নবী কারিমের (সঃ) বানী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
নবী কারিমের (সঃ) বানী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

আল্লাহ্‌ শ্রমজীবী ​​মানুষকে ভালবাসেন।

আল্লাহ্‌ শ্রমজীবী ​​মানুষকে ভালবাসেন।

আল্লাহ্‌ শ্রমজীবী ​​মানুষকে ভালবাসেন। 

আল্লাহ্‌ শ্রমজীবী ​​মানুষকে ভালবাসেন। মানুষের ভাগ্য তার কর্ম দ্বারা নির্ধারিত হয়। এই পৃথিবীতে এবং পরকালে সুখ এবং শান্তি সাফল্য এবং ব্যর্থতা কর্মের উপর নির্ভর করে। সৎ কর্মীদের জীবন আলোকিত এবং সফল।

অন্যদিকে, অলস ও অসাধু কর্মীদের জীবন অন্ধকার এবং ব্যর্থ। পার্থিব জীবনের উন্নতি ও দুনিয়ার কল্যাণে কাজের গুরুত্ব অপরিসীম। এ কারণেই ইসলাম কাজকে সীমাহীন গুরুত্ব দিয়েছে এবং অলসতাটিকে পাপ হিসাবে বিবেচনা করেছে।

এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে নির্দেশ দিয়েছেন যে মানুষ যা কিছু করে তার ফল সে পায়। শীঘ্রই তার ক্রিয়াকলাপ মূল্যায়ন করা হবে। তারপরে তাকে পুরো মূল্য দেওয়া হবে। (সূরা নাজম, আয়াতসমূহ ৩৯-৪১)

সর্বশক্তিমান প্রভু আরও নির্দেশ দিয়েছেন, "অতঃপর যখন নামায শেষ হয়ে যাবে, তখন দেশে ছড়িয়ে পড়ুন এবং আল্লাহর অনুগ্রহের সন্ধান করুন এবং আল্লাহকে অনেক স্মরণ করুন, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।" (সূরা জুমুআহ, আয়াত ১০)

Read English updated news:

কাজের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিজের হাতে উপার্জনের চেয়ে ভাল উপার্জন আর নেই। হযরত দাউদ (আ।) নিজ হাতে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। (বুখারী)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন যে হালাল রুজি হালাল রুজি উপার্জন করা ফরজের পর একটি ফরজ। (বুখারী ও মুসলিম)।

প্রিয় পাঠক! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর শ্রমের উপার্জনকে সর্বোত্তম উপার্জন হিসাবে বর্ণনা করেছেন। সুতরাং, ইসলামের অনন্য শিক্ষা অন্যের উপর নির্ভর করা নয়, বরং নিজের প্রতিভা ও শ্রম ব্যবহার করে হালাল জীবিকা অর্জনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা। পূর্ববর্তী সমস্ত নবী-রাসূলগণও কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করেছিলেন।

হজরত আদম (আ।), হযরত শীশ (আ।) ও হজরত ইউনুস (আ।) কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। হযরত ইদ্রিস (আ।) - এর কাজ ছিল পোশাক সেলাই। হযরত নুহ (আ।) ও হযরত যাকারিয়া (আ।) ছিলেন ছুতার। মহাপ্লাবনের সময় হযরত নূহ (আঃ) মহান আল্লাহ তায়ালার আদেশে বিশাল জাহাজ নির্মাণ করেছিলেন; যা ছিল ৩০০ হাত লম্বা, ৫০ হাত প্রশস্ত এবং ৩০ হাত উচ্চতা।

 রাজ্যের রাজা হওয়া সত্ত্বেও হজরত দায়ূদ (আঃ) নিজেই লোহার বর্ম তৈরি করে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেছিলেন এবং তাঁর পুত্র হজরত সলোমন (আঃ) সমগ্র বিশ্বের রাজা ছিলেন। হজরত ইব্রাহিম (আ।) এবং হযরত ইসমাইল (আ।) - এর পেশা ছিল ব্যবসায় ও রাজমিস্ত্রি। তারা উভয়েই মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে পবিত্র কাবা নির্মাণ করেছিলেন। হজরত ইউসুফ (আ।) রাজ্যের মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন।

 এ ছাড়া হজরত সালেহ (আ।), ইয়াকুব (আ।), শোয়েব (আ।), হজরত ইলিয়াস (আ।), হজরত মুসা (আ।) ও হজরত হারুন (আ।) পশুপাখি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এবং আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন একজন জ্ঞানী, সৎ ও সফল ব্যবসায়ী। তিনি বাড়ির ঝাড়ু, কাপড় সেলাই এবং ছাগল দুধ সহ সমস্ত গৃহস্থালি কাজে তাঁর স্ত্রীদের সহায়তা করেছিলেন।

আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুনঃ সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের উপকারী পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন ।

ইসলামে দানশীলতার গুরুত্ব ও ফজিলত

ইসলামে দানশীলতার গুরুত্ব ও ফজিলত

ইসলামে দানশীলতার গুরুত্ব ও ফজিলত

মোঃ সিদ্দিকুর রহমান

ইসলামে দানশীলতার গুরুত্ব ও ফজিলত। মানুষ সামাজিক জীব। সামাজিক হতে হয় সদয় হতে। বিপদে অন্যের সামনে দাঁড়ানো, একের পাশে দাঁড়ানো, সহানুভূতিশীল হওয়া, কেবল নিজের সুখের জন্য ব্যস্ত না হয়ে অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করা মানবতা।

দয়া হ'ল মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের অলঙ্কার। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘তুমি সেরা জাতি। আপনি মানবজাতির কল্যাণে তৈরি করা হয়েছিল। আপনি যা সঠিক তা নির্দেশ করবেন এবং যা ভুল তা নিষেধ করবেন। ‘(সূরা ৩: ইমরান, আয়াত ১১০)। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “দুনিয়ার মানুষের প্রতি সদয় হও, তবে আকাশের পালনকর্তা আল্লাহ আপনার প্রতি দয়া করুন।” (তিরমিজি: ১৮৪৭)।

করুণা মানবের অন্যতম গুণ। একে অপরের সহযোগিতা ব্যতীত বেঁচে থাকা কঠিন। যখন কোন সমাজে একে অপরের সাথে সহযোগিতা হ্রাস পায়, তখন সেই সমাজের লোকেরা সব দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে। সেই সমাজে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, শান্তি বিনষ্ট হয়, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালবাসা হারিয়ে যায়।

ইসলাম করুণার ধর্ম। পারস্পরিক ভালবাসা এবং সহযোগিতা ইসলামের কয়েকটি বিষয়। রাসুলুল্লাহ করিম (আ।) বলেছেন, পুরো সৃষ্টিই আল্লাহর পরিবার। সুতরাং দানশীলতার চেতনায় কোনও শ্রেণিবিন্যাস নেই। বড়-ছোট, ধনী-দরিদ্র, আত্মীয়-অ-আত্মীয়, আত্মীয়-বিদেশি, মুসলিম-অমুসলিমরা এই ব্যবধানগুলির উপরে উঠে ইসলামে শান্তি ও সম্প্রীতির সামাজিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মুমিনের সাথে মিল রয়েছে। এটির মধ্যে ভাল কিছু নেই যা মিলিত হতে পারে না। যিনি মানুষের পক্ষে আরও ভাল কাজ করেন তিনি হলেন সেরা মানুষ। ‘(আল-মুজামুল আওসাত: ৫৭৮৭)।

