কখনও ত্যাগ করবেন না। (১২ঃ৮৭)।

৭৫. আপনি যদি অজান্তে কোনও ভুল করেন তবে  আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা আশা করুন  (১৬ঃ১১৯)

৭৬.  জ্ঞান এবং মঙ্গল এঁর সঙ্গে মানুষকে  আল্পলাহ্ পথে ডাকুন। (১৬ঃ১২৫৮)

৭৭.  অন্যের দোষ কাভ বহন করতে হয় না, বিশ্বাস করুন। (১৭ঃ১৫)

৭৮. দারিদ্র্যের ভয়ে আপনার বাচ্চাদের হত্যা করবেন না। (১৭ঃ৩১)

৭৯. আপনি জানেন না এমন কারোর পিছনে যাবেন না। (১৭ঃ৩৮)

৮০.  অকেজো কাজ থেকে দূরে থাকুন। (২৩:০৩)

 ৮১. বিনা অনুমতিতে কারও বাড়িতে প্রবেশ করবেন না। (২৪ঃ২৭)।

 ৮২.  বিশ্বাস করুন যে, যারা আল্লাহকে দৃভাবে বিশ্বাস করেন তাদের জন্য আল্লাহ সুরক্ষা দান করবেন। (২৪ঃ৫৫)।

 ৮৩.  মাটিতে আলতো  চলা ফেরা করুন। (২৫ঃ৬৩)

 ৮৪.  বিশ্বে আপনার অংশ উপেক্ষা করুন। নং (২৮ঃ ৭৭)

৮৫. আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্যকে ডাকবেন না। (২৮ঃ ৮৮)।

 ৮৬.  সমকামিতার জঘন্য কাজ জড়িত হবেন না। (২৯ঃ২৯)

 ৮৭.  সৎকর্মের আদেশ দিন, মন্দ কাজকে নিষেধ করুন। (৩১ঃ১৭)

 ৮৮. মাটিতে গর্ব করে চলবেন না। (৩১ঃ১৮)

৮৯. মহিলাদের উজ্জ্বল পোশাক প্রদর্শন করা উচিত নয়। (৩৩৪ঃ৩৩)।

৯০. আল্লাহ্‌ সমস্ত পাপ, বিশ্বাসকে ক্ষমা করেন। এটা বিশ্বাস রাখুন। (৩৯৪ঃ৫৩)

৯১.আল্লাহ্‌র করুণা থেকে হতাশ হবেন না। (৩৯ঃ৫৩)

 ৯২. ভাল দ্বারা মন্দ প্রতিরোধ করুন। (৪১ঃ৩৪)

 ৯৩. পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। (৪২ঃ১৩)

 ৯৪. সেরা ব্যক্তি হতে আমল করুন । (৯৪ঃ১৩)

 ৯৫.  সন্ন্যাসী হবেন না। (৫৭ঃ২৭)

৯৬.  জ্ঞানের সন্ধানে নিযুক্ত থাকুন। (৫৮ঃ১১)।

৯৭.  অমুসলিমদের সাথে সদয় এবং নিরপেক্ষ আচরণ করুন। (৬০ঃ০৮)।

৯৮. লোভ থেকে নিজেকে বাঁচান। (৬৪ঃ১৬)

 ৯৯.  আল্লাহ্‌র কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করুন। (৭৩ঃ২০)

১০০. ভিক্ষুককে ফিরিয়ে দেবেন না। (93:10)

মহান নাল্লাহ পাক আমাদেরকে এই সব আমল করার তাউফিক দান করুন । আমিন

আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুনঃ করোনাঃ মহান আল্লাহ্‌র শুকরিয়া আদায় করতে হবে