দয়ালু হওয়ার জন্য আপনার প্রচুর সম্পদের মালিক হতে হবে না। প্রতিটি মানুষ তার নিজের অবস্থান থেকে দানশীল হতে পারে। দয়া কিছু নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত, পরিবার, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় এবং ধর্মীয় ক্ষেত্রে এবং শারীরিক, আর্থিক এবং মানসিক ক্রিয়াকলাপগুলিতে এর পরিধি বিস্তৃত এবং প্রশস্ত।

দয়া মানুষকে মর্যাদার আসনে বসায়। বিশ্বের ইতিহাসে স্মরণীয় ও প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছে এমন সমস্ত আলেম সমাজসেবক ছিলেন। প্রথম ওহীর পরে আতঙ্কিত হয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাড়ি ফিরে খাদিজা (আঃ) কে বললেন, 'আমাকে কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে দাও, আমি আমার জীবনের ঝুঁকিতে পড়ে আছি।' বললেন, আল্লাহ কখনও ক্ষতি করতে পারবেন না আপনি. কারণ আপনি আল্লাহর সৃষ্টির সেবা করেন, দরিদ্র ও অভাবীদের জন্য কাজ করেন, অসহায় এতিমদের বোঝা বহন করেন, তাদের কল্যাণে নিজেকে নিযুক্ত রাখুন। ‘(বুখারী: ৪৫৭)

কারও নিজের কল্যাণের জন্য দয়াও অর্জন করা হয়। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘অবশ্যই দানশীল ব্যক্তির জীবন বৃদ্ধি করে। তিনি অকাল মৃত্যু থেকে বাঁচান এবং অহংকার দূর করেন। ‘(আল-মুজামুল কবির: ১৩৫০৮)।

Read English updated News

আল্লাহ তাআলা রমজান মাসে অনাথ ও অনাহার দূর করতে রোজা ফরজ করেছেন। তিনি গরীব ও মিসকীনদের চাহিদা কমাতে যাকাত ফরয করেছেন এবং সাদাকুল ফিতরকে বাধ্যতামূলক করেছেন। তিনি অনেক আয়াত নাযিল করেছেন এবং দাতব্য ও অন্যদের জন্য ব্যয়কারীকে অনুপ্রাণিত করে। কুরআন বলে, "যে ব্যক্তি আল্লাহকে উত্তম লোণ দেয়, তবে সে তার জন্য তা বৃদ্ধি করবে এবং তার জন্য সম্মানজনক পুরষ্কার রয়েছে।" (সূরা ৫৭, হাদিস: ১১)

কোরআনে বলা হয়েছে, "আল্লাহ মুমিনদের কাছ থেকে তাদের জীবন ও সম্পদ কিনে নিয়েছেন এবং তাদের বিনিময়ে জান্নাত রয়েছে।" (সূরা ৯: তাওবা, আয়াত: ১১১) ‘অবশ্যই দানশীল পুরুষ এবং দানশীল মহিলারা, এক্ষেত্রে তারা আল্লাহকে উত্তম লোণ দেয়, তাদের পুরষ্কার বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের জন্য সম্মানজনক পুরষ্কার রয়েছে।’ (সূরা-৫৭, হাদীস: ১৮) 

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুমিনের পার্থিব সমস্যার সমাধান দেয়, আল্লাহ তাকে আখেরাতের অন্যতম সঙ্কট থেকে মুক্তি দেবেন। যে ব্যক্তি অভাবগ্রস্থদের প্রয়োজন দূর করতে সহায়তা করে, আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখেরাতে স্বাচ্ছন্দ্য দান করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন করবে আল্লাহ তায়ালা তার দোষ দুনিয়া ও আখেরাতে গোপন করবেন। আল্লাহ বান্দার সাথে আছেন যতক্ষণ না বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্যে নিযুক্ত থাকে। ‘(মুসলিম: ২৬৯৯)।

আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুনঃ বিমানে নামাজের বিধান কি?

প্রকৃত মুমিনের পরিচয় ও গুণাবলি

প্রকৃত মুমিনের পরিচয় ও গুণাবলি

প্রকৃত মুমিনের পরিচয় ও গুণাবলি

প্রকৃত মুমিনের পরিচয় ও গুণাবলি

ইমান মানে বিশ্বাস। মুমিন মানে বিশ্বাসী। তাওহীদ, নবুওয়াত ও আখিরাতে বিশ্বাসী দেরকে ইমানদার বলা হয়। 

ইসলাম মানে আনুগত্য, মুসলিম মানে আনুগত্যকারী ব্যক্তি, যিনি বিশ্বস্তভাবে সালাত, রোজা, হজ ও যাকাত এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সমস্ত আদেশ ও নিষেধ পালন করেন।

 মুমিন ও মুসলিমকে এটি জন্ম ও বংশোদ্ভূত নয়, বিশ্বাস ও কর্ম দ্বারা অর্জন করতে হবে। একজন সত্য মুমিনের পরিচয় এবং একজন সফল ঈমানদারের গুণাবলী কুরআন ও হাদীসে বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে। 

একজন সফল মুমিনের গুণাবলী হ'ল ইসলাম বা আত্মসমর্পণ হ'ল ইমান, ইয়াকিন, ইখলাস, তাকওয়া, তাজিকিয়া এবং ইহসান প্রাপ্তি ।কোরআনের শুরুতে বলা হয়েছে, ‘আলিফ লাম মিম! এটি মহান গ্রন্থ, যাতে সন্দেহের অবকাশ না থাকে, এটি পরহেযগারদের জন্য গাইড। 

যারা অদেখা বিশ্বাস করে এবং নামায কায়েম করে, তারা যা দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে। আর যারা আপনার প্রতি ও কিতাবের প্রতি ঈমান এনেছে যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং যা আপনার পূর্বে অবতীর্ণ হয়েছে এবং তারা আখেরাতের বিষয়ে নিশ্চিত। তারা তাদের পালনকর্তার নির্দেশে রয়েছে এবং তারাই সফলকাম হবে। '  (সুরা–২ বাকারা, আয়াত: ১-৫, পারা: ১, পৃষ্ঠা ১)।

সর্বশক্তিমান আল্লাহ কুরআনে তাঁর প্রিয় বান্দাদের পরিচয় উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, ‘দয়াময় আল্লাহর প্রকৃত বান্দারা হ'ল যারা পৃথিবীতে বিনীতভাবে চলাফেরা করেন এবং অজ্ঞেরা যখন তাদের বোকামি করে সম্বোধন করেন তখন তারা সালাম ও শান্তি বলে। 

তারা তাদের পালনকর্তাকে সিজদায় রাত কাটাত, দাঁড়িয়ে এবং ইবাদত করে এবং বলে, হে আমাদের রব! আমাদের থেকে জাহান্নামের আযাব সরিয়ে দাও; তার শাস্তি নিশ্চয়ই ধ্বংস! অস্থায়ী এবং স্থায়ী বাসস্থান হিসাবে এটি আরও খারাপ! ”এবং যখন তারা ব্যয় করে, তারা বাড়াবাড়ি বা কৃপণ হয় না; বরং তারা মধ্যপন্থী। তারা অন্য কোনও উপাস্য বা onশ্বরকে ডাকে না।