দুই জগতের কল্যাণ হয় যে আমলে

 
দুই জগতের কল্যাণ হয় যে আমলে

দুই জগতের কল্যাণ হয় যে আমলে

প্রত্যেকে সহজেই ধনী হওয়ার জন্য তার জীবিকা নির্বাহ করতে চায়। জীবনে প্রচুর পরিমাণে থাকুক। কিছু লোক অর্থনৈতিক উদ্বেগের মধ্যে এতটাই অস্থির হয়ে পড়েছে যে তারা ভুলে গেছে যে আল্লাহ্‌ স্বয়ং মানব ও জ্বিন জাতি সহ সমস্ত প্রাণীর জীবিকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আর আমি তো বলেছি, তোমার, তমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তিনি তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি সমৃদ্ধ করবেন। '(সূরা নূহ, আয়াত ১০-১২) 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি বেশি বেশি ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ পড়ে থাকে তার অর্থ: ‘আমি আল্লাহকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

আল্লাহ্‌ তাকে তাঁর সমস্ত উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেবেন। তাকে সমস্ত সঙ্কট থেকে উদ্ধার করুন এবং এমনভাবে অর্থ প্রদান  করবেন যা কোনও মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। (মুসতাদরাকে হাকেম) 

আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে রিজিকের জোগান দেবেন। সুতরাং রুজির অন্বেষণের পাশাপাশি সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে আমাদের প্রার্থনা করতে হবে যাতে তিত্নি জেন আমাদের সকলকে একটি ভাল রুজির ব্যবস্থা করে দেন। আমিন ।  

গোনাহ মাফের দোয়া

বিশিষ্ট সাহাবী হজরত জায়েদ (রহঃ) বর্ণনা করেন যে হজরত নবী করিম (সা।) বলেছেন,  যে এই দোয়া পাঠ করবে, তার (জীবনের) সকল গুনাহ মাফ হবে। -আবু দাউদ: ১৫১৯, তিরমিজি: ৩৫৭৭

উচ্চারণ

আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি। 

বাংলা অর্থ

আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি চিরন্তন। তিনি সমস্ত সৃষ্টির পরিচালক। আমি তার কাছেই ফিরে যাব।

আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুনঃ  দুআ গ্রহণের জন্য ২৮ টি স্থান, ক্ষেত্র এবং সময়: 

প্রতিদিন পালনীয় কিছু আমল: যা ঈমান ও আমলের হিসাব সহজ করবে।

 
প্রতিদিন পালনীয় কিছু আমল: যা ঈমান ও আমলের হিসাব সহজ করবে।

প্রতিদিন পালনীয় কিছু আমল: যা ঈমান ও আমলের হিসাব সহজ করবে। 


১। ফরজ নামায (৫ ওয়াক্ত) আউয়াল ওয়াক্তে পড়ার চেষ্টা করতে হবে।আর কিচ্ছু না করলেও ফরজ নামায বাদ দেয়ার কোনো সুযোগই নেই।

২। সুন্নাত নামায (দিনে ১২ রাকাআত)ফজরে ২, যোহরে ৪+২, মাগরিবে ২ ও এশায় ২, মোট ১২ রাকাআত। ফজরের ২ রাকাত সুন্নাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত এই ১২ রাকাআত সুন্নাত নামায আদায়কারীর জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করা হবে। [সহিহ মুসলিম: ১৫৭৯-৮০]

৩। তাহাজ্জুদ নামায।তাহাজ্জুদ দুয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ সময়। এ সময় আল্লাহ প্রথম আসমানে নেমে আসেন। [সহিহ বুখারী ১১৪৫]মিনিমাম ২ রাকাত হলেও পড়ার চেষ্টা করতে হবে।

৪। ফরজ নামাযের পর আয়াতুল কুরসী পড়া।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকে না।"[নাসাঈ ৯৯২৮] সুবহানআল্লাহ!

৫। নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করা। নিয়মিত কুরআন পাঠ কিয়ামতের দিন নূর স্বরূপ হয়ে দাঁড়াবে। অর্থ সহ পড়ার চেষ্টা করতে হবে।

৬। রাতে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া।রাসুলুলাহ ﷺ বলেছেন, "যে ব্যক্তি রাতের বেলা সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়বে সেটা তার জন্য যথেষ্ঠ হবে।" [বুখারি:৫০১০, মুসলিম:৮০৭]

৭। ওযু করার পরে কালেমা শাহাদাত পড়া।রাসুল ﷺ বলেছেন, "যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযু করার পর 'আশহাদু আন লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারী-কা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান 'আবদুহু ওয়া রাসূলুহু' বলবে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেওয়া হবে। সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে।" [সহিহ মুসলিম: ১২২]

৮। তাহিয়াতুল ওযু।রাসুল ﷺ বলেছেন, "যে মুসলমান সুন্দররুপে অজু করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে পুরোপুরি তার প্রতি নিবদ্ধ রেখে দুই রাকাআত নামাজ আদায় করে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।" [সহিহ মুসলিম:২৩৪]
ওযুর পরে দুই রাকাত নফল নামাযের এতই সাওয়াব!

৯। সাইয়্যেদুল ইসতিগফার পড়া।রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, "যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দুআ পাঠ করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে মারা গেলে, সে জান্নাতী হবে।" [মিশকাত ২৩৩৫]
দিনে দুইবার পড়তে হয়, সকাল ও সন্ধ্যায়।

১০। সুরা মুলক পড়া। (রাতে ঘুমানোর আগে)রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, "কোরআন শরীফে ৩০ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা আছে, যা তার তেলাওয়াতকারীকে ক্ষমা করে না দেয়া পর্যন্ত তার জন্য সুপারিশ করতেই থাকবে।" [আবু দাউদ ১৪০২, তিরমিজি ২৮৯১]
সুরাটি হলো সুরা মূলক, যেটা রাসূল ﷺ ঘুমানোর আগে কখনোই বাদ দিতেন না।

১১। দরুদ পাঠ করা।রাসুল ﷺ বলেছেন, "যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করে, আল্লাহ তার প্রতি দশবার রহমত নাযিল করেন এবং তার দশটি গোনাহ (সগীরা) মাফ করা হয় ও তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়।" [নাসাঈ]দরুদে ইব্রাহীম পড়তে পারেন। অথবা সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত দরুদ "সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম" এটুক পড়লেও একবার দরুদ পড়ার সাওয়াব পাবেন।
(শুক্রবার বেশি বেশি করে পড়া।)

১২। ইস্তিগফার।নিয়মিত ইস্তিগফারে দুয়া কবুল বেশি হয়, অনেক গুনাহ মাফ হয়, আল্লাহর শাস্তি ও বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, রিযিক প্রশস্ত হয়।দিনে অন্তত ৭০ বার 'আস্তাগফিরুল্লাহ' পড়া।

১৩। 'সুবহান আল্লাহ', 'আলহামদুলিল্লাহ', 'আল্লাহু আকবর'।প্রতি ফরজ নামাযের পর তিনটি যিকির ৩৩ বার অথবা ১০ বার করে পড়তে হবে। দুইটাই হাদিসে এসেছে। ৩৩ বা ১০ যেটাই হোক, নিয়মিত আমল করতে হবে।

১৪। দিনে ১০০ বার 'সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি' পড়া।যে ব্যক্তি প্রতিদিন 'সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি' ১০০ বার পাঠ করবে সমুদ্রের ফেনা পরিমান (সগীরা) গুনাহ থাকলেও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে। [সহিহ বুখারী ১৬৮, মুসলিম ২০৭১]

১৫। নিয়মিত তিন কূল পড়া।রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন নিজের উভয় হাত এক সঙ্গে মিলাতেন। তারপর উভয় হাতে ফুঁক দিতেন এবং সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়তেন। তারপর দেহের যতটুকু অংশ সম্ভব হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি এরূপ তিনবার করতেন। [সহিহ বুখারি ৫০১৭]
এ সময় আয়াতুল কুরসিও পাঠ করতেন।

১৬। ঘুমানোর আগে অজু করা।রাসুল ﷺ বলেছেন, "যখন তুমি তোমার শয্যা গ্রহণের ইচ্ছা করবে, তখন সালাতের ন্যায় অজু করে ডান কাত হয়ে শয়ন করবে।" [বুখারি ও মুসলিম]