 আল্লাহ যাকে হত্যা নিষেধ করেন, তিনি হত্যা করেন না কেবল ব্যতীত এবং ব্যভিচারও করেন না। যারা এ কাজ করে তাদের শাস্তি হবে, কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুণ হয়ে যাবে এবং তারা সেখানে থাকবে। যারা ব্যতীত তওবা করে এবং বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে। আল্লাহ তাদের পাপকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করবেন; নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

 যারা তওবা করে এবং সৎকর্ম করে, তারা সত্যবাদী আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করে। এবং যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং বৃথা ক্রিয়াকলাপের মুখোমুখি হয়ে তাদের মর্যাদায় এটিকে উপেক্ষা করে। 

যারা তাদের পালনকর্তার নিদর্শনসমূহ স্মরণ করিয়ে দিলে তারা তাদের সাথে বধির ও অন্ধের মতো আচরণ করে না এবং যারা বলে যে, হে আমাদের রব! আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন, যারা আমাদের চোখে সন্তুষ্ট হবে এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের ইমাম বানিয়ে দেবে।

 ”তারা ধৈর্যশীল হওয়ার কারণে তাদের জান্নাতে সর্বোচ্চ স্থান দেওয়া হবে। সেখানে তাদের শুভেচ্ছা ও সালাম জানানো হবে; সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। আশ্রয় ও আশ্রয়ের জায়গা হিসাবে এটি কত দুর্দান্ত! '(সুরা-২৫ ফুরকান, আয়াত: ৬৩-৭৬)।

পবিত্র জীবন যাপন করা সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। কুরআন বলে, "সফলকাম তারা যারা নিজেকে পবিত্র করে, এবং ব্যর্থ যারা তারাই নিজেদের অশুচি করে।" (সূরা ৯১, শামস, আয়াত ৯-১০) 'সাবধান হও! কেবল খাঁটি ধর্মীয় কর্মই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য। '(সূরা ৩৯ জুমুআাহ, আয়াত ৩)

তাকওয়া বা পরিহারের অর্থ বেশি করে করা নয়; বরং তাকওয়া হ'ল খারাপ কাজ বা মন্দ কাজ এড়াতে। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালার এমনভাবে ইবাদাত করুন যেন তোমরা তাঁকে দেখতে না পার, এমনকি তাকে না দেখলে; তবে অবশ্যই তিনি আপনাকে দেখেন। '(বুখারী, হাদিস: ৪৮)

সমস্ত ক্রিয়াকলাপ হৃদয়ের বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি। কেবলমাত্র মনকে শুদ্ধ করার মাধ্যমেই সাফল্য, অর্থাৎ এই পৃথিবীতে শান্তি এবং পরকালে মুক্তি সম্ভব। এ কারণেই সমস্ত ধর্ম, শাখা, নিয়ম এবং উপাসনা অনুশীলন।


আরও পরুনঃ প্রিয় নবীর দিদার লাভ 

ইসলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব

ইসলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব

 ইসলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব

আবর্জনা প্রায়শই আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। সেগুলি পরিষ্কার করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। কারণ তারা পরিবেশকে দূষিত করে। ফলস্বরূপ, সমাজে রোগ এবং অসুস্থতা বৃদ্ধি পায়। যা আমাদের কাছে কাম্য নয়। কারণ সুস্থতা সব সুখের মূল। শরীরকে সুস্থ রাখা যে কোনও মানুষের আকাঙ্ক্ষার মধ্যে একটি। মনের প্রত্যাশা একা। তবে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে আপনার নিজেকে পরিষ্কার রাখতে হবে। অপরিচ্ছন্নতা অপসারণ করতে হবে। আবর্জনা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দিতে হবে। কাপড় পরিষ্কার রাখতে হবে। ঘরটি ধুয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কারণ ইসলামে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরিবেশের স্বাস্থ্যের উপর অনেক বেশি নির্ভর করে। পরিবেশ যখন পরিষ্কার থাকে, যদি এটি বেঁচে থাকার উপযোগী হয় তবে মানুষের শরীর এবং মন আরও ভাল হয়। সর্বশক্তিমান আল্লাহ মানুষের মঙ্গলকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। পরিচ্ছন্নতার উপর বিশেষ জোর দিয়েছে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন, ‘পরিচ্ছন্নতা faithমানের অর্ধেক’। মুসলিম।


কুরআন-হাদিসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে ঘর ও আশপাশের পরিচ্ছন্নতা পর্যন্ত এমন কোন দিক নেই যা কুরআন-হাদীসে আলোচিত নয়। ইসলাম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপরে এত বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণ কী? এর মূল কারণ হ'ল আমরা যদি পরিষ্কার থাকি, আমরা সুস্থ থাকব, আমরা সুস্বাস্থ্য পাব।


মদীনার নিকটে কুবারের লোকেরা খুব পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করত। তাদের প্রশংসার সাথে প্রশংসা করে আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, ‘সেখানে এমন লোক আছে যারা নিজেকে ভালভাবে শুদ্ধ করতে পছন্দ করে। আর আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন যারা নিজেকে পবিত্র করে। 'আমাদের দেহের বেশিরভাগ রোগ অশুচিতার কারণে হয়। অনেকে আছেন যারা নিয়মিত গোসল করেন না, দাঁতগুলি ঠিকমতো ব্রাশ করেন না। এর ফলস্বরূপ যা ঘটে তা হ'ল ধীরে ধীরে এটি শরীরে বিভিন্ন ছোট ছোট রোগের কারণ হয়। এবং এই ছোট ছোট রোগগুলি একদিন বড় হয়ে উঠবে। সুতরাং কুরআন মানুষকে পবিত্র ও শুদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, "নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীদের ভালবাসেন এবং যারা নিজেকে পবিত্র করেন তাদের ভালবাসেন।"

স্বাস্থ্য একটি মূল্যবান সম্পদ। আমাদের প্রতিদিনের জীবন, উপাসনা, ঘর ও পরিবারে সবকিছু করতে হবে এবং স্বাস্থ্যের যত্নও নিতে হবে। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অসুস্থ হওয়ার আগে ভাল কাজের জন্য স্বাস্থ্য ব্যবহার করতে উত্সাহিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, স্বাস্থ্য ব্যবহার করুন, স্বাস্থ্য রক্ষা করুন। অন্য একটি হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন এক সাহাবীকে ডেকেছিলেন যিনি সারা দিন রোজা রাখতেন এবং সারা রাত নফল নামাজ পড়তেন এবং বললেন, হে আমার সাহাবাগণ! জেনে রাখুন, ‘নিশ্চয়ই তোমার দেহের অধিকার তোমার উপর আছে।’ বুখারী।

আজান দেওয়ার সময় কুকুরেরা ডাকে কেন? জানতেপড়ুনঃ

 

আজান দেওয়ার সময় কুকুরেরা ডাকে কেন?  জানতেপড়ুনঃ

আজান দেওয়ার সময় কুকুরেরা ডাকে কেন?  জানতেপড়ুনঃ  

  কুকুরেরা ডাকে কেন?  একজন জ্ঞানী মুসলিমের জন্য অনেক কিছু জানতে হবে।  ইসলামই একমাত্র সত্য ধর্ম।