১৭। সাপ্তাহিক রোজা এবং আইয়্যামে বীজ।সপ্তাহের সোম, বৃহস্পতিবার এবং আইয়ামে বীজ অর্থাৎ চাঁদের ১৩,১৪,১৫ তারিখ রোজা রাখা। এটা রাসূল ﷺ এর নিয়মিত আমল।

১৮। আযানের জবাব দেওয়া এবং দুআ পড়া।বিশুদ্ধচিত্তে আযানের জবাব দিলে তা জান্নাতে নিয়ে যাবে। [বুখারি, মুসলিম]রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, "যে ব্যক্তি আজানের পর 'আল্লাহুম্মা রব্বা হা-যিহিদ...' এ দোয়াটি পাঠ করবে, তার জন্য আখিরাতে আমার সুপারিশ অবধারিত।" [সহিহ বুখারি ৬১৪]

১৯। দুআ করা।হাঁটতে, বসতে, চলতে সবসময় বেশি বেশি দুআ করা। কিছু দুআ আছে রাসুলুল্লাহ ﷺ সবসময় পড়তেন, এ ধরনের দুআ মুখস্ত করে বেশি বেশি পড়তে হবে।

২০। ইশরাক, চাশত, আওয়াবিন, এধরনের নফল নামাযগুলো পড়ার চেষ্টা করা।

২১। প্রতিদিন মেসওয়াক করা।

২২। টয়লেটে যাওয়া-আসায় দুআ পড়া।

২৩। শুক্রবারে সুরা কাহফ পড়া।

২৪। অযথা কথা বলা থেকে বিরত থাকা। এতে মিথ্যা বলা, গীবত-পরনিন্দা-অপবাদ ইত্যাদি হতে বেঁচে থাকা যাবে।

প্রতিদিন পালনীয় আরো অনেক আমল আছে। আমলগুলো নিয়মিত পালন করার চেষ্টা করি।সবসময় ইখলাস ও নিয়ত পরিশুদ্ধ করে ইবাদাত করার চেষ্টা করতে হবে। আজকে থেকে আমলগুলো থেকে পালন করার চেষ্টা শুরু করি।



মাত্র ১ মিনিটেই ১ কোটি নেকি লাভের আমল ও বিপদের সময় পাঠ করার দোয়া

 
মাত্র ১ মিনিটেই ১ কোটি নেকি লাভের আমল ও বিপদের সময় পাঠ করার দোয়া

মাত্র ১ মিনিটেই ১ কোটি নেকি লাভের আমল ও বিপদের সময় পাঠ করার দোয়া

বিপদের সময় পরার দোয়া  ১

হযরত উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, মানুষের ওপর কোনো বিপদ এলে সে যদি এই দোয়া পাঠ করে- আল্লাহতায়ালা তাকে তার বিপদের প্রতিদান দেন এবং সে যা কিছু হারিয়েছে তার বদলে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করেন।

বাংলা উচ্চারণ

ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনী ফী মুসিবাতী ওয়া আখলিফ-লী খাইরাম মিনহা।

বাংলা অর্থ

আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমাদেরকে তারই দিকে ফিরে যেতে হবে।

হে আল্লাহ! বিপদে আমাকে সওয়াব দান করুন এবং যা হারিয়েছি তার বদলে তার চেয়ে ভালো কিছু দান করুন। -সহিহ মুসলিম

বিপদের সময় পাঠ করার দোয়া ২

হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বিপদের সময় এই দোয়াটি পাঠ করতেন—

বাংলা উচ্চারণ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালীমুল হাকীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি- ওয়া রাব্বুল আরশিল কারীম।

বাংলা অর্থ

আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি পরম সহিষ্ণু ও মহাজ্ঞানী। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি মহান আরশের প্রভু। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি আকাশমন্ডলী, জমিন ও মহাসম্মানিত আরশের প্রভু। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম

এক মিনিটেই এক কোটি নেকি

ইসলাম পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম। মানুষের জীবনকে সত্য সুন্দর ও সহজ করতে ইসলাম শান্তির পতাকাবাহী হয়ে কাজ করে আসছে হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে। আখেরি জামানার উম্মাতেরা স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি কর্মব্যস্ত সেটা জীবন ও জীবিকার তাগিদেই। সেখানে আমরা এমনিতেই আমল করার সময় ও সুযোগ খুব কম পেয়ে থাকি।

মাত্র ১ মিনিটেই ১ কোটি নেকি লাভের আমল !

আজ আমরা মুসলমান ধর্মের অনুসারী ভাই ও বোনদের জন্য এক বিশেষ এক দোয়া উপস্থাপন করছি। যে দোয়া একবার পাঠ করলে মহান রাব্বুল আলামীন ২০ লাখ নেকি দিয়ে থাকেন। সেই দোয়াটাই ৫ বার আমল করলে আপনি মাত্র একমিনিটেই পেয়ে যেতে পারেন ১ কোটি নেকি। চলুন শিখে নেয়া যাক সেই দোয়াটি।

এহ দোয়া পাঠ করলে ২০ লাখ নেকি পাওয়া যায়।

‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু আহাদান সামাদান লাম্ইয়ালিদ ওয়া লাম্ইউলাদ ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ”।

নিজে আমল করুন অপর ভাইকেউ আমল করাতে তগিদ প্রদান কুরুন।

আরও পড়ুন ঃ উহুদ যুদ্ধে ৭০ জন শহীদ হয়েছেন! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তাঁর প্রিয়জনকে কতটা ভালোবাসেন।

১০ টি আমল, যা আপনার জীবন পরিবর্তন করে দিবে..

১০ টি আমল, যা আপনার জীবন পরিবর্তন করে দিবে..

 ১০ টি আমল, যা আপনার জীবন পরিবর্তন করে দিবে..

আমল : ১

প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুণ (আশ্হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারী কা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ) । এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৩৪।

আমল : ২

প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠ করুণ এতে মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে যেতে পারবেন। সহিহ নাসাই, সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস নং- ৯৭২।

আমল : ৩

প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার এবং ১ বার (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর) পাঠ করুণ এতে আপনার অতীতের সব পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ১২২৮। সেই সাথে জাহান্নাম থেকেও মুক্তি পেয়ে যাবেন কেননা দিনে ৩৬০ বার এই তাসবিহগুলো পড়লেই জাহান্নাম থেকে মুক্ত রাখা হয় আর এভাবে ৫ ওয়াক্তে ৫০০ বার পড়া হচ্ছে। সহিহ মুসলিম, মিশকাত হাদিস নং- ১৮০৩) ।

আমল : ৪

প্রতিরাতে সূরা মুলক পাঠ করুণ এতে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। সহিহ নাসাই, সহিহ তারগিব, হাকিম হাদিস নং- ৩৮৩৯, সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস নং- ১১৪০।

আমল : ৫

রাসুল (সাঃ)-এর উপর সকালে ১০ বার ও সন্ধ্যায় ১০ বার দরুদ পড়ুন এতে আপনি নিশ্চিত রাসুল (সাঃ)-এর সুপারিশ পাবেন। তবরানি, সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৬৫৬

আমল : ৬

সকালে ১০০ বার ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি পরলে সৃষ্টিকুলের সমস্ত মানুষ থেকে বেশী মর্যাদা দেওয়া হবে। সহিহ আবু দাউদ, হাদিস নং- ৫০৯১। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি 'সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি' পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়। (তিরমিজি : ৩৪৬৪)

আমল : ৭

সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পাঠ করলে কিয়ামতের দিন তার চেয়ে বেশী সওয়াব আর কারো হবে না। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৬৯২।

আমল : ৮

সকালে ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহ, ১০০ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ১০০ বার আল্লাহু আকবার এবং ১০০ বার লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর পাঠ করলে অগণিত সওয়াব হবে। নাসাই, সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৬৫১।