  কিছু নিষিদ্ধ কাজ:

  (1) নিজের বুকের ওজন নিয়ে কারও পিছনে শুয়ে থাকা নিষিদ্ধ, কারণ শয়তান এভাবে মিথ্যা বলে।  সহিহ বুখারী।

  (২) বাম হাতে খাওয়া বা পান করা নিষেধ, কারণ শয়তান বাম হাতে খায়।  রিয়াদুস সালেহীন।

  ()) পশুর হাড়ের সাথে ইস্তিনজা করা নিষেধ, কারণ আল্লাহর নামে জবাই করা প্রাণীদের হাড় হ'ল মুসলিম জ্বিনের খাদ্য।  সহিহ বুখারী।

  (৪) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সন্ধ্যায় বাচ্চাদের বাইরে যেতে নিষেধ করেছিলেন এবং তাদের বাড়ির দরজা এবং জানালা বন্ধ রাখতে বলেছিলেন, কারণ তখন জ্বিনগুলি বাইরে চলা ফেরা করে ।

  (৫) আযান দিলে শয়তান জিনেরা বায়ু ছাড়তে ছাড়তে লোকালয় থেকে পলায়ন করে। আর কুকুর ও গাধা শয়তান জিনদেরকে দেখতে পেলে চিৎকার করে।

  এ কারণে অনেক সময় ইশা বা ফজরের ডাক এলে কুকুর গুলো শুরু করে।  কারণ তখন কুকুররা প্রার্থনার ডাক শুনে এবং পালানো শয়তান জ্বিনকে দেখে।  নোট করুন আপনি যখন রাতে কুকুর এবং গাধাটির ডাক শুনবেন, "অজুবিল্লাহি… .রাজিম"

  এই দোয়া পাঠ করার পরে শয়তান থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর আশ্রয় নিতে হবে।

  সহিহ বুখারী, হিসনুল মুসলিম।

  (৬) মোরগ আল্লাহর  অনুগ্রহের ফেরেশতাদের দেখেন, তাই যখন তিনি মোরগের ডাক শুনেন, তখন তাকে "আল্লাহুম্মা ইন্নি আস-আসুক মিং ফজলিকা" নামায পড়তে হয় এবং আল্লাহর  অনুগ্রহ চাইতে হয়।  হিসনুল মুসলিম।

  (৭) বাথরুমে প্রস্রাব করা যায় না।

  ________ আল-হাদীস (ইবনে মাজাহ: 304)

  (৮) কেবলামুখী বা তদ্বিপরীত আপনি প্রস্রাব করতে পারবেন না বা টয়লেটে যেতে পারবেন না।

  _________ সহিহ বুখারী: 395

  (9) গুলি বা তীরের নিশানা প্রশিহ্মণের জন্য প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না।।

  _________ মসলিম: 517

  (10) কোন ইহুদি, খ্রিস্টান বা পৌত্তলিক বিবাহিত হতে পারে না।

  _________ আল কোরআন.

  (১১) স্বামী ব্যতীত অন্য কারও জন্য শাস্তি নিষিদ্ধ।

  _________ আল-কুরআন, (আহযাব: ৩৩)

  (12) প্রতিমা কেনা, সংরক্ষণ করা এবং রক্ষা করা হারাম।

  _________ আল-কুরআন (মাইদাহ: 90, ইব্রাহিম: 35)

  (13) কারও মুখে আঘাত করা যাবে না।

  ________ মুসলাম: 621

  (14) পোশাক পরিহিত হওয়া সত্ত্বেও, কেউ গোপনাঙ্গের স্থান দেখতে পারে না।

  ________ মুসলিম 694

  (15) আল্লাহ ব্যতীত কেউ কসম খেতে পারে না।  নিজের দাদার নামে, কারও জীবন, মসজিদ বা কোরআনের নামে শপথ করা, কারও মাথা দিয়ে সত্য প্রকাশ করা যায় না।

  __________ আবু দাউদ 3250 নাসাই: 36।

  16) কোন প্রাণিকে পুড়িয়ে মারা হবে না।

  _________ আবু দাউদ 26

  (17) শেষ বিচারের পর কেয়ামতের দিন আল্লাহ পাক জান্নাতকে ও জান্নাতীদেরকে জান্নাত দান করবেন।

  অতঃপর আল্লাহ জান্নাতবাসী ও জাহান্নামকে ডেকে বলবেন, এদিকে তাকাও।

  অতঃপর আল্লাহ জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝে একটি সাদা ভেড়া দেখিয়ে বলবেন, এই ভেড়াটি মৃত্যু।  তাহলে জবাই করা হবে।

  এমনিভাবে  আল্লাহর  মৃত্যুকে জবাই করে হত্যা করবেন  তখন সে বলবে, আজ থেকে আর কোনও মৃত্যু হবে না।

  সুতরাং, যারা জান্নাতে যাবে তারা চিরকাল বেহেশতে থাকবে আনন্দে।  আর যারা জাহান্নামে যাবে তারা চিরকাল আযাব ও ক্রোধের মধ্যে থাকবে।

  কারণ তারা যতই জাহান্নামে পুড়েছে বা কতটা কষ্ট সহ্য করুক না কেন, তারা কখনই মরবে না।  অনন্তকাল কঠোর শাস্তি ভোগ করতে থাকবে।

  আল্লাহ আমাদের সবাইকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।

একটি হাদীস ও ২৫ টি প্রশ্ন যার উত্তর নবী করীম (সঃ) নিজে দিয়েছেনঃ

একটি হাদীস ও ২৫ টি প্রশ্ন যার উত্তর নবী করীম (সঃ) নিজে দিয়েছেনঃ
Add caption

একটি হাদীস ও ২৫ টি প্রশ্ন যার উত্তর নবী করীম (সঃ) নিজে দিয়েছেনঃ

এক বেদুইন হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে হাজির হয়ে বললেন,হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমি আপনাকে কয়েকটি প্রশ্ন করবো । নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বল কি জানতে চাও। সে সময় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে প্রখ্যাত সাহাবী খালিদ ইবনে ওয়ালিদ ও উপস্থিত ছিলেন । সে একটি করে প্রশ্ন করল আর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রত্যেকটি প্রশ্নের জবাব দিলেন এই ভাবে।

প্রশ্ন ১=
হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমি অভাবমুক্ত হতে চাই।

উত্তর
তুমি অল্পে তুষ্ট থাকার চরিত্র অবলম্বন করো।

প্রশ্ন ২=
আমি সবচেয়ে বড় আলেম হতে চাই।

উত্তর
তুমি তাকওয়া অবলম্বন করো।

প্রশ্ন ৩=
আমি সম্মানিত হতে চাই।

উত্তর
তুমি মাখলুখের সামনে হাত পাতা বন্ধ করে দাও।

প্রশ্ন ৪=
আমি ভালো মানুষ হতে চাই।

উত্তর
তুমি মানুষের উপকার করো।

প্রশ্ন ৫=
আমি ন্যায় পরায়ন হতে চাই।

উত্তর
তুমি নিজের জন্য যা পছন্দ করো, অপরের জন্যও তা পছন্দ করার চরিত্র সৃষ্টি করো।

প্রশ্ন ৬=
আমি শক্তিশালী হতে চাই।

উত্তর
তুমি সর্বদা আল্লাহর উপর ভরসা করো।

প্রশ্ন ৭=
আমি আল্লাহর দরবারে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী হতে চাই।