আমল : ৯

বাজারে প্রবেশ করে- (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু য়্যুহয়ী ওয়া য়্যুমীতু ওয়া হুয়া হাইয়ুল লা য়্যামূত, বিয়াদিহিল খাইরু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর)পাঠ করুণ এতে ১০ লক্ষ পুণ্য হবে, ১০ লক্ষ পাপ মোচন হবে, ১০ লক্ষ মর্যাদা বৃদ্ধি হবে এবং জান্নাতে আপনার জন্য ১ টি গৃহ নির্মাণ করা হবে। তিরমিজি, হাদিস নং- ৩৪২৮,৩৪২৯।

আমল : ১০

বাড়িতে সালাম দিয়ে প্রবেশ করুণ এতে আল্লাহ তা’লা নিজ জিম্মাদারিতে আপনাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। ইবনু হিব্বান, হাদিস নং- ৪৯৯, সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৩১৬।

রিজিক বাড়ানাের আমল

রিজিক বাড়ানাের আমল
রিজিক
বাড়ানাের আমল

আজ আমরা রিজিক বৃদ্ধির উপায়সমূহের মধ্যে কুরআন হাদীস রােমন্থিত ১৪টি আমল শিখবাে, ইনশাল্লাহ। আরবি অক্ষরে বিভিন্ন হাদিস, মহানবী (সঃ) এর উক্তি, দোয়া এবং তার বাংলা অর্থ দেয়া হয়েছে

১। গুনাহ ত্যাগ করা

( بل تؤثرون الحيوة الأنيا . والأخرة خير

 বরং তােমরা দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিচ্ছ। অথচ আখিরাত সর্বোত্তম স্থায়ী।' {সূরা আল-লা, আয়াত : ১৬-১৭}

২। অভাবের সময় আল্লাহমুখী হওয়া

 আর তােমাদের রব বলেছেন, তােমরা আমাকে ডাক, আমি তােমাদের জন্য সাড়া দেব।' {সূরা আল-মু'মিন, আয়াত : ৬০}

আয়াতে আল্লাহ দু' করার নির্দেশ দিয়েছেন আর তিনি তা কবুলের জিম্মাদারি নিয়েছেন যাবৎ

তা কবুলে পথে কোনাে অন্তরায় না হয়। যেমন ওয়াজিব তরক করা, হারাম কাজে জড়ানাে, হারাম আহার গ্রহণ বা হারাপ পরিচ্ছদ পরা ইত্যাদি এবং কবুলকে খানিক বিলম্বিতকরণ

৩। বিয়ে করা

{ وأنكحوا الأيمن منكم والظلچين من عبادكم

إن يكونوا فقراء ينهم الله من فضله وإما والله وسع عليه ۳۲ ) [النور : ۳۲]

আর তােমরা তােমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় মহাজ্ঞানী।' {সূরা আন-নূর, আয়াত : ৩২}

৪। আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায়

{ وإذ تأتي ربكم لئن شكرتم لأزيدنكم ولين گفتم إن عذابي لشیریڈ 7). [ابراهيم: 7]

আর যখন তােমাদের রব ঘােষণা দিলেন, যদি তােমরা শুকরিয়া আদায় কর, তবে আমি অবশ্যই তােমাদের বাড়িয়ে দেব, আর যদি তােমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয় আমার আযাব বড় কঠিন' {সূরা ইবরাহীম, আয়াত : ০৭}

আল্লাহর পথে জিহাদ

একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের জিহাদেও সম্পদের ব্যপ্তি ঘটে। গনীমত বা যুদ্ধলব্ধ সম্পদের মাধ্যমে সংসারে প্রাচুর্য আসে। যেমন ইবন উমর রাদিআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

 আর আমার রিজিক রাখা হয়েছে আমার বর্শার ছায়াতলে।' [মুসনাদ আহমদ : ৫৬৬৭; বাইহাকী : ১১৫৪; শুআবুল ঈমান : ১৯৭৮৩]

৬। আল্লাহর রাস্তায় হিজরত করা

ومن يهاجر في سبيل الله يجد في الأرض معما گيا وشقة ومن يخرج من بيته. مقاجرا إلى الله ورسوله، ثم يدركه الموت فقد وقع أجرة على الله وكان الله غفورا رحيما ۱۰۰ } [النساء :

আর যে আল্লাহর রাস্তায় হিজরত করবে, সে যমীনেবহু আশ্রয়ের জায়গা সচ্ছলতা পাবে আর যে আল্লাহ তাঁর রাসূলের উদ্দেশ্যে মুহাজির হয়ে নিজ ঘর থেকে বের হয় তারপর তাকে মৃত্যু পেয়ে বসে, তাহলে তার প্রতিদান আল্লাহর উপর অবধারিত হয় আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু' {সূরা আন-নিসা, আয়াত : ১০০}

৭। ইবাদতের জন্য ঝাটমুক্ত হওয়া

إن الله تعالى يقول يا ابن آدم تفرغ لعبادتي أملأ صدرك غئى وأشد فقرك وإلا تفعل الأث يديك شغلا ولم أشد فقرك »

আল্লাহ তা'আলা বলেন, হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতের জন্য তুমি ঝামেলামুক্ত হও, আমি তােমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং তােমার দারিদ্র ঘুচিয়ে দেব। আর যদি তা না কর, তবে তােমার হাত ব্যস্ততায় ভরে দেব এবং তােমার অভাব দূর করব না।' [তিরমিযী : ২৬৫৪; মুসনাদ আহমদ : ৮৬৮১; ইবন মাজা : ৪১০৭]

৮। দুর্বলের প্রতি সদয় হওয়া

মুসআব ইবন সা' রাদিআল্লাহু আনহু যুদ্ধজয়ের পর মনে মনে কল্পনা করলেন, তিনি বােধ হয় তাঁর বীরত্ব শৌর্য-বীর্য হেতু অন্যদের চেয়ে নিজেকেবেশি মর্যাদাবান সেই প্রেক্ষিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,

 তােমাদের মধ্যে থাকা দুর্বলদের কারণে কেবল তােমাদের সাহায্য করা হয় এবং রিজিক প্রদান করা হয়।' [বুখারী : ২৮৯৬]

৯। দরূদ পড়া

كم قلت يا رسول الله إلى أكثر الصلاة عليك أجعل لك من صلاتي فقال « ما شئت ». قال قلت التربة. قال « ما شئت فإن زدت فهو خير لك ». قلت الضف. قال « ما شئت فإن زدت فهو خير لك ». قال قلت قاللتين. قال « ما شئت فإن زدت فهو خير لك ». قلت أجعل لك صلاټی كلها. قال « إذا كفى همك ويغفر لك نبك » قال أبو عيسى هذا حديث حسن.

আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল, আমি আপনার প্রতি অধিকহারে দরূদ পড়তে চাই, অতএব আমার দু'আর মধ্যে আপনার দরূদের জন্য কতটুকু অংশ রাখব? তিনি বললেন, তুমি যতটুকু চাও। কা' বলেন, আমি বললাম, এক চতুর্থাংশ। তিনি বললেন, তুমি যতটুকু চাও। তবেযদি তুমি বেশি পড় তা তােমার জন্য উত্তম হবে।। আমি বললাম, অর্ধেক? তিনি বললেন, তুমি যতটুকু চাও তবে তুমি যদি বেশি পড় তা তােমার জন্য উত্তম হবে কা' বলেন, আমি বললাম, তাহলে দুই তৃতীয়াংশ? তিনি বললেন, তুমি যতটুকু চাও তবে তুমি যদি বেশি পড় তা তােমার জন্য উত্তম হবে আমি বললাম, আমার দু'আর পুরােটা জুড়েই শুধু আপনার দরূদ রাখব তিনি বললেন, তাহলে তা তােমার ঝামেলা প্রয়ােজনের জন্য যথেষ্ট হবে এবং তােমার গুনাহ ক্ষমা করা হবে [তিরমিযী : ২৬৪৫; হাকেম, মুস্তাদরাক : ৭৬৭৭ (আবু ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসানসহীহ)]