উত্তর
তুমি বেশী বেশী আল্লাহর যিকির করো।

প্রশ্ন ৮=
আমি জিবীকায় স্বচ্ছলতা কামনা করি।

উত্তর
তুমি সবসময় অজু সহকারে থাকো।

প্রশ্ন ৯=
আমি যখনই দুয়া করবো তাই যেনো কবুল হয়।

উত্তর
তুমি হারাম খাওয়া বর্জন করো।

প্রশ্ন ১০=
আমি ইমানের পরিপূর্নতা কামনা করি।

উত্তর
তুমি তোমার চরিত্রকে ভালো করে নাও।

প্রশ্ন ১১=
কিয়ামতের দিন গুনাহ থেকে পবিত্র হয়ে আল্লাহর সাথে মিলিত হতে চাই।

উত্তর
তুমি তোমার গোসল ফরজ হওয়ার সাথে সাথে গোসল করে ফেলো।

প্রশ্ন ১২=
আমি আমার গুনাহ কমাতে চাই।

উত্তর
তুমি তোমার গুনাহের জন্য আল্লাহর সমীপে বেশী বেশী ক্ষমা প্রার্থনা করো।

প্রশ্ন ১৩=
আমি কিয়ামতের দিন নুরান্বিত হয়ে উঠতে চাই।

উত্তর
তুমি জুলুম করা ছেড়ে দাও।

প্রশ্ন ১৪=
আমি কামনা করি আল্লাহ আমার উপর রহমত বর্ষন করুন।

উত্তর
তুমি আল্লাহর বান্দাদের উপর দয়া করো।

প্রশ্ন ১৫=
আমি চাই আল্লাহ আমার দোষ- ত্রুটি গোপন রাখুন।

উত্তর
তুমি মানুষের দোষ- ত্রুটি গোপন রাখো।

প্রশ্ন ১৬=
আমি লাঞ্ছনা থেকে রক্ষা পেতে চাই।

উত্তর
তুমি ব্যভিচার থেকে বেঁচে থাকো।

প্রশ্ন ১৭=
আমি আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রিয় পাত্র হতে চাই।

উত্তর
যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রিয়জন, তুমি তাদেরকে প্রিয় বানিয়ে নাও।

প্রশ্ন ১৮=
আমি আল্লাহর অনুগত হতে চাই।

উত্তর
তুমি যথাযথভাবে ফরজ সমূহ আদায় করতে থাকো।

প্রশ্ন ১৯=
আমি ইহসানের অধিকারী হতে চাই।

উত্তর
এমনভাবে ইবাদত করো, যেন তুমি আল্লাহকে দেখছো, অথবা আল্লাহ তোমাকে দেখছেন।

প্রশ্ন ২০=
হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন জিনিস গুনাহ মাফ করিয়ে দেয়?

উত্তর
তোমার চোখের পানি, বিনয় ও রোগ।

প্রশ্ন ২১=
কোন জিনিষ জাহান্নামের আগুনকে ঠান্ডা করে দেয়?

উত্তর
তুমি দুনিয়ার বিপদ- আপদে ধৈর্য্য ধারন কর।

প্রশ্ন ২২=
কোন জিনিষ আল্লাহর রাগকে ঠান্ডা করে দেয়?

উত্তর
গোপনে দান করা আর আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা।

প্রশ্ন ২৩=
সবচেয়ে বড় মন্দ কাজ কি?

উত্তর
অসৎ চরিত্রতা ও কৃপণতা।

প্রশ্ন ২৪=
সবচেয়ে বড় সৎগুন কি?

উত্তর
উত্তম চরিত্র, বিনয় ও ধৈর্য্য।

প্রশ্ন ২৫=
আমি আল্লাহর রাগ থেকে রক্ষা পেতে চাই।

উত্তর
তুমি মানুষের উপর রাগ করা ছেড়ে দাও। 

হাশরের ময়দানে চার শ্রেণীর লোক আল্লাহর সামনে উপস্হিত হবে, যার দুই শ্রেণীর লোক জান্নাতবাসী ও দুই শ্রেণীর লোক জাহান্নামবাসী" জানতে পড়ুনঃ

 
"হাশরের ময়দানে চার শ্রেণীর লোক আল্লাহর সামনে উপস্হিত হবে, যার দুই শ্রেণীর লোক জান্নাতবাসী ও দুই শ্রেণীর লোক জাহান্নামবাসী" জানতে পড়ুনঃ

"হাশরের ময়দানে চার শ্রেণীর লোক আল্লাহর সামনে উপস্হিত হবে, যার দুই শ্রেণীর লোক জান্নাতবাসী ও দুই শ্রেণীর লোক জাহান্নামবাসী" জানতে পড়ুনঃ 

প্রথম শ্রেণীতে যাঁরা থাকবে তাঁরা বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবেন।"

"আর এক শ্রেণীর লোক থাকবে, গুনাহক রেছেন আবার সওয়াবও করেছেন। তাঁরা এমন একদল লোক হবে যাদের হিসেব নিকাশকে আল্লাহ সহজ করে দিবেন এবং তাঁদের আল্লাহ্ পাপ পূণ্য বিচার করে,ক্ষমা করে দিবেন ও জান্নাত দান করবেন।"

আর একশ্রেণীর লোক থাকবে যারা বিনা হিসেবে জাহান্নামে যাবে। যেমন,নাস্তিক মুর্তাদ, কাফির, মুশরিক ইত্যাদি।

চতুর্থ শ্রেণীতে যারা থাকবে তাদের হিসেব-নিকাশ হবে বড়ই কঠিন। তাদেরকে আল্লাহ প্রশ্ন করবেন, "গুনাহ কেন করেছ?"আর যেই ব্যাক্তিকে আল্লাহ্ প্রশ্ন করবেন

যে, "বান্দা গুনাহ করেছ কেন?" রসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,"তাঁর কোন উপায় থাকবেনা জাহান্নামে যাওয়া ছাঁড়া।"

আল্লাহ সর্বমোট তিনবার এই প্রশ্নটি করবেন যে, "গুনাহ কেন করেছ?"প্রথমবার বান্দা বলবে, "আমি জীবনে

কোনদিন গুনাহই করিনি।"

তখন তিনভাবে আল্লাহ্ বান্দার গুনাহের প্রমাণ দিবেন।

(১) তাঁর মুখে মোহর মেরে দেয়া হবে, তাঁর হাত, পা, চক্ষু তাঁর গুনাহের সাক্ষী দিবে।

(২) জমিনের যেই স্হানে গুনাহ করেছে জমিন তা প্রকাশ করে দিবে। ও

(৩) তাঁর বাম কাঁধের ফেরেশতা তাঁর গুনাহের তালিকা তুলে ধরবে তাঁর সামনে।

দেখে বান্দা বলবে, "হায় আফসোস, কোন গুনাহই বাদ পড়েনি।"

দ্বিতীয়বার জবাবে বান্দা বলবে, "আমি শয়তানের ধোঁকায় পড়ে করেছি। আল্লাহ্শয়তানকে প্রশ্ন করবেন,