১০। আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা

আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং তাদের হক আদায়ের মাধ্যমেও রিজিক বাড়ে। যেমন : আনাস ইবন মালেক রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি তিনি ইরশাদ করেন,

« من سره أن يبسط له في رزقه أو ينسأ له في أثري فليصل رقه»

যে ব্যক্তি কামনা করে তার রিজিক প্রশস্ত করে দেওয়া হােক এবং তার আয়ু দীর্ঘ করা হােকসে যেন তার আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখে' [বুখারী : ৫৯৮৫; মুসলিম : ৪৬৩৯]

১১। বারবার হজ-উমরা করা

« تابعوا بين الحج والعمرة فإنهما ينفيان الفقر والثوب كما ينفي الكير خبث الحديد والهب والفتنة وليس للحج المبرورة تواب إلا الجنه »

তােমরা হজ উমরা পরপর করতে থাক, কেননা তা অভাব গুনাহ দূর করে দেয়, যেমন দূর করে দেয় কামারের হাপর লােহা, সােনা রুপার ময়লাকে।' [তিরমিযী : ৮১৫; নাসাঈ : ২৬৩১]

১২। আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করা

{ قل إن ربي يبشظ الرق لمن يشاء من عباء ويقر له وما أنفقتم من شيء فهو يخلفه وهو خير الرزقين ۳۹ } [سبا: ۳۹]

বল, নিশ্চয় আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিযক প্রশস্ত করেন এবং সঙ্কুচিত করেন। আর তােমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় কর তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম। রিযকদাতা।' {সূরা আস-সাবা’, আয়াত : ৩৯}

১৩ তাকওয়া তাওয়াক্কুল অবলম্বন

{ ومن يتق الله يجعل له مخرجا ۲ ويؤرقه من حيث لا يحتسب ومن يتوكل على الله فهو خشبه إن الله بلغ أمره قد جعل الله إكل شيء قدرا ۳ }. [الطلاق : ۲، ۳]

আর যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরী করে দেন। এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিযক দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই। নিশ্চয় আল্লাহ প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।' {সূরা আত-তালাক, আয়াত : -}

অর্থাৎ যে আল্লাহকে ভয় করবে এবং আনুগত্য দেখাবে, আল্লাহ তার সকল সংকট দূর করে দেবেন। এবং তার কল্পনাতীত স্থান থেকে রিজিকের সংস্থান করে দেবেন। আর যে কেউ তার উদ্দেশ্য হাসিলে একমাত্র আল্লাহর শরণাপন্ন হয় তিনিই তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান। বলাবাহুল্য এই তাকওয়ার পরিচয় মেলে হালাল উপার্জনে চেষ্টা এবং সন্দেহযুক্ত কামাই বর্জনের মধ্য দিয়ে

১৪। তাওবা ইস্তেগফার করা

فقلت أستغفروا ربكم إنه گان عقارا ۱۰ ژيل الماء عليكم مدرارا ۱۱ ويمدكم بأمول وبنين ويجعل لكم جت ويجعل لكم أنا ۱۲ ). [نوح:

۳۱۲ ،۱۰

আর বলেছি, তােমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল। (তাঁর কাছে ক্ষমা চাইলে) তিনি তােমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, আর তােমাদেরকে ধন-সম্পদ সন্তানসন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তােমাদের জন্য বাগ-বাগিচা দেবেন আর দেবেন নদী-নালা' {সূরা নূহ, আয়াত : ১০-১২}

হাদীসে বিষয়টি আরেকটু খােলাসা করে বলা হয়েছে, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

« من لزم الإستغقار جعل الله له من كل ضيق مخرجا ومن كل هم فرجا ورزقه من حيث لا

 যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস। থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন।” (আবু দাউদ)

আরও পড়ুন, সালাতে মনােযােগী হবার কটা টিপস