  • - "আমার বান্দাকে ধোঁকা দিয়েছিস কেন?"
  • - শয়তান বলবে, "আল্লাহ্ তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন যে, সে আমাকে জীবনে দেখেছে কিনা?"
  • আল্লাহ্ বান্দাকে প্রশ্ন করবেন, "শয়তানকে দেখেছ?" বান্দা বলবে, "না।"
  • শয়তান আল্লাহকে বলবে, "সে আমাকে কখনও দেখেনি অথচ আমি তাঁকে ধোঁকা দিলাম কিভাবে?"
  • বান্দা বলবে আল্লাহকে, " আল্লাহ্ শয়তান আমার মনে ধোঁকা দিয়েছে।"
  • শয়তান বলবে, "আল্লাহ্ আমিতো তোমার সাথে ওয়াদা করেছিলাম যে তোমার বান্দাদের ধোঁকা দিব। সে শুনলো কেন? "

আল্লাহ্ বলবেন বান্দাকে, "হ্যাঁ শয়তান আমার সাথে ওয়াদা করেছিল আর আমি ওতোমাদের বারবার জানিয়ে দিয়েছি যে, শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।"

তৃতীয়বার আল্লাহ্ প্রশ্ন করবেন. "গুনাহ কেন করেছ?"

এবার বান্দার কোন জবাব থাকবেনা। "আল্লাহ্ ফেরেশতাদেকে বলবেন, একে শিকল দিয়ে বেঁধে টেনে নিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ কর।"

আল্লাহুআকবার! বড়ই কঠিন সেইদিন হবে।কেউ কারও খবর নিবেনা। কেউ কারও পাশে দাড়াবে না। একমাত্র ঈমান ও আমল ছাড়া। "আল্লাহু আকবার " 

আল্লাহ আমাদেরকে বুঝ দান করুণ। আমীন।           

রাতে দেরিতে ঘুমানোয় স্বাস্থ্যঝুঁকি, সকালে দেরিতে ঘুম থেকে উঠার অপকারিতা ও খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠার উপকারিতা

রাতে দেরিতে ঘুমানোয় স্বাস্থ্যঝুঁকি, সকালে দেরিতে ঘুম থেকে উঠার অপকারিতা ও খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠার উপকারিতা। আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এই সম্পর্কে উপদেশ।

রাতে দেরিতে ঘুমানোয় স্বাস্থ্যঝুঁকি, 
সকালে দেরিতে ঘুম থেকে উঠার অপকারিতা ও খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠার উপকারিতা। আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এই সম্পর্কে উপদেশ।

রাতে জলদি ঘুমাতে যাওয়া আর সকালে জলদি ঘুম থেকে উঠা সুস্বাস্থ্য, সম্পদ আর জ্ঞানের পূর্বশর্ত। বিষয়টি রাসুল (সা.)-এর হাদিসের সঙ্গেও মিলে যায়। আমাদের প্রিয় নবী (সা.) রাতে দেরি করে ঘুমানো অপছন্দ করতেন। সাহাবায়ে কিরামকে তাগিদ দিতেন এশার পরপরই ঘুমিয়ে যাওয়ার।

রাসুলুল্লাহ (সা.) এশার নামাজ এক-তৃতীয়াংশ রাত পরিমাণ দেরি করে পড়া পছন্দ করতেন, আর এশার আগে ঘুমানো এবং এশার পর না ঘুমিয়ে গল্পগুজব করা অপছন্দ করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯৯)

রাতে দেরিতে ঘুমানোয় স্বাস্থ্যঝুঁকি

মানুষের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম। এর জন্য সবচেয়ে উপযোগী সময় হলো রাত। কেননা আল্লাহ তাআলা রাতকে বিশ্রামের উপযোগী করেই বানিয়েছেন। মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের বিশ্রামের জন্য নিদ্রা দিয়েছি, তোমাদের জন্য রাত্রিকে করেছি আবরণস্বরূপ আর দিনকে বানিয়েছি তোমাদের কাজের জন্য।’ (সুরা : নাবা, আয়াত : ৯-১১)

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যান্সারবিষয়ক গবেষণা বিভাগ ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের তথ্য মতে, যখন সূর্যের আলো থাকে না তখন শরীরকে কাজ করতে বাধ্য করা বা জাগিয়ে রাখা শরীরে মেলাটনিন হরমোন তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে। আর এই মেলাটনিনই মানুষের দেহে টিউমারের বৃদ্ধিকে রোধ করে। ফলে তাদের ধারণা, রাত জাগা মানুষদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। অর্থাৎরাতের ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং এটি কোনোভাবেই দিনের বেলায় ঘুমিয়ে পুষিয়ে নেওয়া যায় না।

তাই রাতের বেলা গল্পগুজব, সিনেমা, ফেসবুকিংসহ সব অহেতুক কাজ থেকেই বিরত থাকা প্রয়োজন। কারণ রাতে অহেতুক দেরি করে ঘুমানো মানুষকে শেষরাতের ইবাদত ও ফজর নামাজ থেকে যেমন বঞ্চিত করে, তেমনি এটি স্বাস্থ্যের জন্যও মোটেই শুভকর নয়। যুক্তরাজ্যের এক দল গবেষকের মতে, যারা দেরিতে ঘুমায় ও দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে, তাদের অকালমৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়।

যুক্তরাজ্যের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. পিরেঞ্জ লেভি বলেন, রাত জাগার বদ-অভ্যাস যারা গড়ে তুলেছে, তাদের ৯০ শতাংশই মানসিক রোগের শিকার। ৩০ শতাংশে থাকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। এছাড়া স্নায়বিক সমস্যা থেকে শুরু করে অন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।

সকালে দেরিতে ঘুম থেকে উঠার অপকারিতা

যুক্তরাজ্যের সুবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রোনোলজি বিভাগের অধ্যাপক জন রিচার্ডসন বলেন, ‘আমরা দেখেছি, যারা দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে তারা নানা ধরনের মানসিক ও শারীরিক জটিলতায় ভোগে। তাদের গড় আয়ু নিয়মিত সকালে উঠা মানুষের চেয়ে সাড়ে ছয় বছর কম।’

খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠার উপকারিতা

খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠা সম্পদ ও জ্ঞানের জন্য পূর্বশর্ত। বলা যায় সফলতার চাবিকাঠি। কেননা ভোররাতে বা দিনের শুরুতে সবচেয়ে বেশি কল্যাণ থাকে। শুধু ইবাদত-বন্দেগিই নয়, দুনিয়াবি কাজের জন্যও এটি সবচেয়ে উপযুক্ত ও বরকতময় সময়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ভোরবেলার কাজের জন্য বরকতের দোয়া করেছেন। 

সখর গামেদি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এ দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরুকে বরকতময় করুন।’ এ জন্যই রাসুল (সা.) কোনো যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন। বর্ণনাকারী বলেন, সখর (রা.)-ও তার ব্যবসায়ী কার্যক্রম ভোরবেলা শুরু করতেন। এতে তাঁর ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয়। তিনি সীমাহীন প্রাচুর্য লাভ করেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৬০৬)

তা ছাড়া এ সময় বান্দার রিজিক বণ্টন হয়। যারা তখন ঘুমিয়ে থাকে তারা সফলতা ও রিজিকের বরকত থেকে বঞ্চিত হয়। প্রিয় নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সকালবেলায় রিজিকের অন্বেষণ করো! কেননা সকালবেলা বরকতময় ও সফলতা অর্জনের জন্য উপযুক্ত সময়।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, হাদিস : ৬২২০)

ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ (সা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসুল (সা.) আমার ঘরে এসে আমাকে ভোরবেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় দেখলেন, তখন আমাকে পা দিয়ে নাড়া দিলেন এবং বললেন, মামণি! ওঠো! তোমার রবের পক্ষ থেকে রিজিক গ্রহণ করো! অলসদের দলভুক্ত হয়ো না। কেননা আল্লাহ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের মধ্যে রিজিক বণ্টন করে থাকেন। (আত-তারগিব ওয়াত তারহিব, হাদিস : ২৬১৬)

খুব ভোরে উঠা মানুষগুলো সবার থেকে আলাদা ও কর্মদক্ষ হয়ে থাকে। গবেষণায় দেখা যায়, যারা খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে কিংবা রাতে কম ঘুমায়, অন্যদের তুলনায় তাদের আইকিউ ভালো হয়।

টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিক্ষার্থী ভোরবেলায়ই জাগতে পারে, তারা দেরিতে জাগ্রতদের চেয়ে বেশি নম্বর পায়। তাদের জিপিএ অন্যদের তুলনায় বেশি হয়। এই সাফল্যের পেছনে তারা বাড়তি উৎপাদনশীলতা এবং ভালো ঘুম হওয়াকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করে।

প্রিয় নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ ওই বান্দার ওপর রহম করুন, যে রাত্রিকালে উঠে নামাজ আদায় করে এবং তার স্ত্রীকেও জাগায় এবং সেও নামাজ আদায় করে। যদি সে (স্ত্রী) নিদ্রার চাপে উঠতে না চায়, তবে সে (ভালোবেসে) তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়। আল্লাহ ওই নারীর ওপরও রহম করুন, যে রাত্রিতে উঠে নামাজ আদায় করে এবং তার স্বামীকে ঘুম থেকে জাগায় এবং সেও নামাজ আদায় করে। যদি সে ঘুম থেকে উঠতে না চায়, তবে সে (ভালোবেসে) তার মুখে পানি ছিটিয়ে জাগিয়ে তোলে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৫০)

নবী কারিমের (সঃ) শেষ কথা এটি পড়ুন দয়া করে, উপেক্ষা করবেন না।

নবী কারিমের (সঃ) শেষ কথা এটি পড়ুন দয়া করে, উপেক্ষা করবেন না।

 নবী কারিমের (সঃ) শেষ কথা এটি পড়ুন দয়া করে, উপেক্ষা করবেন না।

 হঠাৎ একজন লোক এসেছিল, সে বলল সালাম।  'আমি আসতে পারি

 ভিতরে?'  তিনি জিজ্ঞাসা করলেন।  কিন্তু ফাতিমাহ (রাধী আল্লাল্লাহু তা'আলগ আনহা) তা করেনি তাকে ঘরে ঢুকতে দেননি 'আমি দুঃখিত, আমার বাবা অসুস্থ,' বললেন

 ফাতেমাঃ দরজা বন্ধ। সে তার বাবার কাছে ফিরে গেল যিনি তার চোখ খুলেছিলেন এবং ফাতিমাহ (রাধী আল্লাল্লাহু তায়ালা না) জিজ্ঞাসা করলেন, 'উনি কে ছিলেন, আমার কন্যা? 'জানি না বাবা।  এটি আমার জন্য প্রথমবার ছিল তাকে, 'ফাতিমাহ (রাধী আল্লায়হু তায়ালা নাহ) আস্তে করে বললেন। তারপরে, রসুলুল্লাহ (সুল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াশালাম) তার দিকে তাকালেন কাঁপানো রূপের সাথে কন্যা, যেন সে মনে করিয়ে দিতে চায় তার মেয়ের মুখের প্রতিটি অংশ সম্পর্কে।'একটা জিনিস জেনে নিন!  তিনিই অস্থায়ী আনন্দ মুছে ফেলেন;যিনি বিশ্বের সাহচর্য পৃথক।  তিনি মৃত্যুর ফেরেশতা, 'রাসুলুল্লাহ (সুল্লাল্লাহু আলাইহি) বলেছেন।ফাতিমাহ (রাধী আল্লাল্লাহু তায়ালা আনহা) তার কান্নার বোমাটি বহন করেছিল।মৃত্যুর দেবদূত তাঁর দিকে এগিয়ে এলেন, কিন্তু রসুলুল্লাহ (শুয়েছিলেন)আলাহু আলাইহি ওয়াশালাম) জিব্রিল কেন জিজ্ঞাসা করলেন? (আলাইহিসালাম) তাঁর সাথে আসে নি।  তারপরে, জিব্রিল(আলাইহিসালাম) ডাকা হয়েছিল।

 জিব্রিল (আলাইহিসলাম) আত্মাকে স্বাগত জানাতে আকাশে প্রস্তুত ছিল হাবিবুল্লাহ এবং পৃথিবীর নেতা।  'হে জিব্রিল, আমার অধিকার সম্পর্কে আমাকে ব্যাখ্যা কর।  রসুলুল্লাহ (সুল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছালাম) দুর্বল কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলেন।

 'আকাশের দরজা খুলে গেছে, ফেরেশতারা অপেক্ষা করছে সমস্ত জান্নাট খোলে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে,' জিব্রিল (আলাইহিসালাম) বললেন।তবে বাস্তবে এসব কিছুই রসুলুল্লাহকে (সুল্লাল্লাহু আলাইহি) করেনি স্বস্তি থেকে মুক্তি, তার চোখ তখনও উদ্বেগ পূর্ণ ছিল। 'আপনি এই সংবাদ শুনে খুশি নন?'  জিব্রিল  (আলাইহিসালাম) উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন। রসুলুল্লাহ (সুল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছালাম) দুর্বল কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলেন।'ভবিষ্যতে আমার উম্মতের ভাগ্য সম্পর্কে বলুন?' 'দুশ্চিন্তা করবেন না, হে আল্লাহ রসুল (সুল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালসাম)।  আমি আল্লাহকে বলতে শুনেছি: 'আমি প্রত্যেকের জন্য জান্নাতকে হারাম বানিয়েছি এক, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যতীত জব্রিল (আলাইহিসালাম) বলেছিলেন যে এর অভ্যন্তরে যারা আছেন,

 এটি আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠল, সময়,মালাইকাত ইজরাইল (আলাইহিসালাম) তার কাজটি করার জন্য।আস্তে আস্তে, রাসুলুল্লাহর (সুল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াশালাম) আত্মা ছিল টানা. মনে হচ্ছিল রসুলুল্লাহর (সুল্লাল্লাহু আলাইহি) লাশ ওয়াসসালাম) ঘামে পূর্ণ ছিল;  তার ঘাড়ের স্নায়ু হয়ে গেল টাইট 'জিব্রিল (আলাইহিসালাম), এই সাকারাতুল মৈত্রী কত বেদনাদায়ক!' রসুলুল্লাহ (সুল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালসাম) হাহাকার করলেন আস্তে আস্তে  ফাতিমাহ (রাধী আল্লাল্লাহু তায়ালা আনহ) চোখ বন্ধ করে রেখেছিলেন, আলী (রাধী)  আল্লাল্লাহু তায়ালা আনহো) গভীরভাবে এবং জিব্রিলের কাছে তাঁর পাশে বসেছিলেন (আলাইহিসালাম) মুখ ফিরিয়ে নিল। 'আমি কি তোমার কাছে তিরস্কার করি যে তুমি মুখ ফিরিয়েছ ও? জিব্রিল? '(আলাইহিসালাম) রসুলুল্লাহ (সুল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম)  ডেলিভারার জিজ্ঞাসাওয়াহে। 'কে হ'ল যে তার মধ্যে হাবিবুল্লাহকে দেখতে পেল? শকরাতুলের অবস্থা মাট, 'জিব্রিল (আলাইহিসালাম) ড। 

কিছুক্ষণের জন্য নয়, রসুলুল্লাহ (সুল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াশালাম)  অসহনীয় ব্যথার কারণে কর্কশ উচ্চারণ করলেন।  'হে আল্লাহ, এই সাকারাতুল মাট কত মহান। এই সমস্ত যন্ত্রণা আমাকে দাও, আমার লোকদের কাছে দিও না। ' রসুলুল্লাহ (সুল্লাহু আলাইহি ওয়াশালাম) এর দেহ হয়ে গেল ঠান্ডা, তার পা এবং বুক আর সরানো হয়নি।  তার ঠোট স্পন্দিত যেন সে কিছু বলতে চায়, আলী (রাধী আল্লালু) তাআলা আনহো তাঁর কানটি রাসুলুল্লাহ (সুল্লাহু আলাইহি) -এর নিকটে নিয়ে গিয়েছিল (ওয়াসসালাম)।

 'উশিউকুম বিস শালতি, ওয়া মা মালাকাত আইমনুকু - নিন সালাত যত্ন এবং দুর্বল মানুষদের মধ্যে যত্ন নিন আপনি.' ঘরের বাইরে চিৎকার করছিল একে অপরকে, সাহাবাহ একে অপরকে ধরেছিল। ফাতিমাহ (রাধী আল্লাল্লাহু তায়ালানহা) তার সাথে মুখ বন্ধ করে দিলেন হাত এবং, আবার, আলী (রাধী আল্লাহু ta'ala anho) তার কান গ্রহণ রসুলুল্লাহর মুখের কাছে যা নীলাভ হয়ে উঠল।

 'উম্মতি, উম্মতি, উম্মতি?'  - 'আমার লোক, আমার লোক, আমার লোক  আর সম্ভ্রান্ত মানুষের জীবন শেষ হয়ে গেল।আমরা কি তার মতো একে অপরকে ভালবাসতে পারি?

 আল্লাহুম্মা সালাতে আলা মুহাম্মাদ ওয়া বারিক ওয়া সালিম 'আলাইহি। রসুলুল্লাহর (সুল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াশালাম) প্রেম কত গভীর

আমাদেরকে.আপনি যদি মুসলমান পড়েন তবে এই প্রেমটি আসল  আমরা কেন মসজিদে ঘুমোই কিন্তু পার্টিতে জাগ্রত থাকি?  আল্লাহর সাথে কথা বলা এত কঠিন তবে গসিপ করা এত সহজ কেন? ঈশ্বরীয় পাঠ্য বার্তাটিকে উপেক্ষা করা কিন্তু দুষ্টুগুলিকে পুনরায় পাঠানো কেন এত সহজ? আপনি কি এটি আপনার বন্ধুদের কাছে পাঠাতে যাচ্ছেন বা আপনি এড়িয়ে যাচ্ছেন?

 আল্লাহ বলেছেন: "আপনি যদি আপনার বন্ধুদের সামনে আমাকে অস্বীকার করেন, তবে কিয়ামতের দিন আমি আপনাকে অস্বীকার করব" যদি প্রতিটি মুসলমান এখন 3 বার আস্তাগিফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহ বলে এবং এটিকে এগিয়ে দেয়, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিলিয়ন এটি বলে ফেলবে।  আপনার কাছে কিছু শিথিল হয়নি তাই পাস করুন ..আপনি যখন আযান শোনেন ঠিক ততক্ষণে আপনার ফোনের বেজে উঠার সময় শুনুন। কুরআন সাবধানে পড়ুন, যেমন আপনি আপনার পাঠটি পড়েন। আল্লাহকে ভয় কর, যেমন তোমরা মৃত্যুকে ভয় কর মৃত্যুর কথা স্মরণ কর, যেমন তোমার নাম মনে আছে প্রতিটি প্রার্থনার জন্য কত মিনিট সময় লাগে?

এটাকে চিন্তা করে দেখি আমাদের কি আল্লাহর জন্য সত্যই সময় আছে?

 80% লোক এই বার্তাটি ফরোয়ার্ড করবেন না, আমি আশা করি আপনি এটি করবেন।

 কিয়ামতের লক্ষণ ... ..

  •  - সমকামিতা
  •  - লোকেরা অন্যের পূর্বপুরুষদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলে
  •  - এমন পোশাক যা শরীরের বেশিরভাগ অংশকে প্রদর্শন করে
  •  - আকাশে আর কোনও তারা নেই
  •  - লোক নিখোঁজ
  •  - উঁচু ভবন
  •  - ইমাম মাহদীর উপস্থিতি।  
  •  - দাজ্জাল উপস্থিতি.
  •  - হযরত ঈসা (আ।) এর আগমন।
  •  - ইয়াজুজ মাজুজীর উপস্থিতি্ম।
  •  - পশ্চিম থেকে সূর্যের উত্থান যার পরে ক্ষমার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে
  •  - দাববত আল-আর্ড ভূমি থেকে উত্থিত হবে এবং সমস্ত সত্য মুসলমানকে চিহ্নিত করবে
  •  - 40 দিনের কুয়াশা, যা সমস্ত সত্য বিশ্বাসীকে হত্যা করবে যাতে তাদের অন্যান্য চিহ্নগুলি অনুভব করতে না হয়।
  •  - একটি বিশাল অগ্নিকাণ্ড ধ্বংসের কারণ হবে।
  •  - কাবা ধ্বংস।
  •  - কুরআনে লেখা বিলুপ্ত হবে।
  •  - শিঙাটি প্রথমবারের মতো ফুঁকানো হবে এবং সমস্ত প্রাণী এবং কাফির মারা যাবে এবং সমস্ত পর্বত এবং বিল্ডিং ভেঙে পড়বে।
  •  দ্বিতীয়বারের মতো তূরী বাজানো হবে আল্লাহর সমস্ত সৃষ্টি তাদের বিচারের জন্য আরাফাতের সমভূমিতে পুনরুত্থিত হবে এবং মিলিত হবে।
  •  - সূর্য পৃথিবীর সাথে নিজেকে কমিয়ে দেবে 
  •  আমাদের নবী (সঃ)  বলেছেন, 'যে কেহ এই সংবাদ দেয়।  অন্য কারও কাছে, আমি কিয়ামতের দিন তার জন্য জান্নাতে জায়গা করে দেব ...।

আরও পড়ুন, 

 মহানবী (সঃ) বাণী-যদি চরিত্রের এই কতিপয় খারাপ দিক ও দোষ গুলো ছেরে দেন তাহলে আপনি জান্নতে  যেতে পারবেনঃ